ইব্রাহিমি মসজিদে মুসলিমদের নিষিদ্ধ করল ইসরাইল
ইব্রাহিমি মসজিদে মুসলিমদের নিষিদ্ধ করল ইসরাইল - ছবি সংগৃহীত
ইহুদিদের নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী দখলকৃত পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের ইব্রাহিমি মসজিদে মুসলিমদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করেছে। ওয়াফা সংবাদ সংস্থা এ খবর জানায়।
তবে মুসলিমদের এই পবিত্র স্থানটি ইসরাইলি বসতকারীদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপকে মৌলিক মানবাধিকারের উপর আক্রমণ এবং ধর্মীয় উপাসনার স্বাধীনতার লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছেন।
ইব্রাাহিমি মসজিদের পরিচালক শেখ হাফতি আবু স্নেইনাহ্ ওয়াফাকে বলেন, অবৈধ বসতকারীরা যখন ইহুদিদের নববর্ষ রোশ হাশানাহ উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সেই একই সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী আঙ্গিনাসহ এই পবিত্র স্থানে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার অগ্রাহ্য করছে।
‘প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’-এর মানবাধিকার বিভাগের নির্বাহী সভার প্রধান আহমাদ তামিমি বলেন, 'আরব ও মুসলমানদের অনুভূতির উপর তীব্র অবমাননাকর, ধর্মীয় উপাসনার স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ ও নিয়মনীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন,' বলেন।
হেবরনের পুরোনো অংশের অন্তর্ভুক্ত ইব্রাহিমি মসজিদ ইহুদিদের কাছে ‘কেভ অব দ্য প্যাট্রিয়ার্কও’ হিসেবে পরিচিত। এই স্থাপনাকে ২০১৭ সালে ফিলিস্তিনে ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।
মসজিদটিতে ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুব নবী এবং তাদের স্ত্রীদের কবরস্থান অবস্থিত বলে বিশ্বাস করা হয় এবং তা মুসলমান এবং ইহুদি দু’পক্ষের কাছেই পবিত্র। কয়েক দশক ধরে এই স্থানটি উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, বিশেষ করে দখলদারী ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ অবৈধ বসতকারীদের ব্যবহারের জন্য কেন্দ্রীয় প্রার্থনা কক্ষের বেশির ভাগ অংশ ক্রমশ দখল করে নেওয়ার কারণে।
হেবরনে সর্বমোট দু'লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বসবাস করে। সেই তুলনায় অবৈধ বসতকারীর সংখ্যা মাত্র কয়েক শ’। অবশ্য তারা শুধুমাত্র সশস্ত্রই নয়, পাশাপাশি বিশাল ইসরাইলি সেনা-উপস্থিতিতে সুরক্ষিত।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর