'বাকি জায়গায় তো শান্তি', বিমানবন্দরে কেন বিশৃঙ্খলা? আমেরিকার সমালোচনায় তালেবান
আমেরিকার সমালোচনায় তালেবান - ছবি সংগৃহীত
গতকালই কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হুড়োহুড়িতে প্রাণ হারিয়েছিলেন দেশ ছাড়তে মরিয়া ৭ আফগান নাগরিক। সেদিন সেখানে গুলি চালিয়েছিল তালেবান। আজও বিমানবন্দরের নর্থ গেটে গুলির লড়াই চলে বলে জানায় জার্মান সেনা। সেখানে এক আফগান মারা যায়। এরই মাঝে বিমানবন্দরের বাইরে বর্তমানে ২০ হাজার মানুষ রয়েছে যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চাইছেন। তাছাড়া বিমানবন্দরের বাইরে রয়েছে আরো কয়েক হাজার। এই আবহে বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার জন্য আমেরিকাকেই দুষল তালেবান। তালেবানের বক্তব্য, আফগানিস্তানের বাকি সব জায়গাতেই নাকি শান্তি রয়েছে। তবে মার্কিন তত্ত্বাবধানে থাকা কাবুল বিমানবন্দরে আমেরিকার সেনার কারণেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।
এর আগে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে রবিবার বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, কাবুল বিমানবন্দরে জনতার ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ আফগান নাগরিকের। জানা যায়, আফগানিস্তান থেকে পালাতে কাবুল বিমানবন্দরে হুড়োহুড়ি পড়ে গেলে শূন্যে গুলি চালায় তালেবান। তা দেখে দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে পালাতে গিয়ে পদপিষ্ট হন অনেকে। তার উপর কাবুলের প্রবল গরমে এমনিতেই নাজেহাল দশা হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে পালাতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান এই সাধারণ আফগানরা। এদিকে যেই গতিতে উদ্ধার কাজ চলছে, সেই গতি না বাড়ালে আফগানিস্তানে থাকা সব মার্কিন নাগরিককে কাবুল থেকে সময়সীমার মধ্যে সরানো সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মাঝে গতকাল বাইডেন ইঙ্গিত দেন যে প্রয়োজন হলে ৩১ অগস্টের পরও আমেরিকার সেনা কাবুলে থাকবে।
তালেবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তান ছেড়ে পালানোর মরিয়া চেষ্টায় মানুষের ঢল নেমেছে কাবুল বিমানবন্দরে। বিমানে উঠতে না-পেরে বিমানের চাকা জড়িয়ে পালানোর মর্মান্তিক দৃশ্যে কেঁপে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। বিমানের চাকা থেকে মেলে দেহাংশও।
শনিবার মার্কিন দূতাবাস নয়া নিরাপত্তা সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করে মার্কিন প্রশাসনের প্রতিনিধির নির্দেশ ছাড়া কাবুল বিমানবন্দরে যেতে নিষেধ করে দেয়। জানা যায় কাবুল বিমানবন্দরে আইএসআইএস উগ্রবাদীরা হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। এই পরিস্থিতিতে আজও গোলাগুলি হয় কাবুল বিমানবন্দরে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস