সৌদির সাথে ৫০ কোটি ডলারের সামরিক চুক্তি অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
সৌদির সাথে ৫০ কোটি ডলারের সামরিক চুক্তি অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের - ছবি সংগৃহীত
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, "প্রস্তাবিত এই বিক্রয় চুক্তি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা লক্ষ্য অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি বন্ধুত্বপূর্ণ একটি দেশের নিরাপত্তা উন্নত করতে সাহায্য করবে।"
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর সৌদি আরবের কাছে ৫০ কোটি ডলার সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।
আগের এক চুক্তির ধারাবাহিকতার অংশ হওয়া সত্ত্বেও নতুন এই প্যাকেজে হেলিকপ্টারের রক্ষণাবেক্ষণ সহায়তা পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হেলিকপ্টারগুলোর তালিকায় সৌদি আরবের অ্যাপাচি এবং ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার এবং ভবিষ্যতে সিএইচ-৪৭ডি চিনুক হেলিকপ্টার বহর অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, "এই প্রস্তাবিত বিক্রয় মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের নিরাপত্তা উন্নত করতে সাহায্য করে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উদ্দেশ্যকে সমর্থন করবে।"
ওয়াশিংটন বলেছে, পাশাপাশি এই চুক্তি সৌদি আরবের "বর্তমান এবং ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবেলার ক্ষমতা" উন্নত করতেও সহায়তা করবে।
পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এই চুক্তি সৌদি আরবের রোটারি-উইং বিমানবহর, ইঞ্জিন, এভিওনিক্স, অস্ত্রশস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান রক্ষণাবেক্ষণেও সহায়তা করবে," এই সব সামরিক সরঞ্জাম এবং পরিষেবাগুলো নিজের সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত করতে সৌদি আরবের কোনো অসুবিধা হবে না।"
চুক্তিটি পর্যালোচনা এবং অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই বাইডেন প্রশাসন সৌদি আরবে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দেয়।
জো বাইডেন সৌদি আরবের সমর্থনে ইয়েমেনে "আক্রমণাত্মক অভিযান"-এর প্রতি মার্কিন সমর্থন বন্ধ করে দিয়েছেন, একই সাথে ইরান সমর্থিত হাউছি সংগঠনের নাম সন্ত্রাসীদের কালো তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের সৌদি আরব সফর এবং যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু সময়সূচীজনিত দ্বন্দ্বের কারণে শেষ মুহূর্তে সফরটি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিদেশী পত্রিকা থেকে