ওয়ান ডে'র ইতিহাসে এটাই সেরা স্পিন বল?
ওয়ান ডে'র ইতিহাসে এটাই সেরা স্পিন বল? - ছবি : সংগৃহীত
এটাই কি ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা স্পিন বল? রেকর্ড বইয়ের পাতা ওলটালে এমন নজির আর একটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেই নিরিখে বলাই যায় যে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা ডেলিভারিতে ইমাম-উল-হকের উইকেট নিলেন ম্যাট পারকিনসন।
মঙ্গলবার বার্মিংহ্যামে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে চমকপ্রদ স্পিন বোলিংয়ের সাক্ষী থাকে ক্রিকেটবিশ্ব। প্রথম ইনিংসের ২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে লেগ-স্পিনার পারকিনসন ক্লিন বোল্ড করেন পাক ওপেনার ইমাম-উল হককে। বাঁ-হাতি ব্যাসম্যানকে ঘূর্ণি বলে কার্যত বোকা বানিয়ে দেন পারকিনসন।
বল অফ-স্টাম্পের অনেকটা বাইরে থেকে টার্ন নেয়। ইমাম পা বাড়িয়ে শট খেলার চেষ্টা করেন। তবে তার ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল গিয়ে স্টাম্প নাড়িয়ে দেয়। ইমাম আশাও করেননি বল একটা ঘুরতে পারে বলে।
অঙ্কের নিরিখে বিচার করলে এটাই ওয়ান ডে ক্রিকেটে উইকেট নেয়া সেরা স্পিন বল। কেননা এক্ষেত্রে বল ঘুরেছে ১২.১ ডিগ্রি। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেউ এতটা বল ঘুরিয়ে উইকেট তুলতে পারেননি। এমনকি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে শেন ওয়ার্ন ও মুরলিধরনও এতটা বল ঘুরিয়ে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরাতে পারেননি।
যে থেকে বল ট্র্যাকিং শুরু হয়েছে, সার্বিকভাবে তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে এটা উইকেট তুলে নেয়া দ্বিতীয় সেরা স্পিন বল।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
সবচেয়ে কম ইনিংসে ১৪টি শতরানের নজির পাকিস্তান অধিনায়কের
পরিচিত ছন্দে ফিরলেন বাবর আজম। দেরিতে হলেও ইংল্যান্ড সিরিজে দাপুটে ক্রিকেট খেলল পাকিস্তান। বেন স্টোকসদের কাছে ইতিমধ্যেই সিরিজ হেরে বসা পাকিস্তানকে নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন বাবর। সেই সাথে তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকে একাধিক নজির গড়েন। অবশ্য ম্যাচে পাকিস্তান হেরে গেছে। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে গড়ে ৩৩১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। কিন্তু এমন স্কোরও মামুলি বানিয়ে ছাড়ল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ১২ বল হাতে রেখে দলটি জিতল ৩ উইকেটে। তিন ম্যাচ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ট্রফি জিতল ইংলিশরা। শেষ ম্যাচে দারুণ খেলেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতে হলো পাকিস্তানের।
এমনটা নয় যে ব্যাট হাতে ফর্মে ছিলেন না বাবর আজম। বরং পাক দলনায়ক ইংল্যান্ড সফরে উড়ে যাওয়ার আগে পাকিস্তান সুপার লিগের ৬ ম্যাচে ৪টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তবে দেশের জার্সিতে বেশ কিছুদিন বড় রানের ইনিংস খেলতে পারছিলেন না বাবর।
গত এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ ম্যাচে শতরান করেছিলেন আজম। তার পর ৮টি আন্তর্জাতিক ইনিংসে তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ২৪, ২, ৪১, ৫২, ০, ২, ০ ও ১৯।
চলতি ইংল্যান্ড সফরের প্রথম দু'ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর বার্মিংহ্যামে ১৫৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন বাবর। ১৩৯ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন পাক দলনায়ক। এমন দুরন্ত ইনিংস খেলার পথে বাবর যে সব নজির গড়েন, একনজরে দেখে নেয়া যাক তালিকা-
১. ইনিংসের নিরিখে দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১৪টি সেঞ্চুরি করেন বাবর। তিনি ৮১তম ইনিংসে ১৪ নম্বর ওয়ান ডে সেঞ্চুরি করেন। অস্ট্রেলিয়ার মেগ ল্যানিং ৮২টি ইনিংসে ১৪তম শতরান করেন। ছেলেদের ক্রিকেটে হাসিম আমলা ৮৪টি ইনিংসে ১৪টি সেঞ্চুরি করেছিলেন।
২. ওয়ান ডে ক্রিকেটে বাবর আজমের এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তগত ইনিংস ছিল অপরাজিত ১২৫ রানের।
৩. ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোনো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
৪. একদিনের ক্রিকেটে কোনো পাক অধিনায়কের খেলা এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
৫. ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ক্রিকেটে এটাই কোনো ক্যাপ্টেনের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস