কোনো প্রতিভাই ছিল না শাস্ত্রীর?
রবি শাস্ত্রী - ছবি সংগৃহীত
ভারতের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক তিনি। সেই কপিল দেবের মতে রবি শাস্ত্রীর কোনো প্রতিভা ছিল না। তবুও এত বছর ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলার জন্য প্রশংসা করেছেন কপিল।
একটি বই উদ্বোধন করতে এসে কপিল বলেন, শাস্ত্রী এমন একজন ক্রিকেটার যার কোনো প্রতিভা ছিল না। কিন্তু ভারতের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলেছে। এটা প্রশংসনীয়। মাঠে চমৎকার কিছু করার ক্ষমতা ছিল ওর। দুই ধরনের ক্রিকেটার আছে। কেউ হয় প্রচণ্ড প্রতিভাবান অথচ নিজেকে মেলে ধরতে পারে না। কেউ কেউ প্রতিভা নিয়ে আসে না, অথচ বহু দিন ধরে খেলে যায়।
ভারতীয় প্রশিক্ষক শাস্ত্রী এখন বিরাট কোহলিদের সাথে ইংল্যান্ডে। কপিল বলেন, শাস্ত্রীর মধ্যে ভালো কিছু করার জেদ ছিল। দলের সম্পদ ছিল ও। আমরা বলতাম ও যদি ৩০ ওভার খেলে ১০ রান করে, তাতেও কোনো ক্ষতি নেই। ৩০ ওভার খেলাই বিশাল ব্যাপার। বল পুরনো হয়ে গেলে তখন রান করাও সহজ হয়ে যায়।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তরুণ শাস্ত্রী। তবে ১৯৮৫ সালের ক্রিকেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে জিতিয়েছিলেন শাস্ত্রীই। প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটারও হয়েছিলেন তিনি।
কপিল বলেন, আমি শাস্ত্রীকেও বলেছি যে ওর কোনো প্রতিভা নেই। সেই জন্যই আমি ওর প্রশংসা করি। খুব ভালো অ্যাথলিটও নয় ও। আরেকজন হচ্ছে অনিল কুম্বলে। ও অ্যাথলিট ছিল না, কিন্তু কী অসাধারণ পারফরমান্স। ওর থেকে ভালো কেউ নেই।
ভারতের হয়ে ৮০টি টেস্ট খেলেছেন শাস্ত্রী। করেছেন ৩৮৩০ রান এবং নিয়েছেন ১৫১টি উইকেট। একদিনের ক্রিকেটে ১৫০টি ম্যাচ খেলে করেছেন ৩১০৮ রান এবং নিয়েছেন ১২৯টি উইকেট। অলরাউন্ডার শাস্ত্রী বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্বও দিয়েছেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
নিয়মে বড় বদল, ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শুরু আসর
ভারত বনাম ইংল্যান্ডের সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। দ্বিতীয় পর্যায়ের এই টুর্নামেন্ট বেশ কিছু পরিবর্তন করতে চলেছে আইসিসি। পয়েন্টের বিচারে যেই দল জিতবে তারা পাবে ১২ পয়েন্ট, যেই দল টাই করবে তারা পাবে ৬ পয়েন্ট এবং যারা ড্র করবে তারা পাবে ৪ পয়েন্ট।
ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দিয়ে শেষ হয়েছে প্রথমবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথমবারের সাফল্যেলর পরে দ্বিতীয়বারে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর জন্য প্রস্তুত। আর দ্বিতীয়বারের শুরুটা হবে ইংল্যান্ডের মাটি থেকেই। ৪ঠা অগস্ট থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের পাঁচ টেস্টের সিরিজ। আর সেই ম্যাচ দিয়েই দ্বিতীয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু হবে।
প্রথম পর্যায়ের খেলা হয়েছিল ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ের খেলা হবে ২০২১ এর অগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। আইসিসি এখনো ফাইনালের দিন ও জায়গা নির্ধারন করেনি। আইসিসি ঠিক করেছে, দ্বিতীয় সংস্করণে প্রত্যেকটা দল ছটা করে সিরিজ খেলবে। তিনটে হোম সিরিজ খেলবে এবং তিনটি অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। মোট ৯টা দল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সংস্করণে অংশগ্রহণ করবে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যাত্রা শেষ হবে ভারত সিরিজ দিয়েই, যদিও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চলবে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ২১টি ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। এছাড়া ভারত ১৯, অস্ট্রেলিয়া ১৮, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫, পাকিস্তান ১৪ এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা ১৩টি করে ম্যাচ খেলবে। এবারও পয়েন্ট নির্ধারণ হবে শতকরা হিসেবে।
আইসিসির মূল বক্তব্য আসন্ন দ্বিতীয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্টের মূল্যায়ণ সহজ করা। যাতে কোনোভাবে দলগুলোর অঙ্ক বুঝতে অসুবিধা না হয়। এবং অঙ্ক করতে গিয়ে যেন বিতর্ক বা জটিলতা তৈরি না হয়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস