২০১৩ আবারো ফিরে আসুক
সাকিব আল হাসান - ছবি : সংগৃহীত
ঘুমের দেশে আছি, না ঘোরে আছি, বোঝা বড় দায়। যা ঘটছে, ঘটে চলেছে তা সত্য তো? নাকি নিছকই কল্পনা?- ব্রিজটাউনে সেদিন যা ঘটেছিল, তার সত্যতা নির্ণয়ে কেউ কেউ হয়তো নিজ গায়ে নিজে চিমটিও কেটেছিল। আসলে এমনটা হবারই কথা, সাকিব আল হাসান যে তখন ক্যারাবীয় দ্বিপপুঞ্জে লিখে চলেছেন এক অতিমানবীয় রূপকথা।
কী হয়েছিল ওই দিন মনে পড়ে কী? স্মৃতিতে আছে কি ৩ আগস্ট ২০১৩ কথা? মাত্র ৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট শিকারের পথে সাকিব আল হাসান যে ধস নামিয়েছিলেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ইনিংসে। ড্যারেন ব্রাভো, কেভিন ও'ব্রায়েন, রস টেলর, পুরান, কুপার আর বদ্রিকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছিলেন বাঁ হাতের মায়াবি ঘূর্ণিতে বিভ্রমে ফেলে। ৪-১-৬-৬ আহা...
মারকাটারি ক্রিকেটের সংজ্ঞাই যেন বদলে দিয়েছে টি-টোয়েনন্টি ক্রিকেট। ২০ ওভারের ম্যাচে ২০০ পার হয় হরহামেশাই। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে রান বন্যায় ভেসে যায় স্কোরকার্ড। কিন্তু ওই দিন তা হয়নি, দুই দল মিলে খেলেছে মোটে ১২৫ বল, অর্থাৎ ২০.৫ ওভার। সম্মিলিত রান সংখ্যা ১০৫ । চার-ছক্কার ক্রিকেটে এত অল্প রানের ম্যাচকে কে মনে রাখে, আর কেনই বা রাখবে?
কিন্তু মনে রাখতে হয়েছে, চিরকাল মনে রাখতেও হবে। এক বাঙালি জাদুকর ওই দিন তার জাদুতে মুগ্ধ করেছিলেন গোটা বিশ্বকে। যেই মুগ্ধতা আজো কেটে উঠেনি। সময়ে সময়ে মনে পড়ে, সুখানুভূতির ঢেউ তোলে হৃদয়ে। বিশেষ করে আজকের দিনে, তথা ৩ আগস্ট সময়টাতে। এই দিনেই তো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা (বর্তমানে তৃতীয়) বোলিংয়ের কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব।
আজ আরো একটা ৩ আগস্ট। সাকিবের সামনে সুযোগ আরো একটা রূপকথা লেখার। আরো একবার মুগ্ধতা ছড়িয়ে গোটা বিশ্বকে বিস্মিত করে দেয়ার। হলুদের ঝাঁঝ কমাতে আজ খুব বেশিই প্রয়োজন তার। অস্ট্রেলিয়ার দর্প চূর্ণ করে, অহামিকায় ধস নামিয়ে সাকিব আল হাসান আরো একটা আগস্টের ৩ তারিখটাকে রাঙিয়ে দিক আপন মহিমায়। চাওয়াটা শুধুই আমার নয়, গোটা দেশের চাওয়া, দেশের প্রতিটি মানুষের চাওয়া। আমাদের আর্জিটা পূরণ করবেন তো?