আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের মাথাব্যথার মধ্যেই এ বার চীন সীমান্ত থেকে নতুন খবর। ভারত-চীন সীমান্তে নয়া জেনারেলকে দায়িত্বে আনলেন শি জিনপিং। তাহলে কি ভারত নিয়ে নয়া কোনো পরিকল্পনা রয়েছে চীনের লাল ফৌজের?

সূত্রের খবর, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পিএলএ-র জিনজিয়াং সামরিক এলাকার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ওয়াং হাইজিয়াংকে পদোন্নতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ড-এর (ডব্লিউটিসি) প্রধান পদে নিয়ে এসেছেন। ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ডের আওতায় ভারত-চীন সীমান্ত। যে পূর্ব লাদাখ এলাকায় সম্প্রতি সীমান্ত সমস্যার জেরে রক্ত ঝরেছে। এখনো মাঝেমাঝেই এই এলাকায় সীমান্ত সমস্যার কথা শোনা যায়।

শি জিনপিং পদাধিকারবলে চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন-এর (সিএমসি) চেয়ারপার্সন। সূত্রের খবর, সোমবার শি মোট পাঁচজন সামরিক কর্মকর্তার পদোন্নতিতে সিলমোহর দিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম ওয়াং হাইজিয়াং।

সোমবার বেইজিংয়ের অনুষ্ঠানে সিএমসি প্রধান শি জিনপিং ছাড়াও হাজির ছিলেন জেনারেল ওয়েই ফেংঘে, জেনারেল লি জুওচেং, অ্যাডমিরাল মিয়াও হুয়া এবং জেনারেল ঝাং শেংমিন। এরা প্রত্যেকেই চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সদস্য। এই অনুষ্ঠানে ওয়াং হাইজিয়াং-এর হাতে ডব্লুটিসি-র ভার তুলে দেয়া দেন শি জিনপিং।

গত জুলাই মাসে ডব্লিউটিসি-র প্রধান পদে আনা হয়েছিল জেনারেল জু কুইলিং-কে। কিন্তু আগস্টে এই রদবদলের পর জু কুইলিং-কে কোথায় পাঠানো হচ্ছে, তা পরিষ্কার নয়।

বর্তমানে ভারত-চীন সীমান্তের দায়িত্ব পাওয়া ওয়াং হাইজিয়াং-এর পেশাগত কেরিয়ার চোখ ধাঁধানো। গত বছর অগস্টে তাকে অশান্ত জিনজিয়াং প্রদেশের সামরিক কমান্ডারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। একসময় এই এলাকায় সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়েছিল বেইজিং। শোনা যায়, ওয়াং হাইজিয়াং-এর সামরিক হাতযশেই শান্তি ফেরে জিনজিয়াং প্রদেশে।

২০১৬ সালে পিএলএ-র হয়ে ভারত ঘুরে গিয়েছেন ওয়াং। অংশ নিয়েছেন যৌথ সন্ত্রাস দমন অভিযানেও। চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি, গত বছর থেকে ডব্লিউটিসি চতুর্থবার প্রধান পদে রদবদল করল। গত বছর থেকেই পূর্ব লাদাখ এলাকায় সীমান্ত সমস্যার জেরে মুখোমুখি সঙ্ঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা