আলজেরিয়ায় আবারো গ্রেফতার তিউনিসিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি নাবিল

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Aug 30, 2021 04:53 pm
নাবিল কারউই

নাবিল কারউই - ছবি সংগৃহীত

 

তিউনিসিয়ার মিডিয়া মোগল এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নাবিল কারউইকে রোববার অর্থ পাচার এবং কর ফাঁকির অভিযোগে শুনানি শুরুর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ কথা বলা হয়েছে।

কয়েক মাস যাবত বিচার-পূর্ব আটক শেষে জুন মাসে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর রোববার কারউইকে তার ভাই গাজীর সাথে তিউনিসিয়া সীমান্তের কাছে আলজেরিয়ার শহর তোবেসায় পুনরায় গ্রেফতার করা হয়।

তিউনিসিয়ার সংবাদ ওয়েবসাইট ওয়েবডো জানায়, সোমবার দু’জনকে তোবেসার নিরীক্ষক হাকিমের সামনে নেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

‘তিউনিসিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়ন (ইউজিটিটি)’ এবং স্থানীয় এশাব নিউজও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অন্যান্য খবরে দাবি করা হয়, কারউই ও তার ভাই আলজেরিয়ায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছিলেন।

২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে এই মিডিয়া মোগল এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলজিয়ার্সে তার নিজ ব্যবসায়প্রতিষ্ঠান বৈশ্বিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যম সংস্থা ‘কারউই অ্যান্ড কারউই’-র একটি কার্যালয় স্থাপন করেন।

গত ডিসেম্বরে গ্রেফতার করার পর যখন তিনি অর্থ পাচার ও কর ফাঁকির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হন, তখন জুনে একটি উচ্চতর আদালত কারউইকে মুক্ত করার রায় দেয়। এ সময় আদালত বলে, কারউইকে সর্বোচ্চ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। কারউই সংসদে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ‘কাল্ব তুনেস’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি।

মুক্তির এক সপ্তাহ আগে এই মিডিয়া মোগল কারাবাসের প্রতিবাদে অনশন শুরু করেছিলেন। তিনি জোরে সাথে দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

৫৭ বছর বয়সী কারউই ২০১৯ সালের নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের দৌড়ে প্রথম সারিতে ছিলেন। উত্তর আফ্রিকার দেশটি যখন রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং অর্থনৈতিক সংগ্রামে জর্জরিত, তখন তিনি তিউনিসিয়ার দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর মন জয়ের চেষ্টা চালান ।

একই বছর একই অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ায় ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রচারণার বেশির ভাগ সময় তিনি জেলে কাটিয়েছেন।

২০১৯ সালের দ্বিতীয় দফা ভোটের কয়েক দিন আগে মুক্তি পান তিনি। এই ভোটে তিনি অবসরপ্রাপ্ত সাংবিধানিক আইন অধ্যাপক কাইস সাইয়েদের কাছে ভূমিধস ব্যবধানে হেরে যান।

দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি সাইয়েদ তার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন এবং নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। বিরোধীরা একটি পদক্ষেপেকে অভ্যুত্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই সপ্তাহের শুরুতে তিনি সংসদ স্থগিতাদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়েছেন, পরে এই প্রতিষ্ঠানকে 'রাষ্ট্রের জন্য হুমকি' বলে অভিহিত করেছেন।

গত সপ্তাহে তিউনিসিয়ার দুর্নীতিবিরোধী নজরদারি সংস্থার সাবেক প্রধানকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনী এই স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাটির দাফতরিক ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। একই সাথে ফসফেট খাতে দুর্নীতির সন্দেহে তিউনিসিয়া একজন সাবেক মন্ত্রীসহ ১২ জন কর্মকর্তাকে দেশ ত্যাগে করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন নাহ্দা দলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আনউয়ার মা’আরুফকেও গৃহবন্দী করে রেখেছে। মা’আরুফ সাবেক যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং সাইয়েদ ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর আন নাহদা দলের প্রথম নেতা যাকে গৃহবন্দী করা হয়।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us