এবার কি বিক্রি হবে মানিকগঞ্জের সাহেব?

নয়া দিগন্ত অনলাইন | Jul 02, 2021 02:42 pm
মানিকগঞ্জের সাহেব

মানিকগঞ্জের সাহেব - ছবি : সংগৃহীত

 

চলন-বলন এবং আয়েশি খাবার খাওয়ানোর জন্য নাম রেখেছেন মানিকগঞ্জের সাহেব। ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টিকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ নয়া পাড়া গ্রামের নোমাজ আলী চারটি বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন। আসন্ন ঈদুল আযহার হাটে এটি হবে অন্যতম চমক। নোমাজ আলী দাবি করছেন, এ ষাঁড়টির ওজন ৪০ মণ, দাম হাঁকাচ্ছেন ৩০ লাখ টাকা । তবে বাড়ি থেকে কেউ কিনতে চাইলে দর দামে বিক্রি করবেন।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার লালনকৃত পশু ৮-১০ বছর ধরেই গরুর হাটে ভাইরাল হয়ে আসছে। গরুরহাটসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমেও প্রচার হয়ে আসছে এ জেলার লালন করা বিশাল আকৃতির ষাঁড়গুলো। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারো চমক নিয়ে আসার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন মানিকগঞ্জের সাহেব নামের বিশাল আকৃতির এ ষাঁড়টি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে চার বছর ধরে লালন পালন করা হচ্ছে।

গত সোমবার সকালে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ নয়া পাড়া গ্রামের নোমাজা আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গোটা ২০-৩০ জন মানুষের জটলা। কেউ সেলফি তুলছেন। আবার কেউ শুধু ষাঁড়টির ছবি তুলছেন।

মানিকগঞ্জের সাহেব নামের ষাঁড়ের মালিক নোমাজ আলীর বড় ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিদিন সাধারণ গোখাদ্যের পাশাপাশি মালটা, পেয়ারা, কলা, মিষ্টি কুমরাসহ বিভিন্ন ফল নিয়মিত খাওয়াচ্ছি। আয়েশি খাবারের পাশাপাশি দিনে কয়েকবার গোসল করানো হয় নামী- দামি ব্যান্ডের স্যাম্পু দিয়ে। তার জন্য তিনটি ফ্যান সবসময় চালু রাখছি। তাই তার নাম দিয়েছি মানিকগঞ্জের সাহেব।

নোমাজ আলীর ছোট ছেলে আব্বাস বলেন, সাহেব নামে এ আলোচিত ষাঁড়টি (২৮ জুন) পর্যন্ত লম্বায় ৯ ফুট ৯ ইঞ্চি, পেটের ভেড় ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৬ ফুট। এর দাঁত রয়েছে ৬টি।
প্রতিদিন শত শত মানুষ একনজরে দেখার জন্য আসছে নোমাজ আলীর বাড়িতে। কেউ সেলফিসহ ছবি তোলে আপলোড দিচ্ছেন ফেসবুকে। খামারি সাথে কথা বলতে চাইলে সরাসরি কথা বলতে পারেন এই নাম্বারে ০১৭৪৫৭০০৭৬৮।

ষাঁড়টিকে দেখতে আসা দুলাল বলেন, অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি অনেক বড় একটি ষাঁড় লালন পালন করে আসছেন হরগজ গ্রামে। তাই আজকে পরিবার নিয়ে দেখতে এলাম।

ষাঁড়ের মালিক নোমাজ আলী বলেন, চার বছর ধরে অনেক কষ্ট করে আমার ষাঁড়টি লালনপালন করে আসছি। গত বছরও বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা ও বন্যার কারণে ভালো দাম পাইনি বলে গত বছর বিক্রি করতে পারিনি। এখন তো লকডাউন চলছে দুশ্চিন্তায় আছি কী হবে এ বছর।

নোমাজ তার ষাঁড়টিকে জেলার সবচেয়ে বড় ওজনের ষাঁড় দাবি করে আরো বলেন, ২৮ জুলাই পর্যন্ত মানিকগঞ্জের সাহেবের ওজন ৪০ মণ। দাম হাঁকাচ্ছেন ৩০ লাখ টাকা। তবে বাড়ি থেকে কেউ কিনতে চাইলে দর দাম করে বিক্রি করব।

মো. শামিম মুল্লা নামে স্থানীয় পশু চিকিৎসক বলেন, নোমাজ আলীর ষাঁড়টি ৪০ মণ ওজনের কিছু কম হবে। আমার ধারণা, ২৮-৩০ মণ হতে পারে। তবে এ ষাঁড়টি খুব শান্ত স্বভাবের। করোনার প্রভাবে এ বছর বিক্রি করতে না পারলে মালিক খুব ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, সাটুরিয়া উপজেলা গাবতলির হাটের কাছে হওয়ায় প্রতি বছরই ঈদকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজা করে থাকেন। তাছারা প্রতি বছরই বেশি ওজনের ষাঁড় লালনপালন করে আলোচিত হয়ে আসছে। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মানিকগঞ্জের সাহেব নামে ষাঁড়টি লালনপালন করেছেন। কোনো সৌখিন ক্রেতা এ ষাঁড়টি উপযুক্ত দাম দিয়ে কিনলে খামারিরা উৎসাহিত হবে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us