আফগানিস্তান থেকে মার্কিন প্রত্যাহারে কাশ্মির নিয়ে বিপাকে মোদি!
ইমরান, মোদি ও বাইডেন - ছবি সংগৃহীত
আফগানিস্তান থেকে সেনাপ্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র তারিখ নির্ধারণ করে দেয়ায় তালেবানের ওপর পাকিস্তানের প্রভাব কমে গেছে। ২৩ জুন মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এমন দাবি করেছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর নিজ মুখে এমন কথা শুনে অনেকের কাছে স্ববিরোধী মনে হতে পারে। বিশেষত যারা মনে করে, তালেবান পাকিস্তানি আইএসআইয়ের কথায় উঠবস করে।
অবশ্য, একথা সত্য যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত চাপেই পাকিস্তান বারবার তালেবানের সাথে কথা বলে দোহা চুক্তিতে তালেবানের একপ্রকার অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি করিয়েছে। এটাই তালেবানের উপর পাকিস্তানের প্রভাবের সর্বোচ্চ স্তর বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছে এবং বলছে, এরপর থেকেই তালেবানের উপর পাকিস্তানের প্রভাব কমতে শুরু করে।
বিশেষত, আমেরিকাকে শুধু মাঠের যুদ্ধেই নয় কূটনৈতিক যুদ্ধেও একহাত দিয়েছে তালেবান। কোনো শর্ত ছাড়াই আমেরিকা আফগানিস্তান ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে, সাথে তালেবানকে দিতে হয়েছে কূটনৈতিক স্বীকৃতি। চুক্তি সইয়ের আগেই হোয়াইট হাউজ ঘোষণা করে তালেবান সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়, বরং তারা সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সাথে নিজেদের ৫,০০০ হাজার বন্দীকে মুক্ত করে ১,০০০ হাজার কাবুল সেনার বিপরীতে। এবং সর্বশেষ বাইডেন যখন ঘোষণা করে ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই তারা কাবুল ছাড়ছে, তখন তালেবান ২০ বছরের এই যুদ্ধে নিজেদের বিজয়ী পক্ষ বলে ঘোষণা করে।
আন্তঃআফগান আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক দফা বৈঠক হয়ে তা মুখ থুবড়ে পড়ে
দুপক্ষের অনমনীয়তার ফলে। অবশেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন একটি গোপন চিঠি পাঠান আশরাফ গানি ও একসময়ের তার প্রতিন্দ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহকে যিনি এখন কাবুল সরকারের ন্যাশনাল ফর রিকনসিলিয়েশনের প্রধান।
সেখানে গানিকে পরিষ্কারভাবে বলা হয়, তালেবানের সাথে যেকোনোভাবে মীমাংসায় পৌঁছাতে এবং একটা রোডম্যাপ উল্লেখ করে বলা হয়, সব পক্ষ ক্ষমতা ভাগাভাগি করে হলেও যেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে। যাতে করে দীর্ঘমেয়াদি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছায় সব বিবাদমান পক্ষ। এই জন্য নতুনভাবে মধ্যস্ততার জন্য তুরস্ককে রাজি করায় যুক্তরাষ্ট্র।
তালেবান শুরুতেই এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। তারা মূলত সামরিকভাবেই আন্তঃআফগান আলোচনার সমাপ্তি টানতে বেশি আগ্রহী।
গানি যুক্তরাষ্ট্রের রোডম্যাপের সব প্রস্তাব মানতে না চাইলেও যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণে আলোচনায় বসার জন্য রাজি হয়। তালেবানকে রাজি করানোর ভার পড়ে পাকিস্তানের উপর। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। পাকিস্তানের অনেক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলছেন, পাকিস্তানের জোরাজোরি হিতে বিপরীত হতে পারে।
তারা মনে করছেন, চুক্তি সইয়ের পর তালেবান আরো বেপরোয়া। তাই অযথা তাদের রুষ্ট করে নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ করা ঠিক হবে না। আর এটা যেহেতু একপ্রকার নিশ্চিত যে সেনা প্রত্যাহারের পর বর্তমান অবস্থানের আলোকে তালেবানের পক্ষে তাদের নিজের শক্তিতেই কাবুল দখল করা সময়ের ব্যাপার। আর মধ্য এশিয়ায় বাণিজ্যিক সুবিধা আদায়ে পাকিস্তানের দরকার আফগানে স্থিতিশীল পরিবেশ আর তালেবান ক্ষমতাসীন হলে বোঝাপড়াটাও সহজ পাকিস্তানের জন্য। এই জন্য অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, আমেরিকার পক্ষ হয়ে তালেবানের ওপর জোরজবরদস্তি করা মোটেও ঠিক হবে না।
কারণ, টিপিপিসহ বালুচিস্তানের কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর তালেবানের যথেষ্ট প্রভাব বিদ্যমান। এছাড়া টিপিপি পাহাড়ি সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর সাথে অনিয়মিত সংঘর্ষ চালিয়ে আসছে।এতে মাঝেমধ্যেই হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
এদিকে জো বাইডেন প্রশাসন সেনাপ্রত্যাহারের ঘোষণায় টনক নড়ে ভারতের। তারা তালেবানের সাথে একাধিক কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ শুরু করে।
সাথে পাকিস্তানের সাথে গোপনে বৈঠকে বসে কয়েক দফা সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ইমরান খান যদিও প্রকাশ্যে বলে আসছে কাশ্মিরের ৩৭০ ধারা পুনঃবহাল না করলে তারা ভারতের সাথে সমঝোতায় বসলে তা হবে কাশ্মিরিদের সাথে প্রতারণা। যদিও বৈঠক চলছে বিভিন্নভাবে।
সাম্প্রতিক সময়ে তালেবানের কর্মকাণ্ডে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হুঁশ দেরিতে হলেও ফিরেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখেও টানা ২২ মাস ধরে জরুরি অবস্থা কাশ্মিরের কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়।
সকল রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দী করে, শত শত কর্মীকে জেলে পুরেছেন মোদি। তা সত্ত্বেও দমন করা যায় নি কাশ্মিরিদের। সুযোগ পেলেই তারা আক্রমণ করে বসছে সেনা সদস্যদের। বিচ্ছিন্নভাবে হলেও তারা প্রতিরোধ চালু রেখেছে, হামলা পাল্টা হামলায় দমে যায়নি, এমনকি গুম খুনের ভয়েও। সর্বশেষ গত ২৬ জুন তারিখ রাতে কাশ্মিরে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে এ বোমা হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনো গ্রুপ। এতে তারা চীনা ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে জানায় কাশ্মির পুলিশ।
কিন্তু হঠাৎ কী হলো যে হিন্দুত্ববাদের ধব্জাধারী নরেন্দ্র মোদিকে গত ২৪ জুন কাশ্মিরের ১৪টি রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে সর্বদলীয় সভায় নিজ বাড়িতে বৈঠকে বসতে হলো। তিনি তাদেরকে রাজ্যের মর্যাদা পুনঃবহালের আশ্বাসবাণী পর্যন্ত দিয়েছেন। অথচ এই নেতা কর্মীদের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর গৃহবন্দি করে এবং তাদের প্রধান দুষ্কৃতিকারী বলে কটাক্ষ করেন মোদি-অমিত শাহ।
মোদি চাইছে না কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ কোনো শক্তিশালী বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের কাছে হস্তান্তরিত হয়ে যাক। তাই বাধ্য হয়েই এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়।
মোদির এমন উপলদ্ধির পিছনে দুটি কারণ রয়েছে যার একটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন দৈনিক নয়া দিগন্তে রাজনীতি বিশ্লেষক গৌতম দাস।
আমি এখানে সংক্ষিপ্তকারে কিছু কথা তুলে ধরছি বিস্তারিত সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন আগ্রহী পাঠকরা।
১৯৮৭ সালে কাশ্মিরে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করে নেহেরু ফারুক আব্দুল্লাহ পিতা শেখ আব্দুলাহকে মুখ্যমন্ত্রী করে। ব্যক্তিগত ভাবে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। তাই নেহেরু কারচুপির মাধ্যমে বন্ধুকে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন এর প্রতিদান দিতে গিয়ে শেখ আব্দুলাহ কাশ্মিরের ন্যায্য দাবি-দাওয়া থেকে সরে আসেন। এর মাধ্যমে কাশ্মিরে ব্যাপক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে এবং শান্তিপূর্ণ রাজনীতি বাদ দিয়ে তারা সশস্ত্র রাজনীতিতে ঝুকতে থাকে। পাকিস্তান এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে এই বিচ্ছিন্নবাদীদের প্যাট্রোনাইজ করে। নেহেরুর আরো একটি কুকর্ম হলো জাতিসঙ্ঘ প্রস্তাব মোতাবেক কাশ্মিরের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট হওয়ার কথা থাকলে তা স্থগিতাদেশ দেয়।
এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটেই কাশ্মিরিরা সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু করে ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে। কিন্তু ৯/১১-এর পর আমেরিকা যখন আফগান আক্রমণের জন্য পাকিস্তানকে হুমকি দিলো : সহায়তা না করলে তাদের বোমা মেরে পাথর-যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। মোশাররফ সরকার তখন দেশের জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমেরিকার ওয়ার অন টেররের অংশীদার হলো ভারতও নিজেকে একই সন্ত্রাসে ভিকটিম হিসেবে হাজির করে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলল সুযোগ মতোই। এছাড়াও অবতীর্ণ হলো তালেবানের বিরুদ্ধে আমেরিকার অন্যতম সহযোগিতা রাষ্ট্রের ভূমিকায়। অথচ কাশ্মিরে তারা ৭০ বছর যাবত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কায়েম করে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে নিজেরাই, যা এখনো চলমান।
যে মোদি কাশ্মিরের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করেই ক্ষান্ত হননি, সেনা মোতায়েন করে গোটা কাশ্মিরকে পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিলেন, তিনিই এখন তড়িঘড়ি সমাধানের পথ খুঁজছেন।
এটা মূলত নেহেরুর মতো চাতুর্যতার আশ্রয় নেয়া, যা শেখ আব্দুল্লাহর মাধ্যমে নেহেরু, ফারুক আব্দুল্লাহর মাধ্যমে রাজীব গান্ধী কাশ্মিরিদেরকে তাদের ন্যায্য পাওনা স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করে কিছু সুবিধাবাদি রাজনীতিকের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে। মোদিও হয়ত শেষ বেলায় এরকম একজন শেখ আব্দুল্লাহর খোঁজ করছেন।
দ্বিতীয় কারণ, ভারত এটা হারে হারেই জানে কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপর পাকিস্তানের প্রভাব বেশি দিন থাকবে না বা আগের মতো নেই।
২০০১ সালে আমেরিকার আফগান আক্রমণে তালেবানের সাথে পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকার ফলে কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নবাদীরা আল কায়েদার সংস্পর্শে আসে, কাশ্মিরের 'ব্রিগেট ৩১৩'-এর প্রধান নেতা একসময় আল কায়েদার উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে জায়গা করে নেন। তার নেতৃত্বে শত শত যোদ্ধার পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানের মাটিতে ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। অর্থাৎ কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামীদের আর আগের মতো ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার সুযোগ নেই পাকিস্তানের কাছে। বিশেষ করে আফগানে তালেবান ক্ষমতা দখল করলে।
তাই মোদির জন্য নির্বাচনে বৈতরণী পার হওয়ার জন্য পাকিস্তান জুজুর ভয় কাজে দিলেও দেশের অখণ্ড রক্ষায় তা যে রীতিমত অকার্যকর তা ভেবেই গোপনে পাকিস্তানের সাথে কাশ্মির নিয়ে দরকষাকষি করে চলছে নয়াদিল্লি।
যদিও দুদেশ কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে নির্বাচনী মাঠে একে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বিশেষত ভারত বরাবর দাবি করে আসছে, কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ইসলামাবাদ সহযোগিতা করে আসছে। এর মাধ্যমে পাকিস্তানকে ভারত সন্ত্রাসের মদতদাতা হিসেবে এত দিন বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। এতে আমেরিকার গ্রিন সিগনাল ছিল, যা পাকিস্তানকে আরো বেশি মার্কিনমুখী করে তোলে। আবার আমেরিকা ওয়ার অন টেরর ঘোষণা করেছে সেইসাথে সন্ত্রাসের আশ্রয় কারীদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে পাকিস্তানকে চাপে রেখে তালেবানের বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো ব্যববহার করার চেষ্টা করে আসছে মার্কিন প্রশাসন সেই ২০০১ সাল থেকেই।
এর প্রমাণ হলো, ২০১৮ সালে এফএটিএফ পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের আশ্রয় প্রশ্রয়সহ ২৭টি অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত করে।পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, এসব অভিযুক্ত বিষয় থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে। পাকিস্তান এর মধ্যে ২৬টি পূরণ করেছে ১টি দাবি তারা এফএটিএল-এর চাহিদা অনুসারে এখনো পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ এনে এখনো পাকিস্তান ধুসর তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়নি।
এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ইমরান খান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মুহাম্মদ কোরেশি।
হয়ত তালেবানের বিপক্ষে একটি সেনাঘাঁটির লোভ এখনো ছাড়তে পারেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তান যদিও ইমরান খানের নেতৃত্বে তবুও সেনাবাহিনীর প্রাধান্য রয়েছে। তাই এখনো নিশ্চিত করে বলা যায় না, আমেরিকার শেষ ইচ্ছে পাকিস্তান পূরণ করবে কিনা।
যদি এরকমটা কিছু ঘটে তাহলে পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া পাকিস্তানও চাচ্ছে তালেবান তাদের নিয়ন্ত্রণে আগের মতো থাকলে মন্দ হয় না। তাই তো তুরস্কের সাথেও বোঝাপড়া করছে পাকিস্তান।
এখন দেখার বিষয় পাকিস্তান কি আমেরিকার চাপের মুখে নতি স্বীকার করে ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে তালেবানের বিরাগ ভাজনে পরিণত হবে? এবং আল কায়েদার সম্ভাব্য পরবর্তী টার্গেট ভারত-অধিকৃত কাশ্মির থেকে তাদের দৃষ্টিকে নিজেদের ভূমির দিকে ঘুরিয়ে দিবে?
মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের কূটনৈতিক ও নৈতিক দৃঢ়তাই হিন্দুত্ববাদের কবল থেকে বাঁচাতে পারে কাশ্মিরকে।
তথ্যসূত্র
নিউ ইয়র্ক টাইমস
ওয়াশিংটন পোস্ট
ফ্রাইডে টাইমস
লেখক : শিক্ষার্থী, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়