বছরের প্রথম ৬ মাসে আমিরাতের ২০২৭ প্রবাসীর ইসলাম গ্রহণ
বছরের প্রথম ৬ মাসে আমিরাতের ২০২৭ প্রবাসীর ইসলাম গ্রহণ - ছবি সংগৃহীত
আরব আমিরাতে বসবাস করা বিভিন্ন দেশের দু’হাজার ২৭ প্রবাসী ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সোমবার দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাকটিভিটিস ডিপার্টমেন্ট (আইএসিএডি) এসব তথ্য দিয়েছে।
আইএসিএডি পরিচালিত দ্যা শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম ইসলামিক কালচারার সেন্টার তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ২০২‘১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত তাদের কাছে দু’হাজার ২৭ প্রবাসী কালেমা পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
দ্যা শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম ইসলামিক কালচারার সেন্টার এ নওমুসলিমদের ইসলামের সহনশীলতার শিক্ষা দেন। এছাড়া তাদের সামাজিক, শিক্ষাগত ও ধর্মীয় সহায়তা দেন। এ ইসলামিক সেন্টারটি সর্বদা ইসলামের নীতি ও আদর্শ প্রচারে কাজ করছে, যাতে করে দুবাইতে বসবাস করা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে জন-সচেতনতা বাড়ে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পৌঁছাতে জনশক্তি ও কারিগরি মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম ইসলামিক কালচারার সেন্টারের পরিচালক হিন্দ মোহাম্মদ লুটাহ।
একজন নওমুসলিমের জন্য ইসলাম গ্রহণ করার পরের ধাপটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ইসলামিক সেন্টারটি নওমুসলিমদের ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সুবিধা ও সেবা প্রদান করে। এছাড়া এ ইসলামিক সেন্টারটি ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক বিষয়ে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে থাকে। এ ইসলামিক সেন্টারটির নওমুসলিম কল্যাণ সেক্টরের প্রধান হানা আব্দুল্লাহ আল-জাল্লাফ তার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান।
যদি কেউ ইসলাম সেম্পর্কে আরো বেশি জানতে চায় বা ইসলাম গ্রহন করতে চায় তবে ওই সকল বিষয়ে ইসলামিক সেন্টারটি বিভিন্ন সেবা দান করে। এ সেবাগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে দেয়া হয়। যেমন : ৮০০৬০০ নম্বরে ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাকটিভিটিস ডিপার্টমেন্ট (আইএসিএডি) কল সেন্টার, www.iacad.gov.ae দ্বারা দেয়া হয় স্মার্ট সার্ভিস পোর্টাল ও আইএসিএডি এপ্লিকেশন।
আইএসিএডি প্রতিবেদন মতে, দুবাইয়ে ২০২০ সালে তিন হাজার এক শ’ ৮৪ প্রবাসী ও ২০১৯ সালে তিন হাজার সাত শ’ ৭১ প্রবাসী ইসলাম গ্রহণ করেছে।
সূত্র : দ্যা সিয়াসাত নিউজ
আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি নিজের ইচ্ছায় আর বিয়ে করেছি আদালতের মাধ্যমে : শিখ নারী
আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি নিজের ইচ্ছায় আর বিয়ে করেছি আদালতের মাধ্যমে- জোরালভাবে এমন দাবি করলেন ইসলামে ধর্মান্তরিত এক শিখ নারী।
জম্মু ও কাশ্মিরের বিভিন্ন শিখ দল বলছে যে তাদের ধর্মের দু’নারী শ্রীনগরে অপহৃত হয়েছেন, তাদের জোর করে ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করেছে ভিন্ন ধর্মের ব্যক্তিরা। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই দুই শিখ নারীদের মধ্যে একজন ওই দাবি করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে ওই নারী বলেন, আমি স্বেচ্ছায় এক মুসলিম ব্যক্তিকে বিয়ে করেছি। আমি ২৯ বছর বয়সী নারী, আমি শিশু নই। তিনি আরো বলেন, তাকে কেউ জোর করেনি বরং তিনি নিজের ইচ্ছায় অন্য ধর্মের (মুসলিম) ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন।
ওই নারী ভিডিওতে আরো বলেছেন, ‘কোনো ধর্ম বা সংখ্যালঘু সংক্রান্ত বিষয় এর মধ্যে আনবেন না। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট আমায় যে সকল অধিকারগুলো দিয়েছে, আমি আমার ওই অধিকারগুলো সম্পর্কে সচেতন।’
এ নারী আরো জানিয়েছেন, তিনি ২০১২ সালে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। পরে ২০১৪ সালে নিজের ইচ্ছায় তার সহপাঠী মুজাফ্ফরকে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন।
এদিকে শিখ সংগঠনগুলো দাবি করেছে, এ মহিলাকে জোর করে বন্দুকের গুলির ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তর ও বিয়ে করা হয়েছে।
আকালি দলের নেতা মানজিনদার সিং শির্সা রোববার শ্রীনগরে এক বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। তিনি অভিযোগ করেন, ওই নারীকে অপহরণ করা হয়েছে। জোর করে ধর্মান্ত করা হয়েছে এবং অন্য ধর্মের এক পুরুষের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে শিখ ধর্মের একটি প্রতিনিধি দল জম্মু ও কাশ্মিরের লেফটেনেন্ট গভর্নরের সাথে দেখা করেছে। এনডিটিভিকে মানজিনদার সিং শির্সা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে কাশ্মির উপত্যকার এ সংখ্যালঘু শিখ নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ নারীদের দ্রুতই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শীঘ্রই শিখ ধর্মের প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ করবেন, তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবেন।
জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এক টুইটে বলেছেন, ‘শিখ ও মুসলিমদের মধ্যে যেকোনা বিভেদ জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলের অপূরণীয় ক্ষতি করবে। আমি আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুতই এ ঘটনার তদন্ত করবে এবং যদি কেই এ ঘটনায় আইন ভঙ্গের অপরাধে দোষী বলে সাব্যস্ত হন তাদের বিচার হবে এবং সাজা হবে।
জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলের গ্রান্ড মুফতি নিসার উল ইসলাম বলেন, শিখরা আমাদের কাশ্মিরি সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানে জোর করে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করার কোনো বিষয় নেই।
প্রথমত, ইসলামে জোর করে ধর্মান্তকরণ বৈধ নয়। কেউ যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চান, তবে তিনি তা করবেন এ (ইসলাম) ধর্মের প্রতি তার নিজের দৃঢ় বিশ্বাসের কারণে। কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা বা জোর করা ছাড়াই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন।
এছাড়া কাউকেই শিখ ভাইদের বিশ্বাস নিয়ে খেলতে দেয়া যাবে না। যদি কেউ এমন অন্যায় করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র : মুসলিম মিরর