কোন টিকা নিলে কতটি দেশে যেতে পারবেন?
কোন টিকা নিলে কতটি দেশে যেতে পারবেন? - ছবি : সংগৃহীত
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। এর ছাপ পড়েছে সর্বত্র। জীবিকা, পর্যটনসহ নানা কারণে লোকজনকে দেশে দেশে পাড়ি জমাতেই হয়। কোনো কোনো দেশে সংক্রমণ কমে যাওয়া ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি শিথিল করেছে। তবে ভ্যাকসিন বা টিকা গ্রহণ অপরিহার্য একটি বিষয়। অনেক দেশই ভ্যাকসিন পাসপোর্টও চালু করেছে। ভ্যাকসিন না নেয়া থাকলে অন্য দেশে প্রবেশ এখন বেশ কঠিন ব্যাপার।
তবে করোনার যেকোনো ভ্যাকসিন নেয়া থাকলেই আপনি অবাধে বিশ্বের যেকোনও দেশে ভ্রমণে যেতে পারেন, বিষয়টি এমন নয়। আবার ‘নির্দিষ্ট কিছু টিকার’ গ্রহীতা পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে অনেক দেশ।
সম্প্রতি অনুমোদনপ্রাপ্ত ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে কোন কোন ভ্যাকসিন নেয়া থাকলে ভ্রমণে আগ্রহী ব্যক্তিরা কতটি দেশে যেতে পারবেন তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ভ্রমণবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।
এতে দেখা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকারই গ্রহণযোগ্যতা বেশি পাওয়া গেছে। বিশ্বের ১১৯টি দেশ এখন পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বিশ্বে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বাধিক ব্যবহৃত।
আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণে কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদন দিয়েছে কতটি দেশ তার একটি শর্টলিস্ট দেখে নিন
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বের ১১৯টি দেশ
ফাইজার-বায়োএনটেকের অনুমোদন মিলেছে ৮৯টি দেশে
স্পুটনিক-৫ অনুমোদন দিয়েছে ৬৯টি দেশ
সিনোফার্মের ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে ৫৯টি দেশে
মডার্নার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ৫০টি দেশ
সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড ৪৫ দেশে অনুমোদন পেয়েছে
সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে ৩৭ দেশ
জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার অনুমোদন মিলেছে ৩৩ দেশে
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন অনুমোদন দিয়েছে ৬ দেশ
ক্যানসিনোবায়োর টিকার অনুমোদন মিলেছে ৪ দেশে।
সূত্র : আজকের কলকাতা
শীতেই থাবা বসাতে পারে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট!
শীতকালে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট থাবা বসাতে পারে, গোটা বিশ্বকে এমনই সতর্কবার্তা দিলেন ফ্রান্সের এক গবেষক।
ফ্রান্স সরকারের সায়েন্টিফিক কাউন্সিলের প্রধান জ্যঁ-ফসোয়াঁ দেলফেসি জানিয়েছেন, 'শীতকালে করোনার একটি নতুন ভ্যারিয়্যান্ট তৈরি হতে পারে, এমন আশঙ্কা দেখতে পাচ্ছি।' করোনাভাইরাসের রূপ বদল নিয়ে ভয়াবহভাবে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর একাধিকবার ভোল বদলেছে করোনাভাইরাস। আলফা, বিটা, ডেল্টা, গামা ভ্যারিয়্যান্টগুলোর দাপটে গোটা বিশ্ব। বর্তমানে ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট দাপট দেখাচ্ছে গোটা বিশ্বে।
এরই মধ্যে দেলফেসি বলেন, 'শীতকালে নতুন একটি ভ্যারিয়্যান্ট তৈরি হতে পারে বলে মনে করছি। কিন্তু এই ভ্যারিয়্যান্ট কতটা ভয়াবহ হতে পারে বা সংক্রামক হতে পারে, সেই বিষয়ে এখনও কিছু ধারণা করা যাচ্ছে না।' করোনা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, ওই বিষয়েও আশার কথা বলেন তিনি। এই বিশেষজ্ঞের কথায়, '২০২২ বা ২০২৩ সালে খুব সম্ভবত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।'
করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপের কথা জানান তিনি। জ্যঁ-ফসোয়াঁ দেলফেসির কথায়, 'আগামী কয়েক বছরে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে সামাজিক সহাবস্থান।' করোনাভাইরাসের হাত থেকে মুক্তির জন্য টিকাদানে বিশেষ জোর দিয়েছেন তিনি। যারা টিকা পেয়েছেন এবং যারা টিকা পাননি তাদের সমন্বয় বজায় রেখে চলা বড় চ্যালেঞ্জ, জানান তিনি।
সূত্র : এই সময়