কানে জীবন্ত পিঁপড়া বা পোকা ঢুকেছে? মস্তিষ্কে চলে যাবার আগেই ব্যবস্থা নিন
কানে জীবন্ত পিঁপড়া বা পোকা ঢুকেছে? - ছবি : সংগৃহীত
আচমকা কানের ভেতরটা ফড়ফড় শব্দে যেন ফেটে যাবার উপক্রম! মনে হচ্ছে কোনো দৈত্য-দানব হেঁটে বেড়াচ্ছে। এরকম উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কম-বেশি সবাইকে পড়তে হয়েছে!
এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় কানে যখন জীবন্ত একটি পিঁপড়া বা পোকা ঢুকে দিগবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে! আর যতক্ষণ না পর্যন্ত এই ভীতিকর কষ্ট থেকে মুক্তি না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তীব্র অস্বস্তিতে ভোগতে হয় আমাদের।
কানে পিঁপড় বা পোকা ঢুকলে করণীয়
শুনে অবাক হবেন যে কানে পিঁপড়া বা পোকা ঢোকার পরে যদি তা দ্রুত বের না করতে সক্ষম হন তবে সেটি আপনার মস্তিষ্কে ঢুকে যেতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব যেকোনো উপায়েই হোক সেটি বের করে নিতে হবে।
পিঁপড়া কিংবা জীবন্ত পোকা যদি ঢুকেই যায় এক্ষেত্রে কানের ভেতর সামান্য অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল দিতে পারেন। এতে পিঁপড়া বা অন্য কোনো পোকা থাকলে সেটি মরে যাবে। তবে মনে রাখুন, বেখেয়ালি খোঁচাখুঁচি করতে যাবেন না, তাতে বরং বিপদ বাড়তে পারে। আর শিশুর কানে কিছু ঢুকলে ভয়ে কান্নাকাটি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
নিজ থেকে কানের ভেতরে ঢুকে পড়া পিঁপড়া বা পোকা আটকে যাবার পর তা বের করে নিতে যদি সক্ষম না হন তবে শিগগিরই নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের দারস্থ হতে হবে।
কানে যেসব ঢুকতে পারে
পিঁপড়া, মশা, মাছি, আস্ত তেলাপোকা, পিঁপড়া ইত্যাদি।
চাল, ডাল, ধান, ফলের বীজ, মুড়ি, চিঁড়া
কটন বাড বা তুলার অংশ বিশেষ
ম্যাচের কাঠি, পুঁতির দানা
পেনসিলের শীষ
পাখির বা মুরগির পালক
রাবার, কাগজ, ফোম, ছোট জাতীয় খেলনার অংশ বিশেষ
যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে?
কানে প্রচণ্ড রকমের অস্বস্তি
তীব্র ব্যথা
শ্রবণশক্তি কমে যাবার উপক্রম
কখন মানুষের শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়াম কমে?
মানুষ হলো উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট স্তন্যপায়ী প্রাণী। এর অর্থ হলো তারা হোমিওস্টেসিস নামক একটি প্রক্রিয়া দ্বারা সুরক্ষিত রয়েছে। এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মানব মস্তিষ্কের একটি অংশ যাকে বলা হয় হাইপোথ্যালামাস, সেটি বেঁচে থাকার পরিসীমা বজায় রাখতে শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তনালীগুলোর হ্রাস পাওয়া, ঘাম বেরনো, মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া এবং তাজা হাওয়ার জন্য উন্মুক্ত স্থানে বাইরে বেরোনোরইচ্ছা এমন সব উপায়ের সাহায্যেই হাইপোথ্যালামাস মানুষের দেহের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা যায়। সাধারণত মানুষের দেহের তাপমাত্রা থাকে ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট যা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সাথে মিলে যায়। এর উপরে তাপমাত্রাকে গেলে তাকে জ্বর বলা হয়, যা হিট ওয়েভের অবস্থায় হাইপারথার্মিয়াকে বাড়তে সাহায্য করে। এটি মারাত্মকও হতে পারে।
যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেখানে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে তা হলো ১০৮.১৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।জানা যায় উচ্চ তাপমাত্রা প্রোটিনের গুণ পরিবর্তন করে দিতে পারে, যার ফলে মস্তিষ্কের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। সহজ কথায় বলতে গেলে মানবদেহ স্ক্র্যাম্বলড ডিমে পরিণত হতে পারে।
এটা ঠিক যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি জায়গায় তাপমাত্রা অনেক বেড়েছে। জানা গেছে, উত্তপ্ত ও বেশি আর্দ্র অবস্থায় পানির পরিমাপ কমে যাওয়ার কারণে হাইপারথার্মিয়া হতে পারে।
এটি উত্তাপ, ক্লান্তি ও স্ট্রেসের কারণে শুরু হতে পারে। এর ফলে দুর্বল, চঞ্চল, বমি বমি ভাব ও তৃষ্ণার্ত অনুভব হতে পারে।এর কারণে শরীরে কমে যাতে পারে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের লেভেলও। যেগুলো শরীরে হার্ট, নার্ভাস সিস্টেম এবং শরীরের মাসলগুলো সচল থাকতে সাহায্য করে। এছাড়া উত্তাপ বা হিট ওয়েভের কারণে শরীরও মুহ্যমান হয়ে পড়তে পারে বলেও জানা যায়।
সূত্র : প্রথম কলকাতা