নারী কর্মশক্তি নিয়ে নতুন ভাবনা সৌদি আরবের
নারী কর্মশক্তি নিয়ে নতুন ভাবনা সৌদি আরবের - ছবি সংগৃহীত
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কর্মক্ষেত্রে সৌদি নারীদের অংশগ্রহণ বেড়ে ২০১৮ সালের শেষে ২০ শতাংশ থেকে ২০২০ সালের শেষে ৩৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে
মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে সৌদি আরবের (কেএসএ) কর্মক্ষেত্র ও বোর্ডরুমে যোগদানকারী নারী কর্মীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কয়েক দশক ধরে সৌদি আরবে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার ছিল বিশ্বে সর্বনিম্ন । নারী এবং চাকরির বাজারের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য বরাবরই বিশ্বের বাকি অংশে পিছিয়ে রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কর্মক্ষেত্রে সৌদি নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালের শেষের দিকে ২০ শতাংশ থেকে ২০২০ সালের শেষে এসে তা ৩৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান দেশটির অর্থনীতিকে বহুমুখী করার জন্য তার ‘ভিশন ২০৩০‘ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিয়মকানুন পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছেন।
কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য ছিল, শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করা, যে লক্ষ্য ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ‘সৌদি ইলেকট্রনিক ইউনিভার্সিটি’র (এসইইউ) সভাপতি লাইলাক আহমাদ আল-সাফাদ ‘অক্সফোর্ড বিজনেস গ্রুপ’ (ওবিজি)-কে বলেন, "সৌদি আরব স্বীকার করে যে দেশটিতে অব্যবহৃত প্রতিভার অব্যবহৃত বিশাল মজুদ রয়েছে। এই মানবসম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য অনেক কাজ করা হচ্ছে, কারণ নারীর ক্ষমতায়ন ‘‘ভিশন ২০৩০’’ -এর লক্ষ্য। ”
আগের নিয়ম পরিবর্তনের মাধ্যমে সৌদি নারীদের দেশের ভেতরে ভ্রমণের অনুমতি দেয়ার পর ২০১৯ থেকে সৌদি আরব নারীরা অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণও করতে পারে এবং কোনো পুরুষ অভিভাবক (মাহরাম) ছাড়েই সরাসরি তাদের পাসপোর্ট, পরিচয় কাগজাদি এবং সমস্ত দাফতরিক নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালে ৫১,০০০-এরও বেশি সৌদি নারী শ্রমবাজারে যোগদান করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ নারীর কর্মসংস্থান প্রদান করার লক্ষ্য রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১ সালে রাজ্যটিতে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বৈশ্বিক উদ্যোক্তা পর্যবেক্ষকের ২০২০-২১-এর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা (মেনা) অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
এখন সৌদি আরবে নারী উদ্যোক্তারা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করছেন।
সৌদি ইলেকট্রনিক ইউনিভার্সিটির (এসইইউ) সভাপতি আল-সাফাদি ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং একটি সৌদি সহ-শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী সভাপতি পদ লাভ করেন।
সৌদি নারী কর্মকর্তাদের প্রথমবারের মতো ইসলামের পবিত্রতম স্থান পাহারা দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য অধিকারের পাশাপাশি নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, এমনকি স্থানীয় পরিষদে নির্বাচিত করাও হয়েছে।
সূত্র : সিয়াসত