‘টাইম’-এর বর্ষসেরা তালিকায় বাইডেন, শি, বারাদর, মমতা
‘টাইম’-এর বর্ষসেরা তালিকায় বাইডেন, শি, বারাদর, মমতা - ছবি : সংগৃহীত
প্রভাবশালী ‘টাইম’ পত্রিকার বিবেচনায় চলতি বছরে বিশ্বকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছেন- এমন ২০ জনের তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রয়েছেন। এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন তালেবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতপ্রাপ্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল গনি বারাদার। তাদের সাথে স্থান পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা ব্যানার্জি।
‘লিডারস’ বিভাগে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তৃণমূল নেত্রী মমতা ছাড়া ‘পায়োনিয়ারস’ বিভাগের ২০ জনের মধ্যে স্থান হয়েছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনাওয়ালার। সব মিলিয়ে ১০০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি।
ম্যাগাজিনটিতে আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবানের বিজয়ে বারাদারের ভূমিকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া তালেবান যখন কাবুলে প্রবেশ করে তখন রক্ষপাতহীন ক্ষমতা দখল, সাবেক সরকারকে ক্ষমা ঘোষণা, সরকার গঠন ও পার্শ্ববর্তী দেশের বিশেষ করে চীন ও পাকিস্তান আফগানিস্তান সফরে বারাদারের মধ্যস্থতার কথা বলা হয়।
মমতার সম্পর্কে লেখা হয়েছে, ‘পরনে সাদা শাড়ি ও পায়ে হাওয়াই চটি তার নিজস্বতা। এই পোশাকেই ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি হয়ে উঠেছেন নির্ভীকতার চিহ্ন। প্রায় অজেয় ভাবমূর্তির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্প্রসারণবাদী অভীপ্সাকে ঠেকিয়ে দিতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্রাচীরের মতো। বিজেপির অর্থ ও লোকবলকে পরাস্ত করে মমতা ফের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখলেন। ভারতের অন্য মহিলা নেত্রীদের সাথে মমতার পার্থক্য হলো- তিনি কখনো কারো স্ত্রী, মা, কন্যা বা সাথী হিসেবে পরিচিতির সুবিধাটি পাননি। মমতার বিষয়ে বলা হয়- তিনি
তার দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেন না। তিনি নিজেই সেই দল। নরেন্দ্র মোদিকে প্রতিহত করতে জাতীয় স্তরে কোনো জোট বা মোর্চা যদি গড়ে ওঠে, সেখানে অবশ্যই মুখ্য ভূমিকা থাকবে মমতা ব্যানার্জির।’
নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে লেখা বেশ নেতিবাচক। লেখা হয়েছে, ‘কোভিড মোকাবিলায় তার ব্যর্থতার জন্যই ভারতে এত মৃত্যু। স্বাধীনতার পরে ৭৪ বছরে জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর পরে নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী। অনেকেই ভেবেছিলেন সমাজতান্ত্রিক অতীত থেকে দেশকে তিনি ভবিষ্যৎ ধনতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাবেন। পরিবর্তন একটা করেছেন বটে মোদি, ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে ভারতকে ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়েছেন হিন্দু জাতীয়তাবাদের দিকে। সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার কেড়ে নেয়া ছাড়া মোদি সরকার সেই সব সাংবাদিকদেরও জেলে ভরেছেন, যারা এই বিষয়গুলোকে সামনে এনেছেন। দু’টি আন্তর্জাতিক ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ সমীক্ষার পরে সিদ্ধান্তে এসেছে, তার নেতৃত্বে ভারত গণতন্ত্র থেকে ‘নির্বাচনী স্বৈরাচার’-এর দিকে এগিয়ে চলেছে’।