আফগানিস্তানের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তুরস্কের
কাবুল বিমানবন্দর - ছবি সংগৃহীত
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর পরিচালনায় তুরস্ক নতুন করে কোনো সেনা পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার। বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তুরস্ক নতুন করে কোনো সেনা না পাঠালেও বর্তমানে যে তুর্কি সেনারা ন্যাটো জোটের সাথে আফগানিস্তানে আবস্থান করছে তারা কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর পরিচালনা করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি এ কথাও বলেন যে তুকি সেনারা তখনই কাবুলের এ বিমানবন্দর পাহাড়া দিবে যখন তাদের শর্তগুলো পূরণ করা হবে। তবে তুরস্ক থেকে অতিরিক্ত কোনো সেনা আফগানিস্তানে পাঠানো হবে না।
তিনি আরো জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একজন প্রতিনিধি তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দরের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকি সুলেভান বলেন, ‘গত সপ্তাহে বাইডেন ও রজব তাইয়্যেব এরদোগান ন্যাটো সম্মেলনের এক বৈঠকে একমত হয়েছেন যে ন্যাটো সেনারা চলে যাবার পর তুরস্ক কাবুল বন্দরের নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব পালনে মূল ভূমিকা পালন করবে।
ওই বৈঠকের পর রজব তাইয়্যেব এরদোগান এ বিষয়ে বলেন, ‘কাবুল বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কূটনীতিক, আর্থিক ও রসদ (সামরিক ও বেসামরিক) সাহায্য চায় তুরস্ক। এছাড়া তুরস্ক চায় হাঙ্গেরি আর পাকিস্তানও কাবুল বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় থাকবে।
অবশ্য তালেবান বলছে, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে করা চুক্তি অনুসারে অন্যান্য বিদেশী বাহিনীর সাথে তুর্কি বাহিনীর প্রত্যাহার করতে হবে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
কৃষ্ণ সাগরে নৌ-অনুশীলনে অংশ নেবে ৪ আরব দেশ
কৃষ্ণ সাগরে নাসিম আল-বাহার নামের নৌ-অনুশীলনে যোগ দিতে যাচ্ছে তিউনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরোক্কো ও মিসর। তারা এ নৌ-অনুশীলন পর্যবেক্ষণেও অংশ নেবে। এ মাসের শেষের দিকে কৃষ্ণ সাগরে এ নৌ-অনুশীলন অনুষ্ঠিত হবে।
কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলে ২৮ জুন থেকে ১০ জুলাই তারিখ পর্যন্ত এ নৌ-অনুশীলন চলবে। এ নৌ-অনুশীলনে যুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন প্রসঙ্গ, উভচরযুদ্ধ, স্থলযুদ্ধের রণকৌশল, ডুবুরি অভিযান, সমুদ্রে যাত্রা বিরতিকালীন অভিযান, বিমান প্রতিরক্ষা, বিশেষ অভিযানগুলোর সমন্বয়, সাবমেরিনবিরোধী অভিযান, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানবিষয়ক বিভিন্ন অনুসঙ্গ থাকবে।
ছয় মহাদেশের ৩২ দেশের পাঁচ হাজার সৈন্য এ নৌ-অনুশীলনে অংশ নিবে। একইসাথে ৩২ জাহাজ, ৪০ বিমান আর ডুবুরি সংশ্লিষ্ট কাজ ও বিশেষ অভিযান চালাতে সক্ষম এমন ১৮ দল ওই অনুশীলন বা মহড়ায় অংশ নিবে। কৃষ্ণ সাগরে অনুষ্ঠিত এ অনুশীল কার্যক্রম হবে বছরের সবচেয়ে বড় নৌ-মহড়া।
১৯৯৭ সালে সি ব্রিজ (নাসিম আল-বাহার) নামের এ অভিযান শুরু হবার পর অধিকাংশ কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো এ নৌ-মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। ন্যাটো সদস্যরা ও তাদের মিত্রদেশগুলোও এ সামরিক মহড়ায় অংশ নিবে। এ দেশগুলোর সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সাথে এ প্রশিক্ষণ ও অভিযান কার্যক্রম চালিত হবে।
সি ব্রিজ-২১ নামের এ নৌ-অনুশীলনে অংশ নেয়া দেশগুলোকে সামুদ্রিক যুদ্ধে অভিজ্ঞ করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাড়বে। এছাড়া বিভিন্ন অস্ত্র ও সামরিক উপকরণ পরিচালনায় দক্ষ বানানো হবে। এ সামরিক মহড়ার উদ্দেশ্য একটি সমন্বিত লক্ষ্য অর্জন।
কৃষ্ণ সাগরে অনুষ্ঠিত এ সামরিক অনুশীলন ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আয়োজন করছে। তাদের সাথে সহযোগিতা ও সমর্থনে করছে ৩২ দেশ। নৌ-মহড়ায় অংশ নেয়া দেশগুলো হলো : আলবেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, মিসর, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জর্জিয়া, গ্রিস, ইসরাইল, ইতালি, জাপান, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, মলদোভা, মরোক্কো, নরওয়ে, পাকিস্তান, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, সেনেগাল, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : ইউপিআই