ভেতরে হলুদ মিষ্টি বেশি : বারি তরমুজ-১ ও ২

এইচ এম হুমায়ুন কবির কলাপাড়া (পটুয়াখালী) | Aug 11, 2021 07:49 am
বারি তরমুজ-১ ও ২

বারি তরমুজ-১ ও ২ - ছবি : সংগৃহীত

 

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্রতীরবর্তী উপকূলীয় জনপদ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে কুমিমারা গ্রামে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও প্রথমবার তরমুজ চাষে বিপ্লব ঘটেছে।

জাকির হোসেন গাজীকে লেবুখালী আঞ্চলিক কৃষি উদ্যান তথ্যকেন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট তরমুজ চাষে পরামর্শ দেয়। তারা চারা ও মালচিং পলি (অ্যালমুনিয়াম-জাতীয় যা বৃষ্টিতে নষ্ট হয় না) দিয়ে সহযোগিতা করে। চারাগুলো সংগ্রহ করে কৃষকদের বিনামূল্যে দিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদানসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন চাষিদের। জাকির হোসেন ৩৩ শতাংশ, ওমর ফারুক ৬৬ শতাংশ ও আবদুল হান্নান ১০ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেন।
মাচায় ঝুলছে সারি সারি তরমুজ। রোগবালাই মুক্ত রাখতে মাচায় বসানো হয়েছে ফাঁদ। এতে পোকামাকড়ের হাত থেকে তরমুজ রক্ষা পাবে। চাষের জমিতে খুঁটি পুঁতে জাল দিয়ে লতাগুলো জালের উপর তুলে দেয়া হয়। সেগুলো তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে। এরপর আসে ফুল। ফুল থেকে ফল।

এই প্রথম তিনজন দক্ষ কৃষক সুস্বাদু উচ্চমূল্যের এ তরমুজ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। চলতি ভরা বর্ষা মৌসুমেও তার মাচায় ঝুলছে ছোট-বড় অনেক তরমুজ। এই তরমুজের স্বাদও বেশ ভালো। এখন সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে তরমুজ। স্বপ্ন দেখাচ্ছে চাষিদের। গাছের যেখানে চোখ যাবে, সেখানেই তরমুজ। এখন তরমুজ আধা পাকা অবস্থা হয়েছে। আমাদের দেশে প্রচলিত তরমুজের ভেতরে লাল, কিন্তু এই তরমুজের ভেতরটা হলুদ। মিষ্টতা মৌসুমি তরমুজের চেয়ে বেশি। নিচু, পতিত জমিকে বহুমুখী ব্যবহারের জন্য এই প্রযুক্তি দক্ষিণাঞ্চলে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। একসময় বছরে তিন মাস বাজারে তরমুজ পাওয়া গেলেও এখন মিলবে সারা বছরই।

বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ২০১৭ সালে প্রথম ভাসমান সবজি ও ফল আবাদ প্রকল্পের অধীনে প্রথম পরীক্ষামূলক ‘বেবি ওয়াটার মেলন’ বা ছোট তরমুজের আবাদ শুরু হয়। সেটি ছিল আকারে ছোট, এক থেকে দুই কেজি ওজনের এবং হাইব্রিড প্রজাতির। এরপর এই ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে গত বছর দু’টি দেশী জাত বারি তরমুজ-১ ও ২ উদ্ভাবন করেন। সেটি লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যান তত্ত্বকেন্দ্রে আবাদ করে ভালো ফল পাওয়া গেছে। কৃষক জাকির হোসেন গাজী বলেন, আমি একসময় রাজমিস্ত্রির কাজ করতাম। তা বাদ দিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে কৃষিকাজ করছি। এ বছর আমি ৩৩ শতাংশ জমিতে তরমুজ ও সবজি চাষ করি।

কৃষক ওমর ফারুক বলেন, আমি ৬৬ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আশা করি, ১০-১৫ দিনের মাথায় বাজারজাত করতে পারব। আল্লাহর রহমতে অল্প সময়ে ভালো ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। সামনে দিকে তরমুজ চাষ আরো বেশি করা যায় সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কৃষকদের সার ও ওষুধের ব্যাপারে আমরা অফিস থেকে সহতায় করছি।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us