কাবুলের শেষ সিআইএ ঘাঁটি উড়িয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্র
কাবুলের শেষ সিআইএ ঘাঁটি উড়িয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্র - ছবি সংগৃহীত
তালেবানের হাতে যাতে সরঞ্জাম ও তথ্যাদি না পড়ে সে জন্য কাবুলে সিআইএ-এর সর্বশেষ ঘাঁটি ‘ঈগল বেস’ ধ্বংস করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্ক টাইমসকে এ কথা বলেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের মারাত্মক আত্মঘাতী বোমা হামলার কয়েক ঘণ্টা পর বিমানবন্দরের অদূরে আরো একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
শুক্রবার ভোরে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, মার্কিন বাহিনী তাদের সরঞ্জামাদি ধ্বংস করার জন্য নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ চালানোয় এই ঘটনা ঘটে।
মার্কিন কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘ঈগল বেস’ ধ্বংস করার জন্যই এই নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধ চলাকালীন সময় সন্ত্রাস দমন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে এই ঘাঁটিটি ব্যবহৃত হয়েছিল। ফেলে যাওয়া কোনো সরঞ্জাম বা তথ্যাদি তালেবানদের হাতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার জন্য বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছিল ।
সিআইএর একজন প্রাক্তন ঠিকাদার নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ঘাঁটিটিকে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া করা সহজ কাজ হবে না।
“এ ক্ষেত্রে নথিপত্র পোড়ানো এবং হার্ডড্রাইভ চূর্ণ করার পাশাপাশি সংবেদনশীল সরঞ্জামাদি ধ্বংস করতে হবে, যাতে সেগুলো তালেবানের হাতে না পড়ে। ‘ঈগল বেস’ কোনো দূতাবাস না, যেখানে নথিপত্র দ্রুত পুড়িয়ে ফেলা যায়,” তিনি বলেন।
তালেবান ইতিমধ্যে আফগান সরকারকে সমর তহবিল স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র যে সমস্ত সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছিল তা বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাক্সভর্তি নতুন আগ্নেয়াস্ত্র, যোগাযোগ সরঞ্জাম, মার্কিন হামভিসহ ২ হাজারেরও বেশি সাঁজোয়া যান এবং ইউএইচ-৬০০ ব্ল্যাক হকস, স্কাউট অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং স্ক্যান-ঈগল মিলিটারি ড্রোনসহ সম্ভাব্য ৪০টি বিমান।
অন্যান্য প্রতিবেদনেও এমন ইঙ্গিত করা হয়েছে যে তালেবান মার্কিনিদের সামরিক বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ সরঞ্জাম জব্দ করেছে। ফলে সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রে জন্য কাজ করা আফগানদের চিহ্নিত করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে, এমন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র : আল আরাবিয়া