‘ইস্তাম্বুল খাল’ : বাস্তবায়িত হচ্ছে এরদোগানের স্বপ্নের প্রকল্প
‘ইস্তাম্বুল খাল’ : বাস্তবায়িত হচ্ছে এরদোগানের স্বপ্নের প্রকল্প - ছবি : আল জাজিরা
তুরস্কে বহুল আলোচিত ‘ইস্তাম্বুল খাল’ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে শনিবার। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের ‘স্বপ্ন প্রকল্প’ হিসেবে পরিচিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে বসফরাস প্রণালীর সমান্তরালে মারমারা সাগর ও কৃষ্ণসাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হবে।
শনিবার খালটির দুই পাশে সংযোগকারী সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। সাত হাজার পাঁচ শ’ কোটি তুর্কি লিরা (বাংলাদেশী ৭২ হাজার পাঁচ শ’ ১৯ কোটি টাকা) বাজেটে এই প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে।
২০১১ সালে তুরস্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান এই খালের পরিকল্পনার ঘোষণা দেন। দশ বছর প্রকল্পের জেরে পরিবেশের ওপর প্রভাবসহ সংশ্লিষ্ট জরিপ কাজের পর এই বছরের মার্চে তুর্কি মন্ত্রিসভা প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।
ইস্তাম্বুলের ইউরোপীয় অংশে খননের পরিকল্পনা করা এই খালটি দৈর্ঘ্যে ৪৫ কিলোমিটার (২৮ মাইল), প্রস্থে ২৭৫ মিটার (৯০২ ফুট) এবং গভীরতায় ২০.৭৫ মিটার (৬৮ ফুট) হবে।
প্রকল্পের কাজ আগামী সাত বছরের মধ্যে শেষ করা হবে। নতুন এই খালটি ইস্তাম্বুলকে দুই সাগরের শহরে পরিণত করবে।
বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পথ ইস্তাম্বুলের বসফরাস প্রণালী দিয়ে প্রতিনিয়তই বিপুল নৌযান পারাপার হয়। বিপুল নৌযান পারাপারের ফলে প্রায়ই এশিয়া ও ইউরোপের মাঝে এই প্রণালী পথে নৌজটের সৃষ্টি হয়। নৌজটের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে এই প্রণালীতে।
এই সমস্যা সমাধানের অংশ হিসেবে নতুন এই খাল খননের পরিকল্পনা করা হয়।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
নতুন ক্ষেপণাস্ত্রে তুর্কি নৌবাহিনী আরো শক্তিশালী হবে
আতমাকা জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির মধ্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ ও দেশীয় উত্পাদনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অর্জিত হলো।
আনাদোলু অ্যাজেন্সির পাওয়া তথ্য মতে, পানির উপরিভাগের যুদ্ধের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূ্র্ণ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিদেশী উত্পাদনের উপর তুরস্কের নির্ভরশীলতা কমাবে, নৌবাহিনী নেতৃত্বের প্রয়োজন পূরণ করবে এবং দেশীয় খরচে তৈরি একটি শক্তিশালী অস্ত্রের অভাব পূরণ করবে।
কাগজে কলমে আতমাকার পাল্লা ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) হলেও শুটিং পরীক্ষায় এটি ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল) পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
তথ্য সংযোগের মাধ্যমে এটি লক্ষ্যবস্তু হালনাগাদ করতে পারে এবং অভিযান বাতিল করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু পরিবর্তন করানো এবং অন্য লক্ষ্যবস্তুর দিকে প্রেরণ করানো সম্ভব।
আতমাকা একাধিক মিসাইলকে একই সাথে মোকাবিলা করতে পারে সক্ষম। কারণ এর নিজস্ব গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে।
পানির উপরিভাগ এর বিশেষ চলনক্ষমতা রয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে এটি ৫ মিটার (২৬ ফুট) উচ্চতায় চলে এবং ৩ মিটার (১০ ফুট) উপরে আঘাত হানে।
ইতিমধ্যে আতমাকা ২০টি হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রটি সক্ষমতার ক্রমাগত উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।
তুর্কি অস্ত্র নির্মাতা ‘রকেস্তান’ আতমাকার প্রশংসা করে বলেছে, আতমাকা নির্ভুল, দীর্ঘ-পাল্লার, উপরিভাগ-থেকে-উপরিভাগ , সঠিকভাবে আঘাত হানতে সক্ষম জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এটি টহলদার জাহাজ এবং ফ্রিগেট-করভেট রণতরিতে ব্যবহৃত হতে পারে। তারা আশা করছে আতমাকা মার্কিন-নির্মিত হারপুন মিসাইলকে প্রতিস্থাপিত করবে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি