এবার ‘অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম’ কিনছে ভারতের বিমানবাহিনী
এবার ‘অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম’ কিনছে ভারতের বিমানবাহিনী - ছবি : সংগৃহীত
ভারতীয় বিমান বাহিনী ‘অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম’ কিনতে যাচ্ছে। খবরে বলা হয়েছে, সোমবার ‘অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম’ কেনার জন্য ‘লেটার ফর রিকুয়েস্ট’ জারি করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। সেখানে বলা হয়েছে ১০টি ড্রোন বিধ্বংসী সিস্টেম কেনা হবে। সেগুলো লেজার রশ্মির উপর ভিত্তি করে তৈরি ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন’ হতে হবে। অর্থাৎ লেজার রশ্মি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ড্রোন ধ্বংস করবে ওই হাতিয়ারগুলো। হাতে এলে পাকিস্তান ও চীন সীমান্তে থাকা বিমানবাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে ওই হাতিয়ার মোতায়েন করা হবে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর দাবি, নয়া ড্রোন বিধ্বংসী হাতিয়ারগুলোকে সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার মতো করে তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ সেগুলোকে গাড়ির উপর বহন করার মতো ব্যবস্থা করতে হবে অস্ত্রনির্মাতাদের।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে জম্মুর সেনাঘাঁটিতে বোমা ফেলে সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যায় দু’টি ড্রোন। তারপর লাগাতার তিন দিন উপত্যকায় ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলোর আশপাশে ড্রোনের দেখা মেলে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চীনের থেকে বেশি পরিমাণে ড্রোন কিনেছে পাকিস্তান।
সরকারিভাবে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পিজ্জা ও ওষুধ সরবরাহ করতে সেগুলো কেনা হয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে যে ড্রোনগুলোর সাহায্যে আক্রমণ করা হয়েছিল, সেই ড্রোন আর চীন থেকে কেনা ড্রোন একই কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
আফগান কমান্ডারকে কিছু না বলেই মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি ত্যাগ
আফগান কমান্ডারকে কিছু না বলে ‘চুপিসারে’ যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি ত্যাগ করেছেন। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন আফগান কর্মকর্তরা।
আফগান সরকারের কর্মকর্তরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তানে আগমনের ২০ বছর পর এ ঘাঁটি ত্যাগ করেছেন। বিমান ঘাঁটি ত্যাগ করার সময় তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন। তারা যাওয়ার সময় এ বিমান ঘাঁটির দায়িত্বে থাকা নতুন আফগান সেনা কমান্ডারকে কিছু বলেও যাননি। দায়িত্বরত আফগান সেনা কমান্ডার বলছেন যে তারা চলে যাওয়ার দু’ঘণ্টা পরে কাউকে কিছু না বলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা চুপিসারে বাগরাম বিমান ঘাঁটি ত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার মার্কিন যুক্তিরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, তারা আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বাগরাম বিমান ঘাঁটি ত্যাগ করছেন। আগস্ট মাস শেষ হওয়ার পরেই তারা সমগ্র আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে চান। তবে কয়েক শ’ মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে থাকবে।
বাগরাম বিমান ঘাঁটির নতুন কমান্ডার জেনারেল মির আসাদুল্লাহ কোহিস্তানি এপি-কে বলেন, আমরা কিছু গুজব শুনেছিলাম যে আমেরিকানরা বাগরাম ত্যাগ করছেন। পরে সকাল ৭টায় তারা বাগরাম বিমান ঘাঁটি ত্যাগ করেন। আমরা পরে বুঝতে পারি যে তারা ঘাঁটি ছেড়ে চলে গেছেন।
সোমবার আফগান সেনারা বাগরাম বিমান ঘাঁটির দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা সাংবাদিকদেরও কড়া নিরাপত্তা বেষ্টিত এ বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের অনুমতি দিয়েছেন।
আফগানিস্তানের এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এখন তারা (আমেরিকানরা) পাকাপাকিভাবে এ বিমান ঘাঁটি ত্যাগ করেছেন। এ বিমান ঘাঁটির সবকিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে। ওয়াচ টাওয়ার, বিমান নিয়ন্ত্রণ ও চলাচল ব্যবস্থা আর হাসপাতালও আমাদের নিয়ন্ত্রণে।
আফগান সরকারকে টিকিয়ে রাখতে দীর্ঘ দিন ধরে পশ্চিমা বাহিনী এ দেশটিতে অবস্থা করছিলেন। বাগরাম বিমান ঘাঁটি হলো দেশটিতে মার্কিন ও পশ্চিমা সেনা অবস্থানের একটি প্রতীক।
বর্তমানে ন্যাটো ও মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার পর আফগান সরকার তালেবানের তীব্র হামলার সম্মুখীন হচ্ছে।
সূত্র : আল-জাজিরা