কতটা শক্তিশালী রাশিয়া

জান্নাত খাতুন | Jun 30, 2021 07:50 am
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী

রাশিয়ার সামরিক বাহিনী - ছবি : সংগৃহীত

 

একুশ শতকে যখন কোনো দেশ অন্য কোনো দেশকে কিংবা কোনো দেশের অংশকে দখল করতে পারে না, তখন রাশিয়া একমাত্র দেশ যে তার প্রতিবেশীদেশগুলোর ওপর হামলা করে। প্রতিবেশী দেশগুলোর এলাকা দখল করে আবার সেই দখল ধরেও রাখে। রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া, জর্জিয়ার এলাকা আবখাজিয়া ও সাউথ ওসেসিয়া দখল করে নিয়েছে এবং এই দখল বজায়ও রেখেছে। রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত মিসাইলের ভয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোতে ডিফেন্স শিল্ড লাগানো হচ্ছে। রাশিয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এত উন্নত যে মাঝে মাঝে অনেক আমেরিকান তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পিছনে রাশিয়ার হাত দেখতে পায়। রাশিয়ার কাছে এমন কী রয়েছে যার ফলে পশ্চিমা দেশগুলো এত ভীত? রাশিয়া কতটা শক্তিশালী? চলুন এ সম্পর্কে জানা যাক।

আমরা জানি যে রাশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ। কিন্তু রাশিয়া আসলে কতটা বড়? রাশিয়া এতটা বড় যে রাশিয়ার পশ্চিম অংশের মানুষ যখন ঘুম থেকে উঠে তখন রাশিয়া পূর্ব অংশের মানুষ রাতের খাবার খায়। রাশিয়াতে ১১টি টাইম জোন রয়েছে। সৌরজগতের সর্বশেষ গ্রহ প্লোটোকে যদি পৃথিবীর ভূখণ্ডের মতো বিস্তৃত করা হয় তাহলে রাশিয়া প্লোটোর চেয়ে বড় হবে। রাশিয়া এতবড় যে, এর ভিতর ৫টি ভারত, ২১টি পাকিস্তান এবং ১১৫টি বাংলাদেশ ঢুকে যেতে পারে।

শুধু আয়তনই নয়। রাশিয়াতে পৃথিবীর তেলের ৬ষ্ঠ বৃহৎ মজুদ রয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্যাসের মজুদও রাশিয়াতে রয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়া থেকে তাদের প্রয়োজনের ৪০ শতাংশ গ্যাস আমদানি করে। যদি রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে তা ইউরোপীয় অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংস করে দেবে। কিন্তু ফিনল্যান্ডের মতো দেশ যারা রাশিয়ার গ্যাসের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল তাদের অর্থনীতি তো ধ্বংসই হয়ে যাবে। রাশিয়ার বিশাল আয়তন ও প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য থাকলেও রাশিয়ার জনসংখ্যা অনেক কম। রাশিয়া যদি তার নাগরিকদের প্রতি ১০ জনের একজনকে এক বর্গমাইল এলাকা দিয়ে দেয় তাও রাশিয়ার সরকারের কাছে অনেক জমি থেকে যাবে। রাশিয়ার বৃহৎ আয়তনের কারণেও রাশিয়ার একটি সমস্যা রয়েছে। রাশিয়ার জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ পশ্চিমের ২০ শতাংশ অংশে থাকে। আর জনসংখ্যার বাকি ৩৪ শতাংশ পূর্বের ৮০ শতাংশ অংশে বসবাস করে। পূর্বের ৮০ শতাংশ এলাকা থেকে প্রাপ্ত তেল ও গ্যাস রাশিয়ার অর্থনীতিতে অবদান রাখলেও অধিকাংশ জনসংখ্যা এই অংশে না থাকায় এই অংশে উন্নয়ন অনেক কম হয়। ফলে রাশিয়ার পশ্চিম অংশ উন্নত এবং পূর্ব অংশ এতটা উন্নত নয়। এটা রাশিয়ার অনেক বড় সমস্যা। যা সমাধান করার জন্য রাশিয়া প্রায় ১০০ বছর ধরে চেষ্টা করছে।

ইতিহাস বলে যে দেশের নৌবাহিনী বেশী শক্তিশালী সেই দেশ তত বেশি শক্তিশালী ও ধনী হয়ে থাকে। কারণ সমুদ্রের থেকে কম খরচে অন্য কোনো পথে বাণিজ্য সম্ভব নয়। আর এই জন্য আজও পৃথিবীর অধিকাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথেই হয়ে থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ার বিশাল সমুদ্রসীমা থাকলেও রাশিয়ার এ সুবিধাটি নেই। রাশিয়ার উত্তর অংশে উত্তর মহাসাগর রয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে বরফে ঢাকা। যা দিয়ে সামুদ্রিক বাণিজ্য একেবারে অসম্ভব। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই মহাসাগরের বরফ গলছে। ফলে রাশিয়া তার বন্দর ভ্লাদিবস্তক দিয়ে বাণিজ্য করে। এই বন্দরও বছরের অনেকটা সময় বরফে ঢাকা থাকে। আর যখন বরফ থাকে না তখন রাশিয়ার জাহাজগুলোকে জাপানের সমুদ্রসীমা দিয়ে চলাচল করতে হয়। জাপান আমেরিকা ও ন্যাটোর ঘনিষ্ঠ মিত্র। ফলে এটি রাশিয়ার জন্য আদর্শ বন্দর নয়। আবার রাশিয়া যদি পশ্চিম প্রান্তে তার বছরের অধিকাংশ সময় বরফ না থাকা একমাত্র বন্দর নোভোরসসিসেক দিয়ে বাণিজ্য পরিচালনা করে তাও আদর্শ বন্দর নয়। কারণ এই বন্দরের রাশিয়ার জাহাজগুলোকে তুরস্কের বসফরাস প্রণালি দিয়ে যেতে হয়। আর তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য ফলে এই বন্দরটিও রাশিয়ার জন্য আদর্শ নয়। যদিও এখন তুরস্কের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক ভালো তাও যত দিন পর্যন্ত তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য তত দিন পর্যন্ত এটা রাশিয়ার জন্য একটি হুমকি। তৃতীয় বন্দর হলো সেন্ট পিটার্সবার্গ। এখানেও বছরের অধিকাংশ সময় বরফ জমে থাকে। আর যখন বরফ থাকে না তখনও এই বন্দর রাশিয়ার জন্য আদর্শ নয়। কারণ রাশিয়ার জাহাজগুলোকে ডেনমার্কের সমুদ্রসীমা দিয়ে চলাচল করতে হয়। আর ডেনমার্ক ন্যাটোর সদস্য।

এত সমস্যার পরও রাশিয়া পৃথিবীর ১১ তম বৃহৎ অর্থনীতি। রাশিয়ার ২০২০ সালে রাশিয়ার জিডিপি ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। আমেরিকার জিডিপি ২১.৪৩ ট্রিলিয়ন ডলার ও চীনের জিডিপি ১৪.৩৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এত জটিল ভৌগোলিক অবস্থানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়া ২০২০ সালে ২৬৪.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি ও ১৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। রাশিয়া তেল, গ্যাস, আ্যলুমিনিয়ামের মতো ধাতু ও হিরা রফতানি করে থাকে। রাশিয়া গাড়ি, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য আমদানি করে থাকে।

রাশিয়া প্রযুক্তি পণ্য আমদানি করলেও সমরাস্ত্র এমন এক পণ্য যা উৎপাদনে রাশিয়া প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে উন্নত অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে শুধু আমেরিকা ছাড়া। সমরাস্ত্র উৎপাদনে আমেরিকার কোন সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীও নেই। রাশিয়ার সমরাস্ত্রের সারা পৃথিবীতে চাহিদা রয়েছে। চীন ও ভারতের মতো বড় বড় দেশও রাশিয়ার সমরাস্ত্রের মুখাপেক্ষী। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রাশিয়া ৪৫টি দেশে সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে। যা সারা পৃথিবীর সমরাস্ত্র বিক্রির ২০ শতাংশ। অন্যদিকে আমেরিকা ১০০টি দেশে সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে। যা সারা পৃথিবীর সমরাস্ত্র বিক্রির ৩৭ শতাংশ। তুরস্ক ও চীন রাশিয়ার এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছে। অন্যদিকে সৌদি আরব ও ভারত রাশিয়ার এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনতে আগ্রহী। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার ভয়ে ভারত এস-৪০০ কিনতে পারছে না। ইরান রাশিয়ার এস-৩০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহারও শুরু করেছে। পাকিস্তানও আমেরিকার এফ-১৬ বিমান না পাওয়ার ফলে রাশিয়ার সুখোই বিমান কিনতে আগ্রহী। ২০১৭ সালে পাকিস্তান রাশিয়া থেকে চারটি অত্যাধুনিক এমআই ৩৫ এম হেলিকপ্টার কিনেছে। মধ্যেপ্রাচ্যে চলমান গৃহযুদ্ধে রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন করছে। অন্যদিকে সৌদি আরব ও আমেরিকা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থন করছে। রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সাহায্যেই বাশার আল আসাদ সিরিয়ার অধিকাংশ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ রাশিয়ার সমরাস্ত্র শিল্পের জন্য একটি সৌভাগ্যে পরিণত হয়েছে। সিরিয়ায় রাশিয়া প্রচুর অস্ত্র বিক্রি করছে ও পরীক্ষাও করছে। রাশিয়া সিরিয়ায় এখনো পর্যন্ত নিজেদের ২০০টি অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রাশিয়ার এমন একটি অস্ত্রও আছে আমেরিকানদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলো। এই অস্ত্রের নাম হলো টি-৯০ ট্যাংক। টি-৯০ ট্যাংক হলো এমন একটি ট্যাংক যার ওপর এন্টি ট্যাংক মিসাইলও কোনো কাজ করে না। যখন এক সিরিয়ার বিদ্রোহী আমেরিকার তৈরি এন্টি ট্যাংক মিসাইল টি-৯০ ট্যাংকে ছুড়েছিল। তখন ওই মিসাইলের আঘাতে টি-৯০ ট্যাংকের কিছুই হয়নি।

রাশিয়ার সমরাস্ত্রের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হলো ক্যালাশিনে কোভ রাইফেল। যা মিখাইল ক্যালাশিনে কোভ ১৯৫০ এর শতকে তৈরি করেছিলেন। এই অস্ত্রের মাধ্যমে বিগত ১৫০ বছরে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। এটা অত্যন্ত দক্ষ এক মেশিন গান। আজ মোজাম্বিক, ইরানি গার্ড ও হিজবুল্লাহর পতাকায় ক্যালাশেনকোভের ছবি থাকে।

রাশিয়ার কাছে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে।৷ যার ফলে রাশিয়া আজও আমেরিকার সমতুল্য এক রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জাতিসঙ্ঘে প্রতিষ্ঠিত। রাশিয়া এখন পর্যন্ত সিরিয়ার বিরুদ্ধে আনা ১০টি প্রস্তাব ভেটো করে দিয়েছে।

রাশিয়াকে তার বিশাল আয়তন ও অত্যন্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে অজেয় মনে করা হয়। যদি কেউ রাশিয়া দখল করার জন্য হামলা করা তাহলে তার সেনাবাহিনীকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর চেয়ে বেশি ঠাণ্ডা আবহাওয়ার সাথে লড়াই করতে হবে। এজন্যই আজ পর্যন্ত কোনো বিদেশী শক্তি রাশিয়াকে জয় করতে হামলা করে সফল হয়নি। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়াকে জয় করতে ১ কোটি ১৩ লক্ষ সৈন্যের দক্ষ সেনাবাহিনীর প্রয়োজন। এত বিশাল সেনাবাহিনী পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সৈন্যসংখ্যা বিশিষ্ট ১৪টি দেশের সেনাবাহিনীর চেয়েও বড়। তাই এতবড় সেনাবাহিনী শুধুমাত্র গল্পেই জড়ো করা সম্ভব।

ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৮১২ সালে ৬ লাখেরর অধিক সৈন্য নিয়ে রাশিয়ায় হামলা করে। আর নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়ার ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কাছে হেরে যান। নেপোলিয়নের মাত্র ১ লাখ সৈন্যই রাশিয়া থেকে জীবিত ফিরে এসেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারও রাশিয়ায় হামলা করে ৪০ লক্ষ সৈন্য দিয়ে। আর হিটলারের সেনাবাহিনীও ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কাছে পরাজিত হয়। হিটলারের ১০ লাখ সৈন্য মারা যায় আর বাকি সৈন্য গ্রেফতার হয়। রাশিয়ার সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণ করে এগিয়ে আসতে থাকে। হিটলার রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ার ভয়ে আত্মহত্যা করে। আর যুদ্ধ রাশিয়া জিতে যায়। রাশিয়া আবারও অজেয় থেকে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রাশিয়ার ঠাণ্ডা আবহাওয়া।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০২১ অনুযায়ী রাশিয়া পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ সামরিক শক্তি। আমেরিকা প্রথম ও চীন তৃতীয়। রাশিয়ার কাছে ৪১৪৪টি যুদ্ধ বিমান, ৬০৩টি যুদ্ধ জাহাজ, ১৩ হাজার ট্যাংক আছে। ২০২১ সালে রাশিয়ার সামরিক বাজেট ৪২ বিলিয়ন ডলার। বিজনেস ইনসাইডারের তথ্যমতে, রাশিয়ার কাছে ৬৮৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। যা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ।

রাশিয়ার আগ্রাসী কার্যক্রমের জন্যও রাশিয়া অনেক সমস্যার সম্মুখীন। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশ রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। এর বিপরীতে রাশিয়াও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকার সামান্য ক্ষতি করেছে। রাশিয়া পোল্যান্ড লুথেনিয়ায় পারমাণবিক মিসাইল মোতায়েন করায় আমেরিকাও ট্যাংক ও মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ পোল্যান্ডে ঘাঁটি গেড়ে বসে। এছাড়া রাশিয়া মুসলিমদেশ চেচনিয়া এবং দাগেস্তান দখল করে রেখেছে। চেচনিয়া দখল করার ফলে রাশিয়াতে মাঝে মাঝে হামলা হয়। রাশিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি থামিয়ে দেয়া হয়৷ রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার পর রাশিয়াকে ধনী দেশেগুলোর জোট জি-৮ থেকে বের করে দেয়া হয়। আজ এই সংগঠনের নাম জি-৭। এসব কিছুর পরও রাশিয়া পৃথিবীর ২০ টি ধনী দেশের জোট জি-২০ তে এখনো আছে।

আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানকে রাশিয়ার শত্রু হিসেবে দেখা হয়। আর তুরস্ক, ভারত, ইরান, সিরিয়া ও চীনকে রাশিয়ার বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাকিস্তানকে কিছু দিন আগে পর্যন্ত রাশিয়ার বন্ধু হিসেবে দেখা হতো না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া ও পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটেছে।

রাশিয়ার বিশাল আয়তন, প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য, অসাধারণ সামরিক শক্তি ও জাতিসঙ্ঘের ভেটো ক্ষমতার কারণে রাশিয়া আজ আমেরিকার পর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তিধর দেশ। মানবাধিকার লঙ্ঘন, সব সমস্যার সামরিক সমাধান খোঁজা, আমেরিকা ও ইউরোপের সাথে খারাপ সম্পর্ক এবং বাণিজ্যের জন্য আদর্শ বন্দর না থাকা রাশিয়ার এমন কিছু দুর্বলতা যার জন্য রাশিয়াকে অনেক মূল্য দিতে হতে পারে।

তথ্যসূত্র
Russia - Wikipedia [English]
Trump acknowledges Russia role in U.S. election hacking: aide - Reuters January 9, 2017.
Russia GDP 2019 - Trading Economics. Statista.
Iran deploys Russian-made S-300 missiles at its Fordow nuclear site: TV
Reuters - 29 August, 2016.
Russia casts 10th U.N. veto on Syria action, blocking inquiry renewal -
Reuters - November 16, 2017.
Pakistan Receives 4 Advanced Attack Helicopters From Russia - The Diplomat - August 29, 2017.
World: Europe EU and Russia row over Chechnya - BBC News - October 22, 1999.
Global Fire Power Index - 2021.
U.S., other powers kick Russia out of G8 - CNN - March 25, 2014.
About 14,525 nuclear weapons exist today in the arsenals of these 9
nations - August - 6, 2018 - Business Insider.
Russia deploys nuclear-capable missiles to border with Poland and
Lithuania - 7 February, 2018 - Independent.
RUSSIA FACE-OFF: US deploys MORE troops to Poland to defend NATOborders - January 10, 2017 - Express.

লেখক : সাবেক শিক্ষার্থী, আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়, তুরস্ক


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us