বাবর-রিজওয়ানের রেকর্ড জুটিতে দারুণ জয় পাকিস্তানের

অন্য এক দিগন্ত | Jul 17, 2021 06:49 am
বাবর-রিজওয়ানের রেকর্ড জুটিতে দারুণ জয় পাকিস্তানের

বাবর-রিজওয়ানের রেকর্ড জুটিতে দারুণ জয় পাকিস্তানের - ছবি : সংগৃহীত

 

সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে বড় রানের ইনিংস গড়েও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি পাকিস্তান। ফলে ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে এসেছে সমালোচনার তীর। তবে টি-২০ ক্রিকেটে বদলে গেল ওই পাকিস্তান। টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতেই সমালোচনার কড়া জবাব দিতে চাইলেন বাবর আজমরা। নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টি-২০'র ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের দলগত ইনিংস গড়ে তোলে পাকিস্তান। আর ম্যাচে পাকিস্তান ম্যাচে জিতে গেল ৩১ রানে।

টস জিতে ইংল্যান্ড শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তানকে। পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে করে ৬ উইকেটে ২৩২ রান। জবাবে স্বাগতিক দল ১৯.২ ওভারে ২০১ রানে অল আউট হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোনও দারুণ খেলেছেন। মাত্র ৪৩ বলে ১০৩ রানের ঝলমলে একটি ইনিংস খেলে জয় ছিনিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অন্য কারো কাছ থেকে সমর্থন না পেয়ে তার সেঞ্চুরিটি বিফলেই যায়। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর আসে জ্যাসন রয়েরে কাছ থেকে। তিনি করেছিলেন ৩২ রান।

পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও শাদাব খান ৩টি করে উইকেট নেন।

এর আগে ওপেনিং জুটিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম দলকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দেন। দু'জনে মিলে স্কোরবোর্ডে তোলেন ১৫০ রান। ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন উভয়েই।

রিজওয়ান ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায়্যে ৪১ বলে ৬৩ রান করে আউট হন। বাবর শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে দুরন্ত শতরান করেছিলেন। এই ম্যাচেও নিশ্চিত সেঞ্চুরির দিকে এগুচ্ছিলেন। তবে তিনি আউট হয়ে বসেন ব্যক্তিগত ৮৫ রানের মাথায়। ৪৯ বলের ইনিংসে তিনি ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।

শোয়েব মাকসুদ ৭ বলে ১৯, ফকর জামান ৮ বলে ২৬, মোহাম্মদ হাফিজ ১০ বলে ২৪, আজম খান ৩ বলে অপরাজিত ৫ ও ইমদ ওয়াসিম ২ বলে ৩ রান করেন। পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৩২ রান তুলে।

টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে এটিই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস। এর আগে তাদের সবচেয়ে বেশি রানের ইনিংস ছিল ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ২০৫। এবছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও পাকিস্তান ১ উইকেটের বিনিময়ে ২০৫ রান তুলেছিল।

'মহা ভুল করেছে পাকিস্তান'

কিভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের রাজনীতিই পাকিস্তান ক্রিকেটকে অন্ধকার পথে ঠেলে দিচ্ছে, সেদিকেই ইঙ্গিত করলেন ওদেশের সাবেক অধিনায়ক।
পাকিস্তানের বর্তমান দুরবস্থার জন্য পিসিবির রাজনীতিকেই দায়ী করলেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক রশিদ লতিফ। সাবেক এই তারকার দাবি, পিসিবি সরফরাজকে ক্যাপ্টেন্সি থেকে এবং মিকি আর্থারকে হেড কোচের পদ থেকে ছেঁটে ফেলে মহা ভুল করেছে।

ইউটিউব চ্যানেল ক্রিকেট বাজে আলোচনার সময় লতিফ বলেন, ‘মিকি আর্থারকে কেন সরিয়ে দেয়া হলো? ওকে ছেঁটে ফেলার কারণ কী ছিল? ওর প্রশিক্ষণে দল ভালো খেলছিল এবং উন্নতি করছিল। রেকর্ড দেখলেই সেটা বোঝা যায়। ওকে রাজনীতির শিকার হয়ে সরে যেতে হয়।'

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় পিসিবি আর্থারকে কোচের পদ থেকে ছেঁটে ফেলে। পরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর তিন ফর্ম্যাটেই ক্যাপ্টেন্সি কেড়ে নেয়া হয় সরফরাজের হাত থেকে। এমকি তাকে মাঠের বাইরেও থাকতে হয়। অথচ কোচ-ক্যাপ্টেন হিসেবে আর্থার-সরফরাজ জুটিই পাকিস্তানকে ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে সাহায্য করেন।

লতিফ আরো বলেন, ‘আমি মিসবাহকে দোষ দিচ্ছি না। হয়তো ও পাকিস্তানের হেড কোচ হতে চায়নি। ও কোচ হিসেবে নিতান্ত তরুণ এবং অনভিজ্ঞ। কেন ওকে দায়িত্ব দেয়া হলো? যা হয়েছিল, তার জন্য পিসিবি দায়ী।’

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us