মরিচের কত গুণ!
মরিচ - ছবি : সংগৃহীত
কেউ কাঁচা কামড়ে খান। কেউ খান ফোঁড়নে। যেমন ভাবেই খাওয়া হোক, তা থেকে শরীরে আসে ভিটামিন।
কিসের কথা হচ্ছে তো বুঝতেই পারছেন। মরিচ বা লঙ্কা শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না। এর অনেক গুণ আছে। শরীরের যত্ন নিতে এর কোনো জুড়ি নেই। হৃদ্যন্ত্র থেকে রক্তের শর্করা, সবেতেই নজর রাখে লঙ্কা। ফলে যেকোনো রোগ হলেই যে লঙ্কা বাদ দিয়ে রান্না করতে হবে, এমন মোটেও নয়। বরং লঙ্কা খাওয়া অভ্যাস করাতে হবে বাড়ির শিশুটিকেও। যাতে যত্নে কোনো ত্রুটি না থাকে।
এ দেশের রান্নায় নানা ধরনের মশলা পড়ে। দিন দিন তা নিয়ে অশান্তিও বেড়েছে মনের মধ্যে। কিন্তু সে সব মশলা দেয়ার কিছু কারণ আছে। নানাভাবে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে এই সব মশলা। ফলে বাদবাকি মশলার মতো লঙ্কার গুণও না জানলে চলে না।
১) সবের প্রথমে যে দিকে নজর দেয়া উচিত, তা হলো হজমোশক্তি। কোনো রান্নায় লঙ্কা দেয়া হয় মূলত এ কারণেই। এই মশলা হজমশক্তি প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
২) লঙ্কায় থাকে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তার প্রভাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়। প্রস্ট্রেটের সমস্যা থাকলে বিশেষ করে যত্ন হয় লঙ্কার মাধ্যমে।
৩) রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। যার প্রভাবে কমে হৃদ্রোগের আশঙ্কাও।
৪) লঙ্কায় থাকে ক্যাপ্সাইসিন। যার জন্য আসে ঝাল ভাব। কিন্তু এই ঝাল জিনিসটিই শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
৫) লঙ্কায় উপস্থিত ভিটামিন সি চোখ ও ত্বকের যত্ন নেয়। প্রতিরোধশক্তিও বাড়ায়।
৬) লঙ্কা খেলে শরীরে এন্ডর্ফিন তৈরি হয়। তার প্রভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তের শর্করার মাত্রা।
ফলে এর পরে রান্নায় বেশি লঙ্কা পড়েছে বলে রাগ প্রকাশ করার আগে ভেবে দেখবেন। ঝাল-ঝাঁঝের ওপারে অনেক যত্ন লুকিয়ে আছে এই খাদ্যে।
নাক ডাকা : সহজ ৫ সমাধান
নাক অনেকেরই নানা কারণে ডাকে। কিন্তু তাতে তার যতটা সমস্যা হয়, তার চেয়েও বেশি সমস্যা হয় পাশে যিনি থাকেন, তার।
তবে নাক ডাকাকে সাধারণ বিষয় বলে উড়িয়ে দেয়ার কিছু নেই। কারণ বহু ক্ষেত্রেই নাক ডাকার আড়ালে লুকিয়ে থাকে বড় অসুখও। যেমন নাক ডাকার অন্যতম বড় কারণ হতে পারে স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যা। তেমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতেই হবে।
কিন্তু সাধারণ নাক ডাকার সমস্যার কয়েকটি সহজ সমাধান রয়েছে। দেখে নেয়া যাক সেগুলো কী কী।
• চিৎ হয়ে শুলে যাদের তীব্র নাক ডাকে, তাদের অনেকেরই পাশ ফিরে শুলে নাক ডাকে না। পাশ ফিরে শুলে বাতাস চলাচলের পথটি খুলে যায়। তাই শব্দ কমে যায়।
• পরিসংখ্যান বলছে, যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, তাদের নাক ডাকে বেশি। তাই এই সমস্যা কমাতে ওজন কমানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
• উঁচু বালিশে মাথা রাখলেও অনেক সময়ে নাক ডাকার সমস্যা কমে। চার ইঞ্চি মতো উঁচু বালিশ ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
• নাক ডাকা কমানোর জন্য এক ধরনের ক্লিপ পাওয়া যায়। তা নাকে আটকে নিলেও অনেক সময়ে নাক ডাকার পরিমাণ কমে।
• যারা নিয়মিত মদ্যপান এবং ধূমপান করেন, তাদের নাক ডাকার সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে যারা ঘুমের আগে এই নেশাগুলো করেন। তাই নাক ডাকা কমাতে ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা