নেইমারের সাম্বা ম্যাজিক
নেইমারের সাম্বা ম্যাজিক - ছবি : সংগৃহীত
২১তম বারের মতো কোপার ফাইনালে উঠল ব্রাজিল। এর আগে ২০ বার ফাইনাল খেলে ৯ বার জিতেছে সাম্বার দেশ। ২০১৯ সালের ফাইনালে যাদেরকে হারিয়েছিলেন নেইমাররা, সেই পেরুকেই এবার সেমিফাইনালে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠল ব্রাজিল।
শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিলেন সেলেকাওরা। কখনো নেইমার, কখনো লুকাস পাকুয়েটা, কখনো আবার ক্যাসেমিরো পরীক্ষা নিতে থাকেন পেরুর রক্ষণভাগের। তবে সব আক্রমণই যেন ধাক্কা খাচ্ছিল পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালেজের সামনে।
৩৫ মিনিটের মাথায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন তিতে। নেইমারের পাস ও পাকুয়েটার গোল। বল নিয়ে পেরুর বক্সের মধ্যে ঢুকে নেইমার দেখলেন তিনজন রক্ষণভাগের ফুটবলার তাকে ঘিরে দিয়েছে। গোলে শট নিতে পারবেন না। নেইমারকে আটকাতে গিয়ে মাঝখান দিয়ে উঠে আসা পাকুয়েটা তখন অরক্ষিত। চকিতে তাকে পাস বাড়ালেন নেইমার। সাথে সাথে জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দিলেন তিনি।
প্রথমার্ধে একাধিক গোলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল নেমারদের। নিজেদের ভুলেই সেটা পারলেন না তারা। তবে পাকুয়েটার গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই সাজঘরে ফিরল ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই ব্রাজিল রক্ষণে চাপ বাড়াতে শুরু করে পেরু। বেশ কয়েকবার তা সামাল দিতে হয় এডেরসন মোরায়েজকে। তবে গোল হয়নি।
৭১ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন নেইমার। তিনি পেনাল্টির আবেদন জানালেও রেফারি কর্নারের নির্দেশ দেন।
দুরন্ত পারফরম্যান্সের প্রতিদান, সজোরে গুঁতো খেলেন মেসি
এ বারের কোপা আমেরিকায় দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন লিওনেল মেসি। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে নিজের অপ্রতিরোধ্য ফর্মে দেখায় মেসিকে। দু'টি অ্যাসিস্টের পাশাপাশি একটি চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিকে গোল করে দলকে ৩-০ জিততে সাহায্য করেন তিনি।
আর্জেন্টিনার সিনিয়র দলের জার্সি গায়ে নিজের প্রখম খেতাব জয়ে মরিয়া ‘এলএম ১০’। কোপার আসরে নিজের দক্ষতায় মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তার পা থেকে চারটি অ্যাসিস্ট ও চারটি গোল দেখেছে কোপা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর পারফরম্যান্সে সতীর্থ, দলের সদস্য থেকে লা আলবিসেলেস্তে সমর্থক সকলেই আপ্লুত অধিনায়কের পারফরম্যান্সে।
এই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়েই সমস্যা। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে মেসির পারফরম্যান্সে আপ্লুত আর্জেন্টিনা দলের সাপোর্ট স্টাফ মারিও ডি স্টেফানো লিওকে জড়িয়ে ধরতে গিয়েই সজোরে তার চোখের ঠিক ওপরে গুঁতো মারেন। সাথে সাথেই ব্যাথা জায়গায় হাত বোলাতে দেখা যায় মেসিকে। যদিও নিজের ভুলে সাথে সাথেই শুধরে নিতে উদ্যোগী হন স্টেফানো।
এরপরেই কোপা আমেরিকার অফিসিয়াল পেজ থেকে এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে লেখা হয়, ‘ভালোবাসা যা আঘাত দেয়। দশ নম্বর আর্জেন্টাইনের ক্ষেত্রে পরেরবার থেকে আরো সতর্ক থেকো।’
এই ঘটনার থেকেই প্রমাণ মেলে অনুরাগীদের পাশাপাশি মেসির দলের সকলেই ‘ফুটবল জাদুকর’কে কতটা শ্রদ্ধা করে এবং ভালোবাসে। সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফের একবার মেসিজাদু দেখতেই টিভির পর্দায় চোখ রাখবেন তার অনুরাগীরা।