সংসদ সদস্যপদ হারাতে পারেন নুসরত?
নুসরত - ছবি সংগৃহীত
ভারতীয় লোকসভা তথা পার্লামেন্টের সদস্যপদ হারাতে যাচ্ছেন নুসরত? এমন প্রশ্ন এখন ওঠছে।
কলকাতা সিনেমার অভিনেত্রী তথা মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল দলের হয়ে নির্বাচিত এমপি নুসরত জাহানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিতর্ক থামার নাম নেই। এবার নুসরাতের বিরুদ্ধে এথিকস কমিটির তদন্ত চেয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছেন উত্তরপ্রদেশের বদায়ুনের বিজেপি এমপি সংঙ্ঘমিত্রা মৌর্য। সংঙ্ঘমিত্রার অভিযোগ, নিজের বৈবাহিক জীবন নিয়ে সংসদে ভুল তথ্য প্রদান করেছেন নুসরত। আর তাই বসিরহাটের এমপির বিরুদ্ধে এথিকস কমিটির তদন্ত হোক। গত গত ১৯ জুন চিঠিটি লেখেন সংঙ্ঘমিত্রা মৌর্য।
এই তদন্তের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
লোকসভার প্রোফাইলে নসরতের স্বামী হিসেবে নিখিল জৈনের নাম উল্লেখ করা রয়েছে। তবে কয়েক দিন আগে নুসরত দাবি করেন তিনি বিবাহিত নায়। যা নিয়ে বিস্তর পানিঘোলা হয়। সেই বিতর্ক রাজনৈতিক আঙিনাতেও ছড়িয়ে পড়ে। এই আবহে চিঠিতে নুসরতের লোকসভার প্রোফাইল জুড়ে দিয়ে সংঙ্ঘমিত্রা মৌর্য লোকসভার অধ্যক্ষকে লেখেন, 'শপথগ্রহণের সময় নিজের নাম নুসরত জাহান রুহি জৈন বলে উল্লেখ করেছিলেন তৃণমূল এমপি। তবে কয়েকদিন আগে নিজের বৈবাহিক জীবন নিয়ে যে মন্তব্য তিনি সংবাদমাধ্যনে করেছেন তার সঙ্গে প্রোফাইলের তথ্য মিলছে না।'
নিখিল জৈনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল নাকি তিনি লিভ-ইন করেছিলেন ? ঠিক কোন সম্পর্কে ছিলেন নুসরত জাহান ? অভিনেতা যশ দাশগুপ্তই বা তার কে হন ? কয়েক মাস আগে রাজস্থানে কী করছিলেন তাঁরা ? নুসরতের গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তানের বাবাই বা কে ? আপাতত এসব প্রশ্নই 'ট্রেন্ডিং'। এই আবহে বিজেপি সাংসদের দাবি, ব্যক্তিগত জীবনে নুসরত কী করছেন, তা নিয়ে কেউ নাক গলাচ্ছে না। তবে বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে তার সাম্প্রতিক মন্তব্য ইঙ্গিত করছে যে, লোকসভায় তিনি ভুয়া তথ্য পেশ করেছিলেন। এটা অনৈতিক ও বেআইনি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
কাঞ্চন-পিঙ্কি বিতর্কে উদ্বিগ্ন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
উত্তরপাড়ার নব্য বিধায়ক, অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, অভিনেত্রী পিঙ্কি ব্যানার্জি, ও শ্রীময়ী চট্টরাজের ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কে মোড় ঘুরল রোববার। সমস্ত বিতর্ককে উপেক্ষা করে রবিবার সকালে কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ জানান স্ত্রী পিঙ্কি। অন্যদিকে পিঙ্কির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ চেতলা থানায় জানান কাঞ্চন মল্লিক। তাদের সম্পর্কে নানা সংবাদমাধ্যমে গুজব ছড়াতেই চিন্তায় ছিলেন কাঞ্চন মল্লিকের দিদিশাশুড়ি সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
কিংবদন্তি অভিনেত্রী জানান, রোববারের ঘটনার পর পিঙ্কিকে নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। অভিযোগ দায়ের করেই পিঙ্কি জানান, এই ঘটনা জানার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ঠাকুমা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতেই সংবাদমাধ্যমের কাছে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় জানান, ছোট থেকেই পিঙ্কি তার কাছে মানুষ হয়েছেন। তাকে খুব ভালো করেই চেনেন তিনি। বিয়ের পর অনেকবার নিউ আলিপুরের বাড়িতে কাঞ্চন এসেছেন। তার আচরণে কোনো ত্রুটি দেখতে পাননি তিনি। এমনকি ইন্ডাস্ট্রিতেও তাকে নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি। এই ঘটনা শুনে তিনি হতবাক হন। কিন্তু কিছু না করেই কাঞ্চন ভুল বুঝছেন তাদের সকলকে।
কাঞ্চনের ধারণা, সংবাদমাধ্যমের কাছে তার বিরুদ্ধে মিথ্যে রটনা ছড়িয়েছেন পিঙ্কি এবং তার পরিবার। পিঙ্কি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন শনিবার রাতে। তারপরেই পিঙ্কির খোঁজ করতে তার ফ্ল্যাটে শ্রীময়ী চট্টরাজকে নিয়ে পৌঁছান কাঞ্চন। তখনই জানান, পিঙ্কি নেই তাঁর বাড়িতে।
একইসঙ্গে কাঞ্চনকে পরামর্শ দেন, তিনি যেন ঠান্ডা মাথায় পিঙ্কির সমস্ত কথা শোনে। হঠকারিতায় কোনো কিছু করা বোকামির লক্ষণ! এই ঘটনার পরেই চেতলার কাছে পিঙ্কির উপর চড়াও হন শ্রীময়ী, কাঞ্চন। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় জানান, শ্রীময়ীর নাম মুখে নিতে চান না তিনি। কাঞ্চনের বান্ধবীই পিঙ্কির দিকে তেড়ে আসেন। তাদের ছেলের উপস্থিতিতে পিঙ্কিকে শ্রীময়ী অপমান করার পরেও চুপ ছিলেন কাঞ্চন! বিতর্ক নিয়ে আর মন্তব্য করতে নারাজ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন