যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তাকারী আফগানদের অন্য দেশে পাঠানোর চেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তাকারী আফগানদের অন্য দেশে পাঠানোর চেষ্টা - ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সহায়তাকারী আফগানদের অন্য দেশে পাঠানোর চেষ্টা করছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছে আল-আরাবিয়া নিউজ।
মার্কিন সেনাদের সাথে কাজ করা ১০ হাজার দোভাষী ও অন্যান্য আফগান কর্মকর্তারা যারা যুদ্ধের সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের অন্য দেশগুলোতে পাঠানো হবে, যতদিন না তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছেন ততদিন তারা এসব দেশে থাকবেন। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের সহায়তা করা এসব আফগান নাগরিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য আবেদনও করেছেন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তাকারী আফগানদের বিদেশে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা এসব তথ্য দিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেছেন যে সম্প্রতি পরিকল্পনা করা হচ্ছে যাতে দ্রুততার সাথে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তাকারী এসব আফগান ও তাদের পরিবারগুলোকে আমেরিকা বা অন্য দেশে পাঠানো যায়। কারণ, এসব আফগান ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছে। এসব 'গাদ্দার আফগানের' আবেদনগুলো বেছে রাখছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এসব আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে। ওই মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য দিয়েছেন। কারণ, এসব তথ্য এখনো জনসম্মুখে আসেনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তাকারী আফগানদের অন্য দেশে পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে মার্কিন আইনপ্রনেতাদেরকে বিভিন্ন তথ্য জানানো হয়েছে। বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
শুক্রবার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও আফগানদের জাতীয় ঐক্য নিয়ে কাজ করা এক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর সাথে এক বৈঠকে মিলিত হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ওই বৈঠকেও যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তাকারী আফগানদের অন্য দেশে পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা হবে।
সূত্র : আল-আরাবিয়া নিউজ
তালেবানকে পাশে চাইছে ভারত!
গালওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের এক বছর পার হতেই চীনকে নিয়ে আবারো শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর। প্রতিশ্রুতি দিলেও আদৌ কি সেনা সরাচ্ছে চীন? লাদাখ সীমান্তে চীনের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন এস জয়শঙ্কর।
অন্যদিকে, চীন ও পাকিস্তানকে চাপে রাখতে আফগানিস্তানে তালেবানের সাথে সম্পর্ক মজবুত করছে ভারত- দাবি আন্তর্জাতিক মহলের। আফগানিস্তানের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নজর ভারতের।
কাতারের বিশেষ দূত মুতলাক বিন মজিদ অল কহতানি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভারতীয় কর্মকর্তারা দোহায় তালেবান প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
এখানেই শেষ নয়, কাতারের বিশেষ দূতের দাবি, ভবিষ্যতে আফগানিস্তানে তালেবানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। এই বিষয়টিই মাথায় রেখে তালেবানের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। এই বিষয়টিতে নজর রেখেছেন স্বয়ং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। যদিও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অরিন্দম বাগচি এ প্রসঙ্গে বলেন, আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের অবস্থান এতেই স্পষ্ট। আফগানিস্তানের বিকাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার কাতারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সেদেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন। দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্কের বিস্তার নিয়েও আলোচনা করা হয়। আফগানিস্তানও শান্তি বার্তা প্রক্রিয়ায় সামিল হয়।
আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রে শান্তি বজায় রাখতে হলে দেশের ভিতরের সাথে সাথে চারপাশেও শান্তি থাকা দরকার। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে আফগানিস্তানের কাছে আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান ও চীনকে চাপে রাখতে আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করছে ভারত। নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ক্ষুরধার মস্তিষ্কই রয়েছে এর পিছনে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তালেবান কাঁটা দিয়ে কোন কাঁটা তুলতে চায় ভারত সেদিকে তাকিয়ে আছে আন্তর্জাতিক মহল।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া