ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ অব্যাহত, সঙ্ঘাতে আহত ৭৩
ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ অব্যাহত, সঙ্ঘাতে আহত ৭৩ - ছবি সংগৃহীত
অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের সাথে সঙ্ঘাতে ৭৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। শুক্রবার এ সঙ্ঘাতের ঘটনা ঘটে।
পশ্চিম তীরজুড়ে ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন বিক্ষোভ মিছিলে ইসরাইলি সেনারা সরাসরি গুলি, রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে ৭৩ ফিলিস্তিনি আহত হন। পশ্চিম তীরের কাফর কাদ্দুম, কালকিলিয়া, বেইতা ও দক্ষিণ নাবলুসে এসব সঙ্ঘাতের ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অবৈধভাবে ফিলিস্তিনিদের জমিতে ইসরাইলি বসতি নির্মাণের বিরুদ্ধে এ আন্দোলন চলে আসছে। এ বিষয়ে প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিরা তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছেন।
ইসরাইলি সেনারা বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে এ সকল বিক্ষোভে হামলা চালালে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে।
শুক্রবারের বিক্ষোভে ইসরাইলের সেনারা গুলি চালালে চার ফিলিস্তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। আহত চার ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপর দিকে ইসরাইলের সেনাদের রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন আরো ৬৯ ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, মোট ৩৩৫ ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী টিয়ার গ্যাসের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এর আগে পশ্চিম তীরের বেইতা শহরে চার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন ইসরাইলের হামলায়।
ইসরাইল আভিটার নামে একটি ইহুদি বসতি নির্মাণ করছে। এ ইহুদি বসতি নির্মাণে বেইতা শহরের জাবাল সাহিব এলাকায় ফিলিস্তিনিদের ১০০০ স্কয়ার মিটার জমি দখল করেছে ইসরাইল। একারণেই ফিলিস্তিনিরা এ বিক্ষোভ শুরু করে।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের ১৬৪ বসতি ও ১১৬ উপনিবেশগুলোতে সাড়ে ছয় লাখ ইহুদি বসতিস্থাপনকারী বাস করে। যদিও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ফিলিস্তিনিদের জমিতে কোনো ধরনের ইহুদি বসতি বা উপনিবেশ নির্মাণ অবৈধ।
এছাড়া ইসরাইলি পুলিশ ২০০৩ সাল থেকে ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদেরকে অনুমতি দিয়েছে ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ করার জন্য। যদিও বিভিন্ন সংস্থা এ বিষয়টির সমালোচনা করেছে।
সূত্র : ইয়েনি সাফাক
গোলানের ওপর ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণে মার্কিন স্বীকৃতি পরিবর্তন করছেন না বাইডেন
সিরীয় ভূখণ্ড গোলান মালভূমি ১৯৬৭ সাল থেকে দখল করে রেখেছে ইসরাইল। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ভূখণ্ডের ওপর ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই স্বীকৃতি বাতিল করতে যাচ্ছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এবার ওই খবরকে অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিকট প্রাচ্য বিষয়ক বিভাগ শুক্রবার এক টুইট বার্তায় জানায়, 'গোলানের বিষয়ে মার্কিন নীতি পরিবর্তিত হচ্ছে না এবং এর বিপরীত খবর মিথ্যা।'
এর আগে মার্কিন নিউজ ওয়েব সাইট ওয়াশিংটন ফ্রি বিকনে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গোলান মালভূমিকে ইসরাইলি ভূমি হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতি বাইডেনের পরিবর্তনের বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, ‘গোলান মালভূমি কারো নয়, এই ভূখণ্ডের মালিকানা ইসরাইলের হাতে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির বাইরে ২০১৯ সালের মার্চে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
১৯৬৭ সালের ছয় দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় তেলআবিব সিরিয়া থেকে গোলান মালভূমি দখল করে নেয়। পরে ১৯৮১ সালে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতামতের বাইরে গিয়ে একতরফাভাবে এই ভূখণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে নেয় ইসরাইল।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই