টেন্ডুলকারের সব রেকর্ড ভেঙে দেবেন রুট!
টেন্ডুলকারের সব রেকর্ড ভেঙে দেবেন রুট! - ছবি : সংগৃহীত
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন বিরাট কোহলির ভারতকে শাসন করলেন জো রুট। শনিবার তার লড়াকু মনোভাবের জন্যই প্রথম ইনিংসে ৩৯১ রানে শেষ করল ইংল্যান্ড। ২৭ রানের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো লিডও পেল সাহেবরা।
ট্রেন্ট ব্রিজে প্রথম টেস্টে ৬৪ ও ১০৯ করার পর এ বার ৩২১ বলে ১৮০ রানে অপরাজিত থাকলেন। ক্রিজে ছিলেন ৫৩৩ মিনিট। ১৮টি চার এল তার ব্যাট থেকে। আক্ষরিক অর্থে একার কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে দলের সঙ্কট রক্ষা করে চলেছেন। এই ইনিংস গড়ার আগে চাপ ছিল পাহাড়ের সমান। ২৩ রানে ২ উইকেট থেকে একা কাঁধে পাল্টা লড়াই করা মুখের কথা নয়। জো রুট বারবার সেটা করে দেখাচ্ছেন। মাথা ঠাণ্ডা রেখে সারাদিন কোহলির দলকে শাসন করে গেলেন।
সবুজ উইকেটে তৃতীয় দিন ইংল্যান্ড ২৪৫ রানে পিছিয়ে থেকে খেলা শুরু করেছিল। ভারতই এগিয়ে ছিল দিনের শুরুতে। কিন্তু এগিয়ে থাকা ও যুদ্ধ জেতার মধ্যে যে আকাশ-পাতাল ফারাক আছে সেটা বুঝিয়ে দিলেন রুট। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ সিরাজ (৯৪/৪) ও ইশান্ত শর্মা (৬৯/৩) লড়লেন। এই দুজনের জন্যই শেষ বেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করল দল। তবে যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ শামি অনেকটাই নিস্প্রভ। বুমরা এ দিন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। একের পর এক নো বল করে গেলেন কোহলীর প্রধান অস্ত্র। এর সঙ্গে যোগ হল ডিআরএস না থাকা। খেলার দ্বিতীয় দিন দুটি রিভিউ নষ্ট করে নিজেদের চাপ বাড়িয়েছিল ভারত। এ দিন এর খেসারত দিল কোহলীর দল।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক টেস্ট ক্রিকেটে ৯,০০০ রানের গন্ডি টপকে ইতিহাসে নিজের নাম লেখালেন। রুট এই মাইলফলক ছুঁলেন ৩০ বছর ২২৭ দিনে। ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা শচিন টেন্ডুলকারের এই গন্ডি পার করতে সময় লেগেছিল ৩০ বছর ২৫৩ দিন।৯,০০০ রান করার ক্ষেত্রে বয়সের বিচারে শচিনকেও পিছনে ফেলে দিলেন রুট। রেকর্ড আর এক প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের। তিনি ৯,০০০ রান করেছিলেন ৩০ বছর ১৫৯ দিনে।
এই অনবদ্য নজির গড়ার পর সবচেয়ে প্রশ্ন রুট কি শচিনের টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের নজির ভাঙতে পারবেন? এখনও অবধি যা আভাস মিলেছে তাতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক সেই কৃতিত্বও নিজের ঝুলিতে ভরলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
ইংল্যান্ডের লিড মাত্র ২৭ রানের। এই রান টপকে গিয়ে সাহেবদের চাপে ফেলা কেহলীদের পক্ষে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু অজিঙ্ক রহাণে, চেতেশ্বর পূজারা ছন্দে নেই। তার উপর রুটের কাঁটা তে রয়েইছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা