সবচেয়ে কম ইনিংসে ১৪টি শতরানের নজির পাকিস্তান অধিনায়কের
সবচেয়ে কম ইনিংসে ১৪টি শতরানের নজির পাকিস্তান অধিনায়কের - ছবি : সংগৃহীত
পরিচিত ছন্দে ফিরলেন বাবর আজম। দেরিতে হলেও ইংল্যান্ড সিরিজে দাপুটে ক্রিকেট খেলল পাকিস্তান। বেন স্টোকসদের কাছে ইতিমধ্যেই সিরিজ হেরে বসা পাকিস্তানকে নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন বাবর। সেই সাথে তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকে একাধিক নজির গড়েন। অবশ্য ম্যাচে পাকিস্তান হেরে গেছে। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে গড়ে ৩৩১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। কিন্তু এমন স্কোরও মামুলি বানিয়ে ছাড়ল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ১২ বল হাতে রেখে দলটি জিতল ৩ উইকেটে। তিন ম্যাচ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ট্রফি জিতল ইংলিশরা। শেষ ম্যাচে দারুণ খেলেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতে হলো পাকিস্তানের।
এমনটা নয় যে ব্যাট হাতে ফর্মে ছিলেন না বাবর আজম। বরং পাক দলনায়ক ইংল্যান্ড সফরে উড়ে যাওয়ার আগে পাকিস্তান সুপার লিগের ৬ ম্যাচে ৪টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তবে দেশের জার্সিতে বেশ কিছুদিন বড় রানের ইনিংস খেলতে পারছিলেন না বাবর।
গত এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ ম্যাচে শতরান করেছিলেন আজম। তার পর ৮টি আন্তর্জাতিক ইনিংসে তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ২৪, ২, ৪১, ৫২, ০, ২, ০ ও ১৯।
চলতি ইংল্যান্ড সফরের প্রথম দু'ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর বার্মিংহ্যামে ১৫৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন বাবর। ১৩৯ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন পাক দলনায়ক। এমন দুরন্ত ইনিংস খেলার পথে বাবর যে সব নজির গড়েন, একনজরে দেখে নেয়া যাক তালিকা-
১. ইনিংসের নিরিখে দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১৪টি সেঞ্চুরি করেন বাবর। তিনি ৮১তম ইনিংসে ১৪ নম্বর ওয়ান ডে সেঞ্চুরি করেন। অস্ট্রেলিয়ার মেগ ল্যানিং ৮২টি ইনিংসে ১৪তম শতরান করেন। ছেলেদের ক্রিকেটে হাসিম আমলা ৮৪টি ইনিংসে ১৪টি সেঞ্চুরি করেছিলেন।
২. ওয়ান ডে ক্রিকেটে বাবর আজমের এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তগত ইনিংস ছিল অপরাজিত ১২৫ রানের।
৩. ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোনো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
৪. একদিনের ক্রিকেটে কোনো পাক অধিনায়কের খেলা এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
৫. ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ক্রিকেটে এটাই কোনো ক্যাপ্টেনের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
ছক্কায় শুরু, ছক্কায় ফিফটি! গেইলের সাত ছক্কায় খতম অস্ট্রেলিয়া
সেই গেইল। আর সেই চার-ছয়ের বন্যা! এতেই কার্যত উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি২০-তে গেইল একাই ব্লকবাস্টার! গেইলের ৩৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অজিদের ছয় উইকেটে হারিয়ে দিল।
সিরিজের প্রথম দু-টি টি২০-তে আগেই জিতে গিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। টানা তিন নম্বর ম্যাচ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজও দখল করে ফেলল সোমবার। অস্ট্রেলিয়ার ১৪১/৬ তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১ বল হাতে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ২৭ বলে ৩২ রান করা নিকোলাস পুরান দলের হয়ে উইনিং শট হাঁকান।
তবে সেন্ট লুসিয়ার মাঠে কেবলই গেইলের তান্ডব। ৪১ বছরের ক্যারিবীয় তারকা সাতটা ছয়ের পাশাপাশি চারটে বাউন্ডারিও হাঁকান। ২০১৬-য় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মার্চে শেষবার হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তারপর দীর্ঘ পাঁচ বছর পর টি২০-তে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন তিনি।
নিজেদের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার থেকেই ব্যাট হাতে আক্রমণ শুরু করেন গেইল। জোশ হ্যাজেলউডের ওভারে একটা ছক্কা এবং তিনটে বাউন্ডারি হাঁকান। সেটাই শুরু গেইলের ছক্কা-কাহিনীর। তারপরের ওভারেই জাম্পার বলে টানা তিনটে ছয়। তখনই বিশ্বের প্রথম টি২০ ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করে নেন। ১১ ওভারেই নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ কর নেন তিনি। ‘বস’ স্টিকার লেখা ব্যাট তুলে ধরেন তিনি। ছক্কা দিয়ে ইনিংসের সূচনা করে হাফসেঞ্চুরি করেন ছক্কা হাঁকিয়ে।
ম্যাচ সেরার সম্মান পেয়ে গেল জানালেন, তার পরিসংখ্যান নয়, তার ব্যাটিং যেন দর্শকরা স্রেফ উপভোগ করে যান। “বেশ কিছুদিন ব্যাট হাতে সমস্যায় পড়ছিলাম। তবে এদিন রান পাওয়া বেশ তৃপ্তিদায়ক।” তিনি জানালেন, আপাতত তার ফোকাস টি২০ বিশ্বকাপে। যখন তার বয়স দাঁড়াবে ৪২। প্রথম দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় পেয়েছিল যথাক্রমে ১৮ এবং ৫৬ রানে।
এদিন ফিঞ্চ (৩১ বলে ৩০), ম্যাথু ওয়েড (১৬ বলে ২৩), মোজেস হেনরিকস (৩৩) আগার (২৪) ব্যাট হাতে ভাল শুরু করলেও বড় স্কোরে নিয়ে যেতে পারেননি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলা হেডেন ওয়েলশ জুনিয়রকে এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়েছিল। তিনিই এদিন জোড়া উইকেট নিয়ে অজিদের ব্যাটিংয়ে লাগাম দেন। ওবেদ ম্যাকয়, ডোয়েন ব্র্যাভো এবং ফ্যাবিয়েন এলেন প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন। বুধবার সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস