কেন আলোচনায় পেরুর প্রেসিডেন্ট

খাত্তাব কানন চৌধুরী | Aug 07, 2021 06:02 pm
পেরুর প্রেসিডেন্ট

পেরুর প্রেসিডেন্ট - ছবি : সংগৃহীত

 

ব্যতিক্রমী এক প্রেসিডেন্টের শাসনামলে প্রবেশ করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু। একই সাথে তিনি কৃষক, শিক্ষক, সংগঠক, প্রেসিডেন্ট। এক ব্যক্তি, চার পরিচয়। তবে নিজেকে কৃষক পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিরল এ ব্যক্তির নাম পেদ্রো কাস্তিলিও। দেড় মাসের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে ২৮ জুলাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বামপন্থী পেদ্রো কাস্তিলিও। দেশটির ইতিহাসে ৬৩তম প্রেসিডেন্ট সাবেক এই শিক্ষক, কৃষক এবং রাজনীতিবিদ পেদ্রো কাস্তিলিওর মতো আর কোনো প্রেসিডেন্ট দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত ছিলেন না।

তিনিই দেশটির আধুনিককালের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান যার রাজধানীতে কোনো বাড়ি নেই। এ কারণেই পেরুর সাধারণ মানুষ মতে করছেন, দেশ পরিচালনায় তার নীতিমালা পেরুকে বিশ্বে তুলে ধরবে এক অনন্য উচ্চতায়।

শ্রেণীকক্ষ কিংবা ফসলের খেত থেকে লাতিন আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া, ৫১ বছর বয়সী নতুন এই বামপন্থী প্রেসিডেন্টের সাফল্যের গল্প রূপকথাকেও হার মানায়। অশিক্ষিত কৃষক বাবা-মায়ের ঘরে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় ছোট্ট এক গ্রামে ১৯৬৯ সালে জন্ম পেদ্রোর। মা-বাবার ৯ সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। আর দশটা দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তানের মতো তাকেও ছেলেবেলা থেকে পরিবারের সহযোগিতায় কৃষিকাজ করে বেড়ে উঠেতে হয়েছে। সারাটা জীবনই কেটেছে সাধারণ বেশভূষায়। ছোট্ট বেলা থেকে কায়িক পরিশ্রম করলেও পড়াশোনায় ছিলেন সিরিয়াস। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনে ছিলেন বদ্ধপরিকর। ঘরের কাজ থেকে মাঠে গরু চড়ানো, হালচাষসহ হেন কোনো কাজ নেই যা করেননি। পড়াশোনার খরচ জোগাতে কৈশোরেই করতে হয়েছে বিচিত্র সব কাজ। যেমন- কফি খেতে কাজ করা, আইসক্রিম বিক্রি, রাজধানী লিমতে পত্রিকার হকারি ইত্যাদি। শুধু তা-ই নয়, হোটেলের টয়লেটও সাফ করেছেন। দারিদ্র্যের সাথে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করেই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন যদিও স্কুল ছিল অনেক দূরে। বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় হেঁটে পৌঁছাতে হতো। কর্মজীবন শুরু করেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে ১৯৯৫ সালে। শিশুশিক্ষার্থী পড়ানোর কাজটি করেন টানা ২৫ বছর, ২০২০ পর্যন্ত।

কাস্তিলিও ২০০২ সালে রাজনীতিতে নাম লেখান। তবে মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান। আলোচনায় আসেন ২০১৭ সালে। স্কুলশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি এবং অন্য সব দাবিতে ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেয়া পরিচিতির পাশাপাশি জনপ্রিয়তা এনে দেয় । সেই শুরু। তার সাফল্যের গল্পগাথা রূপকথাকেও যেন হার মানায়।

রাষ্ট্রীয় কাজে একেবারে অনভিজ্ঞ হয়েও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সমর্থনে পেদ্রো কাস্তিলিও প্রথমবারই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েই বাজিমাত করেছেন। কখনো জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতবেন, ভাবনায়ও ছিল না অনেকের। অন্য দিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী কিকো ফুজিমোরির জন্ম ১৯৭৫ সালে। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। লেখাপড়া করেছেন আমেরিকার নামি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক সময় দেশের ফার্স্ট লেডি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও দুর্নীতির মামলা রয়েছে। দেশের এলিট শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করেন। অনেক আগেই রাজনীতিতে কিকোর হাতেখড়ি। ডানপন্থী পপুলিস্ট দল পপুলার ফোর্সের নেত্রী তিনি।

কিকোর বাবা আলবার্তো ফুজিমোরি পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট। দুর্নীতি ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হয়ে আলবার্তো ২৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। কিকো ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আগে যখন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বাবার অপকর্মের দিকগুলো সামনে এনে হাজারো বিক্ষোভকারী তখন জানিয়ে দেন, ‘পেরুতে ফুজিমোরি আর নয়’। তবে বিরোধিতা সত্ত্বেও কিকো ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলেন। ধনী ও শহুরে ভোটারদের সমর্থন পান তিনি।

সেই কিকো-কে রাজনীতিতে একেবারে অপরিচিত নবিস পেদ্রো ধরাশায়ী করেন। পেদ্রো যেদিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন, সেদিন ছিল পেরুর স্বাধীনতা বার্ষিকীর ঘোষণার দিন। শপথের পর বলেছেন, ঔপনিবেশিক আমলে আমাদের পূর্বসূরিদের শোষণ করা হয়েছে। ঔপনিবেশিক যুগে পেরুতে শ্রেণী ও বর্ণ বৈষম্যের দেয়াল তৈরি করা হয়। সেই ভেদাভেদ এখনো গভীরভাবে পেরুতে রয়ে গেছে। এই ভেদাভেদ, এই ক্ষত সারিয়ে তুলতে হবে। আরো বলেছেন, বেতন নেবেন স্কুলশিক্ষকের। থাকবেন না রাজধানী লিমার বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে। ৫০০ বছর ধরে ক্ষমতার কেন্দ্র ওই ভবনটিকে বানাবেন জাদুঘর। তার ভাষায়, পেরুর এমন অংশ থেকে তিনি এসেছেন যারা শতাব্দীর পর শতাব্দী নিপীড়িত ও বঞ্চিত হয়েছেন। একজন গ্রাম্য শিক্ষক এখানে ধনী হতে আসেননি। হাউজ অব পিজারোতে (প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ) থাকবেন না তিনি।

ঔপনিবেশিক এসব প্রতীকের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে না পারলে প্রকৃত মুক্তি আসবে না, বলেন বামপন্থী এই প্রেসিডেন্ট। আরো বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছেন। যারা বৈধভাবে সম্পদ অর্জন করছেন, তাদের সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু যারা ঘুষ দিয়ে, অবৈধ উপায়ে একচেটিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাদের লাগাম টানার সময় এসেছে। পেরুর মতো ধনী দেশে সামাজিক বিভক্তি থাকতে পারে না। এই প্রথম পেরু একজন কৃষক দ্বারা পরিচালিত হবে। প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষে স্ত্রী লিলিয়া পারেদিসকে নিয়ে গ্রামেই ফিরে যাবেন তিনি। তাই শহুরে ধনীদের ভয়ে কাবু হবেন না। পেরুর গ্রামীণ দরিদ্র ভোটারদের সমর্থনেই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

পেদ্রো যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শুনতে ভালো লাগলেও সেগুলো বাস্তবায়ন কঠিন বৈকি। যেমন নির্বাচনী প্রচারকালে তিনি বলেছেন, ধনী পেরুতে কোনো গরিব থাকবে না। তার এই স্লোগান মনে করিয়ে দেয় গত শতকের সত্তরের দশকে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ‘গরিবি হটাও’ কর্মসূচির কথা। ভারত কেমন দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে, তা টের পাওয়া যায় এত বছর পরও দেশটিতে এখনো প্রতি বছর ঋণে জর্জরিত শত শত কৃষক যখন আত্মহত্যা করেন। পেদ্রোর দারিদ্র্যমুক্ত পেরু স্বপ্ন কতদূর বাস্তবে পরিণত হয় সামনের দিনগুলোতে বোঝা যাবে।

পেরুর সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বিভাজন সৃষ্টিকারী হলো এবারের নির্বাচন। ভোটাররা মোটা দাগে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একটি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে কিভাবে নিয়ে যাবেন পেদ্রো, তাও দেখার বিষয়। এ সংশয়ের কারণ হলো- জাতি হিসেবে বিভক্ত লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ বলিভিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের পরিণতি। জনহিতকর বহু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেও পশ্চিমা শক্তির বৈরী আচরণ এবং নিজ দেশের বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে মোরালেস গদি ছাড়তে বাধ্য হন। ভেনিজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজকেও পোহাতে হয় অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশক্তির জ্বালা। এ দিকে, গত শতকে নিজ নিজ দেশে স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী বহু নেতা ক্ষমতায় গিয়ে জনসমর্থন হারিয়েছেন অল্প দিনেই। তাই পেদ্রোর শাসক হিসেবে সফলতা নির্ভর করছে তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ওপর।

খনিজ সম্পদে ভরপুর পেরু বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তামা উৎপাদনকারী দেশ। এর পরও দারিদ্র্য আর বেকারত্ব পিছু ছাড়ছে না সাড়ে তিন কোটি মানুষের দেশটির। নির্বাচনী প্রচারে কাস্তিলিও দেশের খনি ও হাইড্রোকার্বন খাত জাতীয়করণের কথা বলেছেন। জয়ী হলে এক বছরে এক লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন এমন ওয়াদাও দিয়েছেন। অপরাধ মোকাবেলায় ফের মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালুর পক্ষে তিনি। এটি সত্য যে, অভিষেক বক্তব্যেই খনির কর বাড়ানোসহ অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। তার এ ঘোষণায় অস্বস্তিতে পড়েছেন দেশটির রাজনীতি ও ব্যবসা খাতের ‘অভিজাত’রা। তার বিজয় দেশটির রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক এলিটদের বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। এরই মধ্যে তাকে ‘কট্টর বামপন্থী’ তকমা দিয়েছেন বিরোধীরা।

তবে খনি জাতীয়করণের উদ্যোগ নিলে পেরুর খনিজসম্পদে পুঁজি বিনিয়োগকারী বহুজাতিক কোম্পানি এবং দেশীয় সুবিধাভোগীদের বাধার মুখে পড়তে হবে বর্তমান প্রেসিডেন্টকে, সহজে অনুমেয়। যেমন গত শতকের ১৯৫৩ সালে ইরানের তেলসম্পদ জাতীয়কারণের কারণেই দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ইঙ্গ-মার্কিন চক্রান্তে ক্ষমতাচ্যুত হন। পেদ্রোকে দেশে আমূল পরিবর্তন আনতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। কিন্তু মাত্র ৪৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী একজন প্রেসিডেন্টের পক্ষে কিভাবে সেটি সম্ভব, আগামীতে তা পরিস্কার হবে। সবচেয়ে বড় কথা, রাষ্ট্র পরিচালনার অনভিজ্ঞ যে কাউকে পদে পদে ক্ষমতার কদর্য দিকটি মোকাবেলা করতে হয়। পেদ্রোকে এ সঙ্কট মোকাবেলা করতে হবে।

আর তাৎক্ষণিক যে সমস্যা পেদ্রোকে মোকাবেলা করতে হবে তা হলো- বর্তমান বৈশ্বিক অতিমারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ যা পেরুতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাসে মৃত্যুর হার বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি সেগুলোর মধ্যে পেরু অন্যতম। করোনার প্রকোপ মোকাবেলা না করতে পারলে দেশটিতে দারিদ্র্যের হার আরো বাড়বে। ইতোমধ্যে এর প্রভাবে লাখো মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়েছেন। এটি কাটিয়ে উঠতে না পারলে জনগণের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। তখন পেদ্রোর জনপ্রিয়তার পারদ যেভাবে উঠেছিল, ঠিক একই গতিতে জনমত নিম্নমুখী হবে, এমন শঙ্কা থেকেই যায়।

এছাড়া দেশের ভেতরে বিরোধীপক্ষের তীব্র বিরোধিতা তাকে যে মোকাবেলা করতে হবে এর আলামত এখনই দেখা যাচ্ছে। মন্ত্রিসভা ঘোষণার এক দিনের মাথায় নতুন সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামে বিরোধীরা। বিক্ষোভ হয় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদ গুইদো বেলিডোর নিয়োগের প্রতিবাদে। রাজধানী লিমার রাজপথে শত শত মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ও প্রধানমন্ত্রী বেলিডোর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ কখনোই চাই না।’ অনেকে ‘সমাজতন্ত্রকে না বলুন’ লেখা প্লাকার্ড নিয়ে মিছিল করেছেন।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কট্টরপন্থী বেলিডো একজন সন্ত্রাসী। গত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশকে পেরুতে ক্ষমতা দখলে সশস্ত্র লড়াই করেছিল বামপন্থী গেরিলা সংগঠন ‘শাইনিং পাথ’। এ লড়াইয়ে পেরুতে ১০ হাজার সাধারণ মানুষ জীবন হারান। এই সংগঠনের প্রতি সহানুভূতিশীল কট্টর বামপন্থী বেলিডো। প্রশ্নবিদ্ধ রাজনৈতিক অবস্থান থাকার পরও তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় পেরুতে ফের সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েম হতে পারে। তাই বিক্ষোভকারীরা দেশটির সরকারে সন্ত্রাসবাদের সমর্থক ও প্রশ্নবিদ্ধ কোনো মুখ দেখতে চান না। এত সব চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান থাকায় পেদ্রোর তার মেয়াদকাল শান্তিপূর্ণভাবে কাটাতে পারবেন কি?


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us