মাত্র ২ রানে অলআউট!
মাত্র ২ রানে অলআউট! - ছবি : সংগৃহীত
মাত্র ২ রান। তার মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন ১০ জন ব্যাটসম্যানই। অবিশ্বাস্য এমনই ঘটনা ঘটল এবার ইংল্যান্ডে। কাউন্টি লিগ সাইডের ম্যাচে বাকডেন ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গেই খেলা ছিল ফ্যালকন একাদশের। হান্টিংডনশায়ারের চতুর্থ ডিভিশনের সেই ম্যাচেই বাকডেন ক্রিকেট ক্লাব লজ্জার নজির তৈরি করল। প্রতিপক্ষের ২৬১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৮.৩ ওভারেই অলআউট হয়ে গেল। স্কোরবোর্ডে মাঝে যোগ হয়েছিল মাত্র ২ রান। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে এটাই নাকি সবচেয়ে একপেশে হার।
নাটকীয় এই ম্যাচ খেলা হলো কেমব্রিজের সট্রি-তে। টসে জিতে বাকডেন ক্রিকেট ক্লাব ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ফ্যালকন একাদশকে। ফাহিম সাব্বির ভাটি (৬৫) এবং মুরাদ আলির (৬৭) হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ফ্যালকন একাদশ স্কোরবোর্ডে তোলে ২৬০ রান।
৪০ ওভারের ম্যাচে এই টার্গেট তাড়া করতে গিয়েই কেলেঙ্কারি ঘটায় বাকডেন ক্রিকেট ক্লাব। মাত্র ২ রানের মধ্যেই সমস্ত ব্যাটসম্যান অলআউট হয়ে যায়। দশজন ব্যাটসম্যানই রানের খাতা খুলতে পারেননি। স্কোরবোর্ডে ২ রানই আসে অতিরিক্ত হিসাবে।
ফ্যালকন একাদশের আমনদীপ সিং ছয় উইকেট নিয়ে একাই বাকডেনকে হারিয়ে দেন। নিজের ৪ ওভারে কোনো রান খরচ করেই হাফডজন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ২৫৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মানে বাকডেন। পেশাদারি ক্রিকেটে এমন হারের নজির বিরল।
স্কোরকার্ড :
বাকডেন ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক জোয়েল কির্সনার জানান, চোট আঘাতের সমস্যায় দলের ১৫ জন ক্রিকেটারই খেলতে পারেননি। অনেকে আবার পারিবারিক কারণে মাঠে নামতে পারেননি। প্রথম সারির ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতেই কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে একাদশ সাজানো হয়। আর তাতেই নাকি বিপর্যয়!
জোয়েল বিবিসি স্পোর্টস-কে জানিয়েছেন, আমাদের একাদশের মাত্র ৮ জন নিয়মিত ক্রিকেটার ছিল। ১৫-৫০ বছরের মধ্যে। গ্রাহাম পিয়ার্স যখন খেলতে আসেন, তখন খেলার মাঝপথ। ও কাজ করতে গিয়ে দেরি করে ফেলে। ১৫ জন নিয়মিত ক্রিকেটারকে পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে ২-৩ জনের চোট ছিল। বাকিরা পারিবারিক কারণে আটকে পড়েন। একজনকে আবার দেখাই যায়নি। আমরা এতটাও খারাপ দল নই, যেভাবে স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছে। এর আগে যখন আমরা ফ্যালকনের বিপক্ষে খেলি, তখন মাত্র ৯ রানে হেরেছিলাম।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ছক্কা মেরে মাথায় হাত ব্যাটসম্যানের, হো-হো করে হাসছেন বোলার
যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেট হোক না কেন, ছক্কা মারা যেকোনো ব্যাটসম্যানের কাছে সবচেয়ে আনন্দের বিষয়। অন্যদিকে, ব্যাটম্যান ছক্কা হাঁকালে বোলারের খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। তবে যদি দেখেন যে ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ছেন এবং বোলার ও ফিল্ডাররা হো-হো হাসছে, তবে বিষয়টা একটু অস্বাভাবিক মনে হবে নিশ্চিত।
অথচ ঠিক সেরকম ছবিই দেখা গেল হালিফ্যাক্স ক্রিকেট লিগে। সেন্ট ম্যারিস ক্রিকেট ক্লাবের আসিফ আলিকে ছক্কা হাঁকিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়তে দেখা গেল ক্রিজে। ম্যাচ ছিল সোয়ারবিস সেন্ট পিটার্স ক্লাবের বিরুদ্ধে।
ক্লাব ক্রিকেটার আসিফ আলি একটি ছক্কা হাঁকান স্কোয়ারলেগ বাউন্ডারির উপর দিয়ে। বাউন্ডারি লাইন টপকে বল চলে যায় পার্কিং জোনে, যেখানে রাখা ছিল তার নিজের গাড়ি। বল গিয়ে পড়ে তার গাড়ির উপর। স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে যায় কাচ।
বল মারার পরেই আসিফ এমনটা কিছু ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁর শরীরি ভাষাতেই সেটা স্পষ্ট। নিজেই ছক্কা মেরে নিজের গাড়ির কাচ ভেঙে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন আসিফ।
বিষয়টা উপলব্ধি করে বোলারও হেসে খুন। আম্পায়ারকেও ছক্কার সংকেত দেওয়ার সময় হাসতে দেখা যায়। একমাত্র আসিফ ছাড়া বাকি সকলেই বিষয়টা অত্যন্ত উপভোগ করেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস