বিদেশে যেতে হলে কোন টিকায় বেশি সুবিধা?
বিদেশে যেতে হলে কোন টিকায় বেশি সুবিধা? - ছবি : সংগৃহীত
করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনশিল্প। তা দেশে ও বিদেশে- উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে প্রায় ৭৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ। চলতি বছরেও সেই মন্দা কাটেনি। কিন্তু আগামী বছরে সেই মন্দা কাটার কিছুটা আভাস রয়েছে। ইতিমধ্যেই টিকার বিচার করে পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। তবে সব টিকা এখনও সব দেশের অনুমোদন পায়নি। কোন টিকা নিলে কোন দেশে যাওয়া যাবে, তার তালিকা তৈরি করছে বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা।
হালে এমনই একটি সমীক্ষা চালিয়েছে ‘ভিসাগাইড.ওয়ার্ল্ড’ নামের এক বেসরকারি সংস্থা। তাদের সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দেশ এখন পর্যন্ত স্বীকৃতি দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে। সংখ্যা প্রায় ১২০এ-র কাছাকাছি। অর্থাৎ অ্যাস্ট্রাজেনেকার দু’টি টিকা নেয়া থাকলে প্রায় ১২০টি দেশে যেতে পর্যটকদের টিকা-সংক্রান্ত জটিলতায় পড়তে হবে না। যদিও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ড এখন পর্যন্ত এতগুলো দেশের স্বীকৃতি পায়নি। সাকুল্যে ৪০-এর আশপাশে দাঁড়িয়ে সংখ্যাটি।
এই তালিকায় দু’নম্বরে রয়েছে ফাইজারের টিকা। তিনে স্পুটনিক ভি, চারে চীনের সিনোফার্ম, পাঁচে রয়েছে মডার্না। তার পরে যথাক্রমে জনসন অ্যান্ড জনসন, কোভিশিল্ড, সিনোভ্যাক, কোভ্যাক্সিন, ক্যানসিনোবায়োর টিকা রয়েছে।
তাই যদি বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তা হলে টিকা নির্বাচনের বিষয়ে সচেতন থাকুন। কোন দেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তার উপর নির্ভর করে টিকা নিন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
একসাথে দুই প্রজাতির সংক্রমণের শঙ্কা কতটুকু?
করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতির ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই সকলের দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি পেত। এবার একই সাথে দুটি পৃথক প্রজাতির দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সকলের চোখ কপালে উঠেছে। শুরু হয়েছে বিস্তর গবেষণা। সম্প্রতি ডাবল ভ্যারিয়েন্ট ইনফেকশনে আসামের এক চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ইতিমধ্যে সকলের মাথায় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ভারতের মধ্যে দুটি পৃথক ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। শুধু তাই নয় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক।
আলফা ও ডেলটা প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অসমের ওই চিকিৎসক। এর আগে ব্রিটেন, ব্রাজিল ও পর্তুগালে এমনই ঘটনা সামনে এসেছিল।
কারা সর্বাধিক ঝুঁকির মুখে?
ইমিউনোকম্প্রোমাইজড বা কোমরবিড রোগীদের ক্ষেত্রে কোইনফেকশানের ঝুঁকি অনেক বেশি। রোগের প্রতি পৃথক রোগপ্রতিরোধ প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেও কোইনফেকশানের ঝুঁকি রয়েছে। শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস দ্বারাও কোইনফেকশান হতে পারে, কারণ এতে বিকশিত ও পরিবর্তিত হওয়ার প্রবণতা থাকে। এর আগে জানুয়ারিতে ব্রাজিলের এক বিজ্ঞানী দাবি করেছিলেন, দু'টি কেস পেয়েছেন সেখানে। ওই রোগী পৃথক দু'টি স্ট্রেনের দ্বারা আক্রান্ত। তবে সেই সংক্রান্ত গবেষণা কোনও জার্নালে প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে ইনফ্লুয়েঞ্জার দুটি পৃথক স্ট্রেনের সংক্রমণ ওই রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে। তবে করোনার ক্ষেত্রে দুটি পৃথক স্ট্রেনের একসঙ্গে সংক্রমণ ঘটানোর ঘটনা এখনও খুবই বিরল।
করোনা প্রতিষেধকের ফলে কী কোনো লাভ হতে পারে?
চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিষেধক ভাইরাসের পরিবর্তন বা মিউটেশন রোধ করতে পারবে। এমনকি এটি নতুন প্রজাতির উৎপত্তিও আটকাতে পারে। আবার কোইনফেকশানের কারণে কোনও ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হওয়া ও ক্রিটিক্যাল কেয়ারের প্রয়োজনীয়তাকে প্রতিষেধকের মাধ্যমে আটকানো যেতে পারে। তাই ভ্যাকসিনেটেড থাকাই শ্রেয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তাদের মতে, আশঙ্কাজনক নানা প্রজাতির কারণে যে গুরুতর পরিস্থিতি ও মৃত্যু হার দেখা যাচ্ছে তা কম করার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সূত্র : এই সময়