তালেবানের বিজয় কী পরিণতির দিকে এগুচ্ছে?
তালেবানের বিজয় - ছবি : সংগৃহীত
তালেবানের বিজয় কী পরিণতির দিকে এগুচ্ছে? এ প্রশ্নটি বিশেষভাবে মনের সামনে এসেছে শুক্রবার সকালের চারটি টুইট পড়ার পর। আফগানিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হবার জন্য আমি ৫/৬ জনের টুইট এবং দুটি পোর্টাল নিয়মিত ফলো করার চেষ্টা করি। এই টুইটগুলো হলো সরকার পক্ষের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি, প্রধান আলোচক ড. আব্দুল্লাহ আবদুল্লাহ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ হানিফ আতমার এবং তালিবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ ও সোহেল শাহিনের। এর বাইরে দুই পক্ষের সর্বশেষ খবরের জন্য টলো নিউজ ও লআমিরাত.নেট দেখার চেষ্টা করি। সে সাথে আল জাজিরায় আফগান যুদ্ধের সর্বশেষ খবরাখবর সবচেয়ে আগে পাওয়া যায়।
শুক্রবার সকালে প্রথমেই নজরে আসে জবিহউল্লাহ মুজাহিদের একটি টুইট যেখানে তিনি
জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম প্রদেশ হিরাতের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ কান্দাহারে তালেবানের বিজয় হয়েছে। তিনি আরেক টুইটে তালেবান হিসাবে পরিচিত ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানের মুখপাত্র ক্বারী মোহাম্মদ ইউসুফ আহমদীর আনুষ্ঠানিকভাবে কান্দাহার জয়ের ঘোষণাটি যুক্ত করে দিয়েছেন।
এর পর পরই আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ড. আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর দুটি টুইট আসে। এতে এইচসিএনআর-এর চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি কাতারের দোহায় আফগানিস্তানের বর্তমান উন্নয়ন নিয়ে অনুষ্ঠিত দুটি বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন এবং জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি অধিবেশন ডাকার আহ্বানও জানিয়েছেন। এর আগে আফগান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের ক্ষমতা ভাগাভাগি করার প্রস্তাব দেয় তালেবানের কাছে।
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি যে অতি দ্রুত পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে তা অনুভব করা যায় গত ১০ দিনের ঘটনা পরম্পরায়। এই সময়ে তালেবান আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ১৯টির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। বানিয়ান ছাড়া বাকি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করার জন্যও তালেবান অগ্রসর হচ্ছে। এর মধ্যে তালেবান গোষ্ঠী হেরাত ও কান্দাহার শহর দখলের পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রাদেশিক রাজধানী, কালাত, তেরেনকোট, পুল-ই আলম, ফিরুজ কোহ, কালা-ই-নাউ এবং লস্করগাহ দখল করে নেয়।
গুরুত্বপূর্ণ প্রাদেশিক রাজধানী মাজার ই শরীফের যেকোনো সময় পতনের খবর আসতে পারে। এটি হলে কাবুলের বাইরে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রদেশ সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। তালেবানের অতিদ্রুত দেশের উপর এই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় কাবুল সরকারের মধ্যে সঙ্গত কারণেই অস্থিরতা বেড়েছে। আফগান অর্থমন্ত্রী তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ কাবুল ছেড়ে তাজিকিস্তান চলে যাবার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক ব্যক্তি দেশ ত্যাগের প্রস্ততি নিচ্ছেন।
বিস্ময়কর একটি বিষয় হলো অনেকগুলো প্রদেশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে গেছে যেখানে সেভাবে কোনো যুদ্ধ হয়নি। কাবুল অনুগত প্রশাসনের লোকজন তালেবানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করে বাড়ি চলে গেছেন। তালেবান বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রশাসনের লোকদের তাদের স্ব স্ব পদে বহাল রাখছে। ফলে সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তিতে কোনো সংকট হচ্ছে না। অফিস আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে চলছে। কুন্দুজে সরকারি বাহিনী দুটি অ্যাটাক হেলিকপ্টার তালেবানের হাতে দিয়ে চলে গেছেন। হেরাতে দুটি মিগ ২১ এবং দুটি
এপাচি এটাক কেলিকপ্টার সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় তালেবান হাতে পেয়েছে। হেরাতের কাবুল সরকার নিয়োজিত গভর্নর তালেবানে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে।
তালেবান সূত্রগুলো থেকে জানা যাচ্ছে, কাবুল ছাড়া বাকি প্রাদেশিক রাজধানীগুলো এক প্রকার তাদের নিয়ন্ত্রণের দৃষ্টিসীমার মধ্যে রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রাজধানী ছাড়া পুরো আফগানিস্তানে তালেবানের নিযন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হতে পারে। কাবুলের পতনের ব্যাপারে দুটি সম্ভাবনার কথা জানা যাচ্ছে। একটিতে বলা হচ্ছে, তালেবান স্পর্শকাতর রাজধানী কাবুলকে সামরিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় না। তারা এক ধরনের সমঝোতার মাধ্যমেই কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। আর কাবুলে থাকা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারসহ বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তিবর্গকে অন্তবর্তী প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এটি হলে তালিবান নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার আন্তর্জাতিক সব পক্ষের সহজ স্বীকৃতি পাবে।
অন্য একটি সূত্রের বক্তব্য অনুসারে, কাবুল সরকার কার্যত ভেঙ্গে পড়েছে। এই সরকারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেছে তালেবানের কাছে। তালেবান চাইলে সহজে কাবুলের উপর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। কাবুলের বিদেশী দূতাবাস ও মিশনসহ সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে তালেবানের দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা রয়েছে।
কাবুল বিমান বন্দরের নিরাপত্তা ও অন্যান্য ইস্যুতে তালেবানের শীর্ষ ব্যক্তিদের সাথে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাক্ষাত হবার সম্ভাবনার কথা প্রেসিডেন্ট নিজেই জানিয়েছেন। এর মধ্যে আফগানিস্তান ইস্যু নিয়ে পাকিস্তান সফররত তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারের সাথে তালেবান নেতাদের বৈঠক হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
এসব কিছু দেখে মনে হচ্ছে তালেবান আফগানিস্তানের সামগ্রিক দায়িত্ব গ্রহণের ব্যাপারে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সমঝোতার মাধ্যমে হোক অথবা কাবুল সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে আফগান প্রশাসনের মূল নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে যাবার বিষয়টি সময়ের ব্যাপার মনে হয়।
এখন আফগান সরকারের পক্ষ থেকে মূলত কথা বলছেন ড. আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। আশরাফ গনি সরকারকে তালেবান কোনোভাবেই মানবে না এই বার্তা তারা আগেই দিয়েছে। সমঝোতার কোনো সরকার হলে তাতে কাবুল প্রশাসনের কেউ যদি অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে ড. আবদুল্লাহ আবদুল্লাহরই হবার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো বা এই কারণেই তিনি চাইছেন তালেবান সামরিক শক্তি দিয়ে পুরো দেশের কর্তৃত্ব না নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় আসুক। কিন্তু কাবুল সরকারের কর্তৃত্ব যেভাবে ভেঙ্গে পড়ছে তাতে সেটি কতটা হয় তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কয়েক মাস আগেও আশরাফ গনির সরকার তালেবানের সাথে বসতেই রাজি হচ্ছিল না। আমেরিকার চাপে পরোক্ষ আলোচনার সময় তাদের পক্ষ থেকে সরকারে ৩০ ভাগ অংশীদারিত্ব তালেবানকে দেবার প্রস্তাব করা হয়। অথচ তালেবান যে দেশটির বিজয়ী শক্তি সেটি এক প্রকার বিশ্বের বেশির ভাগ শক্তি মেনে নিয়েছে। এটি বুঝতে পেরে আমেরিকানরা তালেবানের সাথে আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের জন্য আলোচনা শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। তাদের সাথে চুক্তি সম্পাদন করে আমেরিকান ও ন্যাটো সেনা প্রত্যাহার এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে চূড়ান্ত করে এনেছে।
আর আফগান সরকার এমন এক সময় তালেবানের কাছে অংশীদারিত্বমূলক সরকারের
প্রস্তাব দিলো যখন বাস্তবে তাদের দরকষাকষির শক্তি অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। তাদের এখন প্রধান শক্তি হলো আন্তর্জাতিক ফোরাম এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের বিষয়টি। আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ মূলত সেটিকেই কাজে লাগাতে চাইছেন। তিনি তার টুইটে বলেছেন, আফগানিস্তান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে এবং সহিংসতার অবিলম্বে অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন। দোহায় আফগানিস্তান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা উভয় পক্ষের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য একটি অত্যন্ত জরুরি এবং অপরিহার্য বিষয় হিসেবে শান্তি প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন। বৈঠক থেকে জারি করা চূড়ান্ত বিবৃতিতে দুই পক্ষকে আস্থা গড়ে তোলার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি রাজনৈতিক সমঝোতা এবং একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে বলা হয়েছে। আর তাৎক্ষণিকভাবে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে অন্যান্য গভর্নরেট এবং শহরগুলিতে।
কাতারে পর পর দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একটি ছিল ট্রয়কা প্লাস সভা। যেখানে অংশগ্রহণকারী ছিল যুক্তরাষ্ট্র চীন রাশিয়া ও পাকিস্তান। আরেকটিতে কাতার সরকারের আমন্ত্রণে, চীন, উজবেকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, কাতার, জাতিসঙ্ঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিরা ১০ আগস্টের মতো দোহায় বৈঠক করেন। ইইউর বিশেষ দূত এবং
জার্মানি, ভারত, নরওয়ে, কাতার, তাজিকিস্তান, তুরস্ক ও তুর্কমেনিস্তানের প্রতিনিধিরা ১২ আগস্ট আন্ত:আফগান আলোচনার অবস্থা মূল্যায়ন করতে; বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে দুই আলোচনাকারী দলের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসেন।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা একটি রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য (ক) অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন; (খ) নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারসহ মানবাধিকারের প্রতি সম্মান; (গ) একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা, (ঘ) কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে আফগানিস্তানের মাটি অন্য দেশের নিরাপত্তা হুমকির জন্য ব্যবহার করতে না দেওয়ার অঙ্গীকার; এবং, (ঙ) আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মান্য করার আহ্বান জানান।
হোয়াইট হাউসের সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে বলা হয়, “আমরা আফগানিস্তানের জনগণের কাছে যে বার্তা পাঠাচ্ছি তা হল স্থায়ী অংশীদারিত্বের ব্যবস্থা। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার হবে এবং আপনি যে কোন উপায়ে এটি পরিমাপ করতে পারেন। এখন আমরা কূটনৈতিক উপস্থিতি অব্যাহত রেখেছি। আমাদের দূতাবাস খোলা থাকে; ফিল্ডে আমাদের কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা অব্যাহত থাকবে। এটি আমাদের কনস্যুলার পরিষেবা, মানবিক সহায়তা পরিষেবাগুলি পূরণ করার সুযোগ দেবে।
রাষ্ট্রদূত খলিলজাদ ও তার দল এই সপ্তাহে দোহায় ছিলেন। তারা ইতিমধ্যে একটি জোড়া সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। কয়েকটি লক্ষ্য মাথায় রেখে এই অঞ্চল এবং এর বাইরে থেকে, পাশাপাশি বহু -পক্ষীয় সংস্থাগুলোর একটি সমাবেশে তিনি অংশ নিয়েছেন,: এর এক নম্বর বক্তব্য ছিল, সহিংসতা হ্রাস এবং যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেয়া; এবং দুই নম্বর হলো - দোহায় প্রতিনিধিত্ব করে এমন সরকারগুলোর পক্ষ থেকে একটি অঙ্গীকার যে শক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় এমন কোনো সত্তাকে স্বীকৃতি না দেওয়া। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এই কথা বলছে তা নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটি বলছে। যে কোনো শক্তি বন্দুকের ব্যারেল দিয়ে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে তা স্বীকৃত হবে না, বৈধতা পাবে না, আন্তর্জাতিক সহায়তা জোগাড় করতে পারবে না। এই ধরনের কোনো সরকার স্থায়িত্বের জন্য চ্যালেঞ্জে পড়বে।”
কিন্তু কাবুল সরকারের দুর্ভাগ্য হলো, তারা এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়ও টিকতে পারছে না। আমেরিকান গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল সেনা প্রত্যাহারের ৩০ দিনের মধ্যে সরকার ভেঙ্গে পড়বে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আগস্ট মাস পুরোটা আশরাফ গনির সরকার টিকতে পারবে কিনা। শুক্রবার সকালে আফগান প্রাদেশিক রাজধানী দখলের সংখ্যা ছিল ১২টি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় দাঁড়িয়েছে ১৯টিতে। রাতে ঘুমানোর সময় তা বেড়ে যদি ২৫টিতে উন্নীত হয় তাহলে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না।