আর্জেন্টিনার সামনে ব্রাজিল ভার ও রেফারি
আর্জেন্টিনার সামনে ব্রাজিল ভার ও রেফারি - ছবি : সংগৃহীত
ক্লাব ফুটবলে তার ঝুলিতে রয়েছে সব ট্রফি। জিতেছেন ব্যক্তিগত পুরস্কার। তবে দেশের জার্সিতে এখনো ট্রফির ভাণ্ডার শূন্যই রয়েছে লায়োনেল মেসির। দীর্ঘ ১৬ বছরের কেরিয়ারে চারটি ফাইনাল খেললেও, প্রতিবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। যার মধ্যে তিনবার (২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬) কোপা আমেরিকা ও একবার বিশ্বকাপে (২০১৪)। সেই ব্যর্থতার ধারা থেকে এবার বেরতে মরিয়া এলএমটেন।
সেমি-ফাইনালে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে টাই-ব্রেকারে জয়ের পর আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন মেসি। পায়ে আঘাত নিয়েও শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে লিও জানান, ‘এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য দেশের জার্সিতে ট্রফি জেতা। এর আগে চারবার ফাইনালে পৌঁছেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। কষ্টটা প্রতিনিয়ত বয়ে বেড়িয়েছি। এবার আর তার পুনরাবৃত্তি চাই না। চলতি কোপায় আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনালে পৌঁছান। সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছি। এবার কাপ ঘরে তোলাই লক্ষ্য।’
অতীতে কোপা আমেরিকার আসরে মোট ১০বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে লাতিন আমেরিকার এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। যার মধ্যে আটবার জয় পেয়েছে আর্জেন্তিনা। আর শেষ দু’টি (২০০৪ ও ২০০৭) খেতাবি লড়াইয়ে জিতেছে ব্রাজিল। সাম্প্রতিক ফর্মের নিরিখে কিছুটা হলেও এগিয়ে মেসির আর্জেন্টিনা।
প্যারাগুয়ের প্রাক্তন গোলরক্ষক হোসে লুইস চিলাভার্টও তেমনটাই মনে করছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘১৯৯৩ সালের পর এই প্রথম খেতাব জয়ের দাবিদার হিসেবে আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে রাখতেই হচ্ছে। তবে শুধু ব্রাজিল কিংবা নেইমার নয়, ভার এবং রেফারির বিরুদ্ধেও লড়াইটা জিততে হবে মেসিদের। কারণ, দু’বছর আগে আমরা দেখেছিলাম, কীভাবে ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে খেতাব তুলে দেয়ার জন্য তাদেরকে টেনে খেলানো হয়েছিল। এবার অবশ্য ওদের পক্ষে এই আর্জেন্টিনাকে হারানো সহজ হবে না। আমি চাইব, ফাইনালে মেসির গোলেই শেষ হাসি হাসুক স্কালোনি-ব্রিগেড।’
প্রাক্তনরা আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে রাখলেও, খুব একটা পিছিয়ে নেই নেইমরারা। দু’বছর আগে চোটের জন্য টুর্নামেন্টে খেলতে পারেননি তিনি। তবে মাঠের বাইরে থেকেই দলের জয় উপভোগ করেছিলেন। এবার সতীর্থদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দশম কোপা আমেরিকা খেতাব ঘরে তুলতে বদ্ধপরিকর ব্রাজিলের এই তারকা।
নেইমারের কথায়, ‘দু’বছর আগে আমি খেলতে পারিনি ঠিকই, তবে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও আমরা খেতাব জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আর্জেন্তিনা দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। আর মেসির কাছে এই ট্রফি কতটা মহার্ঘ, তা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। তবে এবারও ফাইনালটা ওর কাছে সুখকর হবে না।’
সূত্র : বর্তমান
ইউরোর সেমিফাইনাল ম্যাচ ঘিরে বিতর্ক, শাস্তির মুখে ইংল্যান্ড
ইউরোর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম ডেনমার্ক ম্যাচ ঘিরে দেখা দিয়েছে তীব্র বিতর্ক। ম্যাচে গ্যারেথ সাউথগেটের দল জিতলেও ইংল্যান্ডের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও উঠেছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে ইতোমধ্যে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে উয়েফা। আর সেই তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে ইংল্যান্ডকে।
বুধবার রাতের ম্যাচে একটি নয়, একাধিক বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ড বনাম ডেনমার্ক খেলায়। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ১-১ অবস্থায় থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেই সময় বক্সের ভিতর রহিম স্টার্লিংকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। যা থেকে জয়সূচক গোলটি করেন হ্যারি কেন। কিন্তু এই পেনাল্টি নিয়েই অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও এই ঘটনা নয়, উয়েফার নজর আসলে ইংল্যান্ড সমর্থকদের ঘটানো কাণ্ডকারখানার দিকে।
ফুটবল বিশ্বে নিজেদের কুকীর্তির জন্য বরাবরই শিরোনামে থাকেন ইংল্যান্ড সমর্থকরা। অভিযোগ, সেমিফাইনাল ম্যাচের শুরুতে ডেনমার্কের জাতীয় সংগীতের সময় টিটকিরি দিয়েছিল ইংল্যান্ডের সমর্থকরা।
এখানেই শেষ নয়, হ্যারি কেনের পেনাল্টি শট মারার সময় ডেনমার্কের গোলকিপারের চোখে লেজার রশ্মি দিয়ে তাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করা হয়েছে। সেই মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। এর পাশাপাশি ম্যাচ শেষের পর ইংরেজ সমর্থকদের বিরুদ্ধে বাজি ফাটানোর অভিযোগও উঠেছে।
আর এই অভিযোগগুলো পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে উয়েফা। ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন