’ডোন্ট টাচ মাই হিজাব’, অধিকার রক্ষার যুদ্ধে ফরাসি মহিলারা
’ডোন্ট টাচ মাই হিজাব’, অধিকার রক্ষার যুদ্ধে ফরাসি মহিলারা - ছবি : সংগৃহীত
ফরাসি পার্লামেন্টে উত্থাপিত বিচ্ছিন্নতাবাদবিরোধী বিল নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। অনেকে এই বিলকে ইসলামোফোবিক বলে এর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন, বিশেষত এই বিলের মাধ্যমে যেভাবে হিজাবকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে তা নিন্দিত হচ্ছে প্রায় সব মহলে।
ধর্ম প্রদত্ত এই অধিকার যাদের থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে তারাই ফরাসি শাসকদের নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বিলটি আইনে পরিণত হলে স্কুল ট্রিপে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মায়েরা আর হিজাব পরতে পারবেন না, পাবলিক পুলে বুরকিনি (মুসলিমদের জন্য সাঁতারের পোশাক) নিষিদ্ধ হবে এবং অনুর্দ্ধ ১৮-র কাউকেই আর জনসমক্ষে ধর্মীয় পোশাক বা মুখ ঢাকা পোশাক পরার অনুমতি দেবে না ফ্রান্স সরকার।
ফরাসি মাটিতে ইসলামোফোবিয়ার এমন রাজনৈতিক দাপটের মুখে সোশ্যাল মিডিয়াকে ঢাল বানিয়ে ’ডোন্ট টাচ মাই হিজাব’ আন্দোলন শুরু করেছেন একদল মুসলিম মহিলা। এই যুদ্ধটা একেবারেই তাদের ধর্মীয় অ্ধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার। ’আমার হিজাবে হাত নয়’ শীর্ষক এই আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল দুইগু আকিনের হাত ধরে।
আকিনের এই বৈধ লড়াইয়ে তার সঙ্গ দিতে এগিয়ে আসে ফ্রান্সের ধর্মপ্রাণ মহিলারাও। দেশে বিরাজমান ইসলোমোফোবিক বিল এবং প্রশাসনিক আচরণ নিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আকিন।
সূত্র : পুবের কলম
কর্মস্থলে হিজাব নিষিদ্ধের আদেশ ইইউ আদালতের
রায়ে বলা হয় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিচয় ধারণ করে এমন পোশাক কর্মস্থলে পরিধান করা যাবে না
আলজাজিরা
কর্মস্থলে মুসলিম নারীদের হিজাব নিষিদ্ধের আদেশ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি শীর্ষ আদালত। তাদের বক্তব্য হলো, কোনো ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিচয় ধারণ করে এমন পোশাক কর্মস্থলে পরিধান করা যাবে না। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছার ওপর এ হিজাব নিষিদ্ধের বিষয়টি নির্ভর করবে।
জানা গেছে, জার্মানির একটি আদালত গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। দেশটির দুই মুসলিম কর্মজীবী নারীর দায়ের করা মামলায় এমন রায় প্রদান করে দেশটির আদালত। কর্মস্থলে হিজাব পরায় চাকরিচ্যুত হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন ওই দুই মুসলিম নারী। প্রতিকার পেতে তারা আদালতে গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই রায় দেন জার্মানির ওই আদালত। ওই দুই মুসলিম নারী জার্মানির হ্যামবার্গে একটি শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে কাজ করতেন। কর্মস্থলে হিজাব পরায় সম্প্রতি তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
আদালত আরো বলেন, কর্মস্থলে নিজের অবয়ব ঢেকে রাখা আইনবিরোধী কাজ।
সেবাদানকারীকে অবশ্যই মুখমণ্ডল খোলা রাখতে হবে। রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কারণে কোনোভাবেই কর্মক্ষেত্রে নিজের মুখ ঢেকে রাখা যাবে না। ওই আদেশে আরো বলা হয়, এসব ক্ষেত্রে নিয়োগ দানকারী প্রতিষ্ঠান চাইলে কর্মী ছাঁটাই করতে পারবে। এর আগে ২০১৭ সালে লুক্সেমবার্গের আদালত এক আদেশে বলেন, কর্মক্ষেত্রে মাথায় স্কার্ফসহ ধর্মীয় পরিচয় বহন করে এমন কিছু পরা যাবে না। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ রায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে।