আফগানিস্তান : এশীয় ভূ-রাজনীতির নতুন স্নায়ুকেন্দ্র
আফগানিস্তান! এশীয় ভূ-রাজনীতির নতুন স্নায়ুকেন্দ্র! - ছবি : সংগৃহীত
সমুদ্র সংযোগবিহীন দেশগুলোর সাধারণত কোনো ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব থাকে না। চারদিকে অন্য দেশে ঘেরা করা দেশগুলো সবসময় প্রতিবেশীদের দাপটে তটস্থ থাকে।
কিন্তু ভূ-রাজনীতির এই সাধারণ ধারণা ভুল প্রমাণিত হতে যাচ্ছে আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে। দীর্ঘ ২০ বছরের অসম যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তান থেকে অনেকটা খালি হাতেই ফিরে যাচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু এরপরও আগামী দিনগুলোতে আফগানিস্তানে সংঘাত থামবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বরঞ্চ আমেরিকার বিদায়ের পর অন্য আঞ্চলিক পরাশক্তিগুলো চাইবে অভেদ্য আফগানিস্তানকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে নিয়ে আসতে। আর এরই প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তানে শুরু হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রবিহীন নতুন এক সংঘাত।
১.
আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী দেশগুলো হলো ইরান, পাকিস্তান, চীন, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান। অর্থাৎ আফগানিস্তানের একদিকে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া, তো আরেক দিকে মধ্য এশিয়া। ড্রাগন চীন যেমন চোখ মেলে আছে আফগানিস্তানের দিকে, ঠিক তেমনি পারস্য ভূমির সাথে লেপ্টে রয়েছে আফগান সীমান্ত। বর্ডার না থাকলেও মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়ার রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় স্থিতিশীলতার জন্য আফগানিস্তান বড় একটা ফ্যক্টর।
আফগানিস্তান যুগে যুগে বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর কবরস্থানে পরিণত হয়েছে বলে প্রবাদ রয়েছে। মধ্যযুগে হিন্দুস্তানের রাজা জয়পালের জয়রথ ঠেকিয়ে দেয়া আফগানিস্তান আধুনিক যুগে একে একে পরাজিত করে তিন পরাশক্তিকে। ব্রিটেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নামক আধুনিক পৃথিবীর তিন পরাক্রমশালী রাষ্ট্রকে পরাজয়ের স্বাদ দেয়ার গৌরব পৃথিবীর বুকে একমাত্র আফগানদের।
কিন্তু এরপরও আফগানিস্তানে শান্তি আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ! ভৌগোলিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান আফগানকে পরিণত করেছে পরাশক্তিদের দ্বন্দ্ব সংঘাতের কেন্দ্রস্থল হিসেবে।
আফগানিস্তানে বর্তমান ক্ষমতাসীন মার্কিনপন্থী আশরাফ গানি সরকার এবং তালেবান বা যুদ্ধরত আফগানরা ক্ষমতার দখল নিয়ে সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে এবং ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ের বছরখানেকের মধ্যে তালেবান যোদ্ধারা আফগান মসনদের দখল নিয়ে নিবে। আর এমনটা ঘটলে নতুন নতুন সমীকরণ যুক্ত হবে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, চীন, মধ্য এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে।
শত বছর আগে কাবুল ভ্রমণ করে প্রখ্যাত বাংলা সাহিত্যক সৈয়দ মুজতবা আলী বলে গেছেন, আফগানিদের হৃদয় পাহাড়ের চেয়ে বড়। আর বর্তমানে আফগানিস্তানের সংঘাতময় পরিস্থিতি জানান দিচ্ছে তাদের কলিজাটাও পাহাড়ের চেয়ে বড় বটে!
২.
ভৌগোলিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান আফগানিস্তানকে পরিণত করেছে এশীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতির রণক্ষেত্রে! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ন্ত্রিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উন্মুখ হয়ে রয়েছে পাকিস্তান, চীন, ভারত, ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়ার মতো অর্ধডজন আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পরাশক্তির দেশ। কিন্তু সমুদ্রবন্দরবিহীন অনুর্বর দারিদ্র্যপীড়িত এই রাষ্ট্রের দিকে এত এত পরাশক্তির চোখ কেন?
ক. পাকিস্তান
পাকিস্তানের সাথে সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ সীমান্ত রয়েছে আফগানিস্তানের। পশতুভাষী জনগোষ্ঠীকে বিভক্ত করেছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ডুরাল্ড লাইনটি ঠিক যেমনটা বাংলাভাষীকে জনগণকে বিভক্ত করেছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সীমান্ত।
সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের সময় আফগানিস্তানের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা পাকিস্তানের ভূখণ্ড থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা করে। আর তাই আফগানিস্তানের গেরিলা গোষ্ঠীগুলোর উপর পাকিস্তান সরকার এবং গোয়েন্দা সংস্থার উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিদ্যমান।
কিন্তু আমেরিকার আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোর সময় পাকিস্তান সরকার মাঝেমধ্যে দ্বৈতনীতির আশ্রয় নেয়। এতে করে আফগান গেরিলাগোষ্ঠীগুলোর একটা অংশ পাকিস্তানের প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ করা শুরু করে। যদিও এখন পর্যন্ত গেরিলাদের প্রধান অংশগুলো পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলেছে। পাশাপাশি বর্তমান পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মার্কিনবিরোধী তীব্র মনোভাব আফগান গেরিলা ও পাকিস্তান সরকারের সম্পর্ককে উষ্ণ করে তুলেছে।
কিন্তু তারপরও পাকিস্তান তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কেননা আফগান গেরিলাদের মাধ্যমে প্রভাবিত পাকিস্তানি কিছু গেরিলা গোষ্ঠী শরিয়াহ্ আইন বাস্তবায়নের দাবিতে পাকিস্তান সরকারের সাথে সামরিক সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে, নিয়মিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে ফাইট করছে। এছাড়াও চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার নানাভাবে কিছু গেরিলাকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
পশতু জাতীয়তাবাদ উস্কে দিয়ে পাকিস্তান থেকে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ দখল করার লক্ষ্য রয়েছে কিছু কিছু আফগান মিলিশিয়ার। আর এই কাজে ভারত ও বর্তমান গানি সরকার কর্তৃক মিলিশিয়াদের সহায়তা করা হচ্ছে বলে দাবি পাক সরকারের।
আর তাই পাকিস্তান সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী আফগানিস্তানের মাটিতে ভারত এবং বর্তমান ঘানি সরকারকে দেখতে মোটেই আগ্রহী না। পাকিস্তানের পরিকল্পনা হলো, আফগানিস্তানে গেরিলা সংগঠন সমূহের সরকার ক্ষমতায় আসুক এবং পাশাপাশি গেরিলারা যাতে পাকিস্তানের উপর নির্ভরশীল থাকে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক মিত্র চীনও তাদের প্রভাবের বাইরে কোনো গেরিলা সরকার আফগানিস্তানের মসনদে আসুক, এমনটা চায় না।
খ. চীন
আফগানিস্তানের উত্তরে এক চিলতে ভূমি চীনকে স্পর্শ করে গেলেও এই এক চিলতে ভূমি সবসময়ই এক সাগর দুশ্চিন্তার খোরাক রাখে চীনের জন্য।
চীনের পশ্চিমে অবস্থিত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব তুর্কিস্তান (জিনজিয়াং) অঞ্চলটি বহু বছর ধরেই স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল। চীন নানাভাবে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দমন করে রেখেছে পূর্ব তুর্কিস্তানের মুসলিম ধর্মাবলম্বী উইঘুর জাতিগোষ্ঠীকে।
কিন্তু গত ২০ বছরের আফগান গেরিলা-মার্কিন দখলদার বাহিনীর সংঘাতে গেরিলাদের পক্ষে লড়াই করেন বিপুলসংখ্যক উইঘুর মুসলিম। আফগানিস্তানে উইঘুরদের প্রতি সহানুভূতিশীল কোনো গ্রুপ যদি একবার শক্তভাবে মসনদে বসতে পারে, তবে এই উইঘুর মুসলিমরা আফগানিস্তান হতে স্বাধীনতার আন্দোলন নতুন করে শুরু করতে পারে বলে চীন থেকে বরাবরই শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
চীনকে দমন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরাইলসহ পশ্চিমা দেশগুলো পূর্ব তুর্কিস্তানে (জিনজিয়াং) চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আর তাই আফগান ভূখণ্ড হতে স্বাধীনতাকামী উইঘুরদের আক্রমণ শুরু হলে, চীন আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোকে পাশে পাবে না বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
অর্থনৈতিক বিপদ!
ইউরোপ ও আফ্রিকার সাথে বাণিজ্যিক দূরত্ব কমিয়ে আনতে চীন নির্মাণ করছে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর। আফগানিস্তানকে এই করিডরের অন্যতম পার্টনার এবং মধ্য এশিয়ার 'স্তান' রাষ্ট্রগুলোতে পৌঁছানোর রুট হিসেবে ব্যবহার করতে আগ্রহী চীন। কিন্তু আফগানিস্তানের মাটিতে চীনবিরোধী কোনো শক্তিশালী সরকারের উপস্থিতি চীনের এত বিরাট প্রকল্পকে হুমকিতে ফেলতে পারে।
সার্বভৌমত্ব ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক রুটের অনিশ্চয়তা দেখে চীনা সরকার তাই গভীরভাবে মোকাবিলা করতে যাচ্ছে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিকে।
চীন নানা মাধ্যমে আফগানিস্তানের যুদ্ধরত গেরিলাদের সাথে যোগাযোগ করছে। চীন গেরিলাদের প্রস্তাব দিচ্ছে, গেরিলারা মসনদে আসার পর অর্থনৈতিক উন্নয়নে আফগানিস্তানকে সহায়তা করবে চীন। পাশাপাশি আফগানিস্তানের বিভিন্ন খনি থেকে খনিজ দ্রব্য উত্তোলনে কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহায়তা দান করবে চীন। বিনিময়ে চীন চাচ্ছে, জিনজিয়াংয়ের (পূর্ব তুর্কিস্তান) স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের সহায়তা করবে না আফগান যোদ্ধারা।
চীনের এমন টোপ আফগান যোদ্ধারা ফেলতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। আফগান যোদ্ধাদের মিত্র পাকিস্তান সরকার ও দীর্ঘদিন ধরে জিনজিয়াং (পূর্ব তুর্কিস্তান) ইস্যুতে চীনের নীতি অবলম্বন করছে।
আর তাই সব মিলিয়ে বলা যায়, আফগানিস্তানের মাটিতে মার্কিনপন্থী গানি সরকারের পরিবর্তে যোদ্ধাদের সরকার আসুক এটা চীনও চাই। পাশাপাশি চীন নিশ্চয়তা পেতে চাই, তার সার্বভৌমত্বের জন্য আফগানিস্তান যাতে হুমকি না হয়।
গ. ভারত
ভারতের অফিশিয়াল ম্যাপ অনুযায়ী আফগানিস্তানের সাথে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে, পাকিস্তানের কাশ্মিরের গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলটি স্বাধীন করায় ভারতের সাথে আফগানিস্তানের কোনো সীমান্ত নেই। কিন্তু এরপরও ভারতের স্থিতিশীলতা, বাজার ধরে রাখা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আফগানিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ফ্যক্টর!
প্রথমত, ভারত দখলকৃত কাশ্মিরের দিকে আফগান যোদ্ধাদের সবসময়ই চোখ ছিল। আর তাই ভারত গত দশকগুলোতে চেষ্টা করে গেছে, আফগানিস্তানে যাতে গেরিলা সংগঠনগুলো ক্ষমতায় না আসে।
দ্বিতীয়ত, ভারতের জন্য মধ্য এশিয়ার 'স্তান' রাষ্ট্রগুলোর বিশাল বাজারে প্রবেশ করার গেটওয়ে হলো আফগানিস্তান।
তৃতীয়ত, চিরশত্রু পাকিস্তানকে ভালোমতো চেপে ধরতে হলে আফগানিস্তানের সরকারের উপর ভারতের প্রভাব থাকা দরকার। কিন্তু আফগান থেকে ভারত বিদায় নিলে পাকিস্তানের উপর চাপ কমে যাবে। এতে করে পাকিস্তান ভারতীয় ভূখণ্ডের ( বিশেষ করে কাশ্মির ) ওপর নজরদারি আগের চেয়ে বাড়াবে।
এজন্য ভারত গত দুই দশকে আফগান (মার্কিনপন্থী এবং গেরিলাবিরোধী ) সরকারগুলোর পিছনে বিরাট ইনভেস্ট করেছে। পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প, সড়ক নির্মাণ, পার্লামেন্ট ভবন নির্মাণ, অবকাঠামো নির্মাণসহ আরো বেশ কিছু খাতে ভারত গত কয়েক বছরে আফগানিস্তানে বিশাল ইনভেস্ট করেছে।
কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ের পর আফগানিস্তানে গেরিলা সংগঠনগুলো ক্ষমতায় এলে এই বিনিয়োগ থেকে ফায়দা লোটা দূরে থাক, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের আফগানিস্তানে প্রবেশ করতে পারাটাই কষ্ট হয়ে পড়বে।
আর তাই ভারত বিভিন্ন মাধ্যমে নতুন করে আফগান যোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ (এবং পারলে সম্পর্ক) স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এটা ভারতের চিরায়ত পররাষ্ট্রনীতির লঙ্ঘন! কারণ অতীতে ভারত কখনোই আফগান গেরিলাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং গেরিলাবিরোধী সরকারগুলোকে অকপটে সমর্থন করে গিয়েছে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চিরবন্ধু বা শত্রু বলে কিছু নেই। বহু দেরিতে এটা বোঝার পর ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতর ইদানীং রাশিয়া, কাতার, ইরানে গিয়ে দফায় দফায় আফগান যোদ্ধাদের সাথে বৈঠক করছে। কিন্তু এতে কতটুকু কাজ হবে তা স্বয়ং ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ও নিশ্চিত না।
আফগান তালেবান অবশ্য বিভিন্ন সময়ে বলে এসেছে, বাইরের রাষ্ট্রের সমস্যায় তারা নাক গলাবে না। কিন্তু এরপরও ভারত নিশ্চিত হতে পারছে না। কারণ তালেবানের উপর পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের প্রভাব রয়েছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক কারণে আফগান তালেবান চীনের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আর তাই চীন ও পাকিস্তানের দাপটে আফগান তালেবান যদি কাশ্মির প্রশ্নে ভারতবিরোধী নীতি গ্রহণ করে, সেক্ষেত্রে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আর এজন্যই ভারত এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছে অনাগত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অবলোকন করে।