আইসিসি কি ঘুমিয়ে আছে?
ইনজামাম উল হক - ছবি সংগৃহীত
সদ্য পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সফরে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। মূল দলের খেলোয়াড়দের বাইরে রেখে দল সাজিয়েছে কিউইরা। এতেই চটেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হক। খেলাটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নজরদারি না করাতেই বিভিন্ন দল মূল খেলোয়াড়দের পাকিস্তানের সাথে খেলছে না বলে দাবি করেন তিনি। এতে পাকিস্তান ক্রিকেট দলেরই বড় ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করেন ইনজি। কারন মূল দলের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলতে না পারায় প্রস্তুতিতে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে পাকিস্তানের বলে মনে করেন তিনি।
আইসিসির উপর বিরক্ত হয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইনজামাম বলেন, ‘পাকিস্তান দল মূল ক্রিকেটারদের বিপক্ষে খেলার সুযোগই পাচ্ছে না। এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাদের মূল ক্রিকেটাররা ছিল না। প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলতে গিয়েছিল। ইংল্যান্ড সফরেও করোনার কারণে ইংল্যান্ড দলের মূল ক্রিকেটারদের পাওয়া গেল না। সামনে নিউজিল্যান্ড আসবে পাকিস্তানে, সেখানেও মূল দলের অনেক ক্রিকেটার থাকছে না। আমার মনে হচ্ছে, মূল ক্রিকেটারদের বিপক্ষে খেলতে না পারায় পাকিস্তানের প্রস্তুতি ঠিকমতো হচ্ছে না।’
আইসিসি নজরদারি থাকলে, মূল দলের খেলোয়াড়দের পাওয়া যেত বলে মনে করেন ইনজামাম। তিনি বলেন, ‘অন্য দলগুলো কি আমাদেরকে ‘বি’ দল মনে করে? নাকি আমাদের সাথে খেলতেই চায় না? আইসিসি কি করছে? তারা কি ঘুমিয়ে আছে? তারা কি বার্তা দিতে চাচ্ছে? তারা কেন এসব দেখছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মনে হচ্ছে, এক বছর ধরে সত্যিকারের ক্রিকেট আমরা খেলতে পারছি না। এটা ভাবার বিষয়। পাকিস্তান কেন আইসিসির কাছে অভিযোগ করছে না? এসব ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আন্তার্জাতিক ক্রিকেট থাকলে ক্রিকেটারদের প্রাইভেট লিগে খেলতে দেওয়া উচিত নয়।’
ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মনে করেন ইনজামাম। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটাররা প্রাইভেট লিগগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এটা অপমানজনক। এটি কেবল পাকিস্তানের সাথেই এমন হচ্ছে।’
ইনজামাম হয়ত খেয়াল করেননি, সদ্যই শেষ হওয়া বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার উপরের সারির অনেক ক্রিকেটারই আসেননি। বাংলাদেশ সফরে নিউজিল্যান্ডের অনেক নামী-দামি ক্রিকেটাররা আসবেন না। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করেননি অস্ট্রেলিয়ার অনেক ক্রিকেটারই। শ্রীলংকা সফরে ছিলো ভারতের ‘বি’ টিম। তাই শুধুমাত্র যে পাকিস্তানের সাথে ইচ্ছা করেই এমনটা হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। করোনার জৈব-সুরক্ষা বলয়ের পাশাপাশি আগামী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকায় মূল দলের খেলোয়াড়দের পাঠাচ্ছে না বিশ্ব ক্রিকেটের দলগুলো।
সূত্র : বাসস