অন্ধকার যুগ : একটি পর্যালোচনা

নবাব আব্দুর রহিম | Jul 02, 2021 07:16 pm
অন্ধকার যুগ : একটি পর্যালোচনা

অন্ধকার যুগ : একটি পর্যালোচনা - ছবি : নবাব আব্দুর রহিম

 

কোনো এক দার্শনিক নাকি বলেছিলেন, ‘আকাম হয়ে গেলে বিচলিত হয়ো না। মাথা ঠান্ডা করো এবং ভাবো- দায়টা কার উপর চাপানো যায়।' আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের ইতিহাসে এর নজির ভুরি ভুরি। সেই প্রাচীনকাল থেকে হাল আমলের হাল-হাকিকত আসলে এমনই। এর একটা উৎকৃষ্ট (!) নমুনা হলো বাংলা সাহিত্যের ‘অন্ধকার যুগ’।

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনায় রথী-মহারথীরা ইংরেজি সাহিত্যের মতোই একটা অন্ধকার যুগ আবিষ্কার করেছেন। তারা যে আবিষ্কার করেছেন, সে তো ভালো কথা। তার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ১২০১ সাল থেকে ১৩৫০ সাল- এই সময়টাকে। কারণ এই সময়ে নাকি বাংলা সাহিত্যে কিছু লিখিত হয়নি। তাও ভালো কথা। কিন্তু বিপত্তি তখনই বাঁধে, যখন বলা হয়- 'তরবারি হাতে মুসলমানদের আগমনের কারণে এই সময়ে কিছু লিখিত হয় নাই।' এই হচ্ছে বাংলাদেশের মশহুর বয়ান। কিন্তু বাস্তবতা কি আসলে তা-ই বলে?

‘অন্ধকার যুগ’ বিষয়টা হলো সাহিত্যের বিভাজিত যুগের একটা পর্যায়। যে সময় ওই নির্দিষ্ট সাহিত্যের নিদর্শন মেলে না। হুমায়ুন আজাদের (লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী, পৃ. ১৭) ভাষায়—

"১২০১ থেকে ১৩৫০ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রচিত কোন সাহিত্য কর্মের পরিচয় পাওয়া যায় না বলে এ-সময়টাকে বলা হয় ‘অন্ধকার যুগ’। পণ্ডিতেরা এ-সময়টাকে নিয়ে অনেক ভেবেছেন, অনেক আলোচনা করেছেন, কিন্তু কেউ অন্ধকার সরিয়ে ফেলতে পারেননি। এ- সময়টির দিকে তাকালে তাই চোখে কোন আলো আসে না, কেবল আঁধার ঢাকা চারদিক।"

এর বিস্তারিত আলাপের শুরুতে প্রথমেই সময়টা একটু বিশ্লেষণ করা দরকার। ১২০৪ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজী গৌড় দখল করেন। আর ১৩৩৮ সালে সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ স্বাধীন ‘সালতানাত- এ বাঙ্গালাহ’ কায়েম করেন। চার বছর পর, ১৩৪২ সালে হাজী শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ প্রথমবারের মতো সমগ্র বাংলা অঞ্চলকে একত্রিত করে বাঙালি জাতিতাত্ত্বিক রাষ্ট্র কায়েম করলেন। তার সময় থেকেই বাংলা সাহিত্যের সোনালি যুগের শুরু।

বাংলা সাহিত্যে স্বাধীন সুলতানি আমলের পৃষ্ঠপোষকতা তো সর্বজন বিদিত। তবে কথা হচ্ছে বখতিয়ার পরবর্তী সময় থেকে প্রাক ইলিয়াস শাহী সময়কালটা নিয়ে। এই সময়ে বাংলা না ঘরকা ছিল, না ঘাটকা! কখনও দিল্লির অধীন, তো কখনও স্বাধীনতা ঘোষণা। তাছাড়া স্বল্প সময়ের ভেতর মসনদে বারবার বদল হওয়াও তো একটা বিষয়; এ সময় শাসকরা মসনদের বাইরে খুব একটা নযর দিতে পারতেন না। আর রাজদরবারের আনুকূল্য ছাড়া ওই সময়ে সাহিত্য চর্চা আসলে সম্ভবও ছিল না। মনে রাখতে হবে- এই কারণেই তখন পর্যন্ত চর্যাপদ ছাড়া ওই অর্থে বাংলা সাহিত্য রচিত হয়নি।

বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদের লেখা কখন শুরু হয়েছে তা নিয়ে বিরোধ থাকলেও অন্তত ১২০০ সালের দিকে যে লেখা শেষ হয়েছে সে ব্যাপারে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ কিংবা ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়সহ প্রায় সকলেই একমত। কিন্তু পুরো চর্যাপদই কি বাংলায় বসে লেখা হয়েছে? এ তথ্য নিশ্চিত করে বলা যায় না।

১২০৪ সালে গৌড়ে সেন শাসনের যবনিকা; পরবর্তী ১০০ বছর যদিও নিম্নবঙ্গে তারা শাসন করেছে। কর্ণাটক থেকে আসা সেনরা গৌড় শাসন করেছে মাত্র ৪২ বছর। ১১৬২ সালে বল্লান সেন শেষ পাল রাজা গোবিন্দ পালকে পরাজিত করে ‘নিঃশঙ্কশঙ্কর গৌড়াধিপতি’ খেতাব নেন। তবে তার আগে একাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে হেমন্ত সেনের দ্বারা রাঢ়ে সেন বংশের শাসন কায়েমের মধ্য দিয়ে তাদের সফর শুরু হয়। তখন পাল শাসকরা ছিল দুর্বল, সাম্রাজ্য হয়ে পড়েছিল ভঙ্গুর। সে হিসাবে সেনরা বাংলা শাসন করেছে অন্তত দেড় শ' বছর। কিন্তু এই মাত্র দেড় শ' বছর; আর রাজধানী গৌড়কে মাত্র চার দশক শাসন করেই বাংলাদেশে এক ত্রাহিত্রাহি অবস্থা করে ফেলেছিল তারা। এই স্বল্প সময়ের শাসনে প্রথমে দরবার থেকে বৌদ্ধরা উৎখাত হয়। পরে বৌদ্ধসহ নিম্নবর্গের হিন্দুরা পড়ে দমন-পীড়নের মুখে। অথচ বৌদ্ধরা চার শ' বছর ব্রাহ্মণদের নিয়েই দেশ শাসন করেছে। অনেক পাল রাজার প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন ব্রাহ্মণ! সেনরা ছিল ব্রহ্ম-ক্ষত্র, মানে একইসাথেই ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়। চরম বিপদ! ধর্ম আর দণ্ড দুটোরই কেন্দ্রবিন্দু তারা। আর ঋগ্বেদে নির্দেশনা রয়েছে যে- “বঙ্গ, চের আর মগধ এলাকার লোকদেরকে কুকুরের মতো হত্যা করো”। ফলে তাদের নিপীড়নের সামনে বাঙালিরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। এই সময়েই অনার্যরা আরও পূর্বে, পাহাড়ের দিকে ‘হিজরত’ করেন। সেনদের জুলুম-নিপীড়নেই চর্যার কবিরা নেপালে পালিয়ে যান। কাহ্নপা তো সোমপুর বিহার ত্যাগ করতে বাধ্য হন। সে সময় এই অন্ত্যজ শ্রেণির ধর্মচর্চারই তো স্বাভাবিক পরিবেশ ছিলো না, সাহিত্য পরের কথা।

সেন শাসন আমলকে বলা হয় ‘বাংলায় সংস্কৃত সাহিত্যের স্বর্ণযুগ’। সেটা হতেই পারে। গৌরবের বিষয়। কিন্তু বাংলার অবস্থা কী? সেনরা ‘ভাষায়ং মানবঃ’ মানে মানুষের ভাষা বাংলা চর্চা নিষিদ্ধ করে। ফলে বাঙালিরাও সংস্কৃতে লিখতে বাধ্য হন। ধোয়ী, জয়দেব, উমাপতিধর- সেন দরবার মাতিয়ে বেড়ানো সংস্কৃত ভাষার এসব কবি তো বাঙালি ছিলেন; লিখেছেন সংস্কৃতে! ১২০৬ সালে শ্রীধর দাস ‘সদুক্তিকর্ণামৃত’ নামে একটি কবিতা সংকলন ও লিপিবদ্ধ করেন। তাতে ৪৮৫ জন কবির কবিতা জায়গা পায়; তার মধ্যে অন্তত ৮০ জন ছিলেন বাঙালি, সংকলন সংস্কৃতের! বাঙালি হয়েও মাতৃভাষায় লেখার সুযোগ তাদের হয়নি।

কাজেই মুসলমান আমলের দেড় শ' বছর ‘বাংলা সাহিত্য রচিত হয়নি’ বলে যে বয়ান চালু আছে, তা শুদ্ধ নয়। বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা বন্ধ হয়েছে সেন আমলে। ফলে পরবর্তী সময়ে সাহিত্য রচনা না হলে তার দায়ভার সেন শাসকদের উপরই বর্তানোর কথা।

তাছাড়া মুসলমান বিজয়ে দেড় শ' বছরে প্রাকৃত ভাষার নিদর্শন পাওয়া যায়— ‘প্রাকৃত পিঙ্গল’ বা ‘প্রাকৃত পৈঙ্গল’। আরো পাওয়া যায় ‘সেক শুভোদয়া’ ও ‘শূন্য পুরাণ’; যদিও এগুলো সংস্কৃত চম্পুকাব্য। মানে গদ্য-পদ্যমিশ্রিত রচনা। শেখ জালালুদ্দীন তাবরেজির অলৌকিক কাহিনী নিয়ে মুসলমান শাইখের গৌরব বর্ণনা হয়েছে হলায়ুধ মিশ্রের ‘সেক শুভোদয়া’তে। ড. মুহম্মদ এনামুল হক বলছেন- “সেক শুভোদয়া খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর একেবারেই গোড়ার দিককার রচনা।'

একটু আগেই যে ‘সদুক্তিকর্ণামৃত’ -এর কথা বললাম, সেটা আগেই লিখিত হলেও সংকলিত হয় ১২০৬ সালে; মুসলিম শাসনের শুরুতে। ‘অন্ধকার যুগে’ আরো লিখিত হচ্ছে নারায়ণের ‘হিতোপদেশ’, জীমূতবাহনের ‘দায়ভাগ’, মুনি দত্তের ‘চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়’- চর্যাপদের ব্যাখ্যা।

এদিকে দেখলে ওই সময়ে প্রাকৃত কিংবা সংস্কৃতের নিদর্শন পাচ্ছি। তাইলে সংস্কৃত লিখে সেন আমল অন্ধকার যুগ হয় না, নির্দিষ্ট ওই সময়টা কেন হয়? ওয়াকিল আহমদ তাঁর ‘বাংলা সাহিত্যের পুরাবৃত্ত’ (পৃ. ১০৫)- গ্রন্থে লিখেছেন- “বাংলা সাতিহ্যের কথিত ‘অন্ধকার যুগ’ মোটেই সাংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্বের যুগ ছিল না। ধর্ম-শিক্ষা-শিল্প চর্চার দায়িত্ব যাদের উপর ন্যস্ত ছিল, তারা সীমিত আকারে হলেও শিক্ষা-সাহিত্য চর্চায় নিয়োজিত ছিলেন। তবে, কি হিন্দু কি মুসলমান কেউ লোকভাষা বাংলাকে গ্রহণ করেননি। বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন না থাকার এটাই মুখ্য কারণ।”

সম্ভবত এ বিষয়ে আরেকটু স্পষ্ট করে বলেছেন ইতিহাস গবেষক ও ভাষাতাত্ত্বিক মাসুম খান। তিনি লিখেছেন—

“নদীয়ায় তুর্কি বিজয়ের পর দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হলো- আমাদের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ আর ‘রামায়ণ’ এর অনুবাদ পেতে। যে রামায়ণের কথা- কাহিনি মাতৃভাষায় শুনলেও রৌরব নরকে যাবার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু এই তুর্কি বিজয় থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ে লোক দ্বারা যা রচিত হলো- তা, ‘শূন্যপূরাণ’ ‘প্রাকৃত পিঙ্গল’ ‘সেক শুভদয়া’ এ সব কাব্যগুলো ব্রাহ্মণ সমাজ এখনো মেনে নিতে পারছেন না। এ কাব্যগুলো রচিত হওয়ার সময়টারে ব্রাহ্মণ পন্ডিত সমাজ অন্ধকারে রেখে সময়টারে ‘অন্ধকার’ যুগ বলে প্রচার করলেন।”

এঁদের বয়ান খুবই বিজ্ঞানসম্মত। এই সময়ে হিন্দুরা বাংলাকে গ্রহণ করেনি; এর আগেই বা কখন করেছিল? কিন্তু ‘মুসলমানরাও গ্রহণ করেনি’, এখানে এসে একটু দাঁড়ানো উচিত। বাস্তবতা হচ্ছে মুসলমানদের সামনে তখন বাংলার কোন নমুনাই ছিল না। ফলে প্রথম স্বাধীন সুলতান আলী মর্দান খিলজিকে (১২১০-১২১২) আমরা দেখি সংস্কৃত যোগশাস্ত্র ‘অমৃতকুণ্ড’ তরজমা করাতে। কামরূপের যোগী ভোজর (পরে মুসলমান হন) যোগশাস্ত্রের কিতাবটি আলী মর্দানের কাজী রুকনউদ্দিন সমরকন্দিকে দেন। রুকনউদ্দিন সেটিকে আরবি ও ফারসিতে তরজমা করেন। এটি ফারসিতে ‘বাহর-উল হায়াত’ আর আরবিতে ‘হাউজ-উল হায়াত’ নামে পরিচিত।

তাইলে বোঝা যাচ্ছে, ওই সময়টা সাহিত্য নিজ গতিতেই চলছিল। কিন্তু সেনরা বাংলা সাহিত্যের যে বন্ধ্যাত্ব পয়দা করে যায় তার রেশ তো থাকবেই। কাজেই অন্ধকার যুগ মুসলমানদের তরবারি নিয়ে আগমণের কারণে হয়েছে এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা। অনেকেই দাবি করেন— বাংলা সাহিত্যে ‘অন্ধকার যুগ’ বলে কিছু নাই। যেমনটা উপরে উল্লিখিত হয়েছে, ওয়াকিল আহমদ আর মাসুম খানও এমনটাই বলছিলেন।

বরং বলা যায় ‘অন্ধকার যুগ’ আছে। তার সূচনা আরো আগে; আগ্রাসী আর্য ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় সেন দুঃশাসনের সময় থেকে। কেউ যদি রাষ্ট্রীয় ফরমান দিয়ে কোন কিছু নিষিদ্ধ করে, সেটা তার জন্য অন্ধকার যুগ হবে না কেন? বিপর্যয়ের যুগ হবে না কেন? তারা বাংলায় এমন বিপর্যয় পয়দা করে যায়, সেই সিলসিলা ভাঙতে মুসলমানদের দেড়শো বছর অপেক্ষা করতে হয়।

প্রকৃতপক্ষে বখতিয়ারের বঙ্গবিজয়ের ফলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ওই দুঃশাসন থেকে মুক্তি পায়। যেমনটা শ্রী দীনেশচন্দ্র সেন বলেছেন-

“ইতরের ভাষা বলিয়া বঙ্গ ভাষাকে পণ্ডিতমণ্ডলী ‘দূর দূর করিয়া তাড়াইয়া দিতেন, হাঁড়ি-ডোমের স্পর্শ হইতে ব্রাহ্মণ্যেরা যেরূপ দূরে থাকেন, বঙ্গভাষা তেমনি সুধীজনের অপাঙ্‌ক্তেয় ছিল, তেমনি ঘৃণার, অনাদরের ও উপেক্ষার পাত্র ছিল।” (সওগাত, চৈত্র, ১৩৩৫)

‘বাংলা ভাষার ওপর মুসলমানের প্রভাব’ প্রবন্ধে তিনি লিখছেন, “হীরা কয়লার খনির মধ্যে থাকিয়া যেমন জহুরীর আগমনের প্রতীক্ষা করে, শুক্তির ভেতর মুক্তা লুকাইয়া থাকিয়া যেরূপ ডুবুরির অপেক্ষা করিয়া থাকে, বাংলা ভাষা তেমনি কোনো শুভদিন শুভক্ষণের জন্য প্রতীক্ষা করিতে ছিল। মুসলিম বিজয় বাংলা ভাষার সেই শুভদিন শুভক্ষণের সুযোগ আনয়ন করিল।”

মূল বিষয়টা হলো এখানে। মাসুম খানের বয়ানে যে “ব্রাহ্মণ পণ্ডিত সমাজ এখনো মেনে নিতে পারছেন না” বলে উল্লেখ রয়েছে- তারই একটা অংশ হইলো অন্ধকার যুগ; যা ১২০১ থেকে ১৩৫০ পর্যন্ত বিস্তৃত। এ সময়টা তারা মেনে নিতে পারছেন না। অন্যথায় অন্ধকার যুগ আরেকটু আগে যাওয়ার কথা ছিল। এই যে অন্ধকার যুগ চাপায়ে দেয়া, এটা হলো পরের ঘাড়ে কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া আর দার্শনিকের পরামর্শের বাস্তব প্রয়োগের একটা নমুনা। হ্যাটস অফ!


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us