প্রথম আরব নারী হিসেবে জাবুরের রেকর্ড
ওনস জাবুর - ছবি : সংগৃহীত
প্রথম আরব নারী হিসেবে ডব্লিউটিএ টাইটেল জিতলেন ওনস জাবুর। বার্মিংহামে এক মনোমুগ্ধকর দেড় ঘন্টাব্যাপী লড়াইয়ের পর রাশিয়ার দারিয়া কাসাতকিনাকে ৭-৫, ৬-৪-তে হারান এই তিউনিসীয় টেনিস তারকা।
দ্বিতীয় বাছাই জাবুরের জন্য এই জয় এক ধরনের প্রতিশোধও। যাকে হারিয়ে তিনি শিরোপা জিতলেন, সেই কাসাতকিনা এর আগে যে দুজন খেলোয়াড় তাকে ফাইনালে হারিয়েছেন তাদের একজন।
‘‘আমি জানতাম, আমাকে জিততেই হবে। আমাকে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়তে হবে, উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।” জাবুর বলেন।
‘‘টেনিসে খুব তিউনিসীয় বা আরব খেলোয়াড় নেই। আমার আশা আমি তাদের অনুপ্রাণিত করছি। আমি চাই আমার মতো আরো আরব ও তিউনিসীয় খেলোয়াড় টেনিসে আসুক”
বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ২৪তম জাবুর এই মৌসুমে দারুণ ফর্মে রয়েছেন। ম্যাচ জয়ের সংখ্যায় (২৮) বিশ্বের সাবেক ১ নম্বর অ্যাশলেই বার্টির সাথে একই র্যাংকিংয়ে অবস্থান করছেন তিনি।
কাসাতকিনা প্রথম সেটে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৫-৪-তে জিতলেও ২৬ বছর বয়সী এই তারকা ঠান্ডা মাথায় খেলে যান।
অবশ্য এরপরই র্যাংকিংয়ে ৩৫ কাসাতকিনাকে পরাস্ত করেন জাবুর এবং কোনো ভুল ছাড়াই সেট জিতে নেন।
কাসাতকিনা জাবুরকে তিন সেটের মধ্যে দু’বার পরাস্ত করেন।
তবে কাসাতকিনার প্রতিপক্ষ তাঁকে এরপর কোনঠাসা করবার কোন সুযোগ দেন নি। দ্বিতীয় সেটে ৪-০-তে জেতেন তিনি।
এই মৌসুমে দু’টি শিরোপাজয়ী কাসাতকিনা লড়াই চালিয়ে যান। ফিরে আসেন ৪-৩-তে। কিন্তু তিউনিসীয় তারকা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। রাশিয়ান কাসাতকিনা নেট পার করতে ব্যর্থ হলে নিজের প্রথম ম্যাচ পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে শিরোপা জিতে নেন তিনি।
২০১৮ সালে মস্কোতে কাসাতকিনার কাছে হারার দুঃখের কথাও বর্ণনা করেন জাবুর। তিনি জানান কাসাতকিনাকে তিনি অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন পরেরবার তার সাথে আরো সদয়ভাবে খেলতে।
গতবার মস্কোতে আমরা যখন খেলেছিলাম, ও (কাসাতকিনা) জিতেছিল আর আমি কেঁদেছিলাম। দারুণ ছিল ম্যাচটা।
আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি কি দয়া করে কয়েকটা শিরোপা আমার সাথে ভাগাভাগি করতে পারো না? অন্তত আমাকে আমার প্রথম ডব্লিউটিএ টাইটেল জিততে দেবে?
সূত্র : খালিজ টাইমস
টোকিও অলিম্পিকে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করতে চান গাজার ইনাস
২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকের ওপর দৃষ্টি রাখছেন সমগ্র বিশ্বের তরুণ অ্যাথলেটরা। তারা তাদের সময় ও শ্রম ব্যয় করছেন তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে। এ ব্যাপারটা ইনাস নোফেলের থেকে খুব কম মানুষই বুঝতে পারবেন।
১৫ বছর বয়সী এ দৌড়বিদ তার খেলার প্রতি খুবই আন্তরিক। খেলার প্রতি তার এ প্রবল আগ্রহ তাকে শুধু সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না, এটা অন্যদের জন্যও প্রেরণার।
এ তরুণ খেলোয়াড় বলেন, ‘দৌড়ানো আমার দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ। আমার লক্ষ্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনকে প্রতিনিধিত্ব করা।’
তিনি এ খেলার মাধ্যমে অনেক দূর যেতে চান। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার প্রতিভার বিকাশের জন্য আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, যাতে করে আমি আমার ভবিষ্যতের দৌড় প্রতিযোগিতার (অলিম্পিক দৌড়) জন্য যোগ্য হয়ে উঠি। আমি সম্ভবত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবো।’
ইনাস নোফেল তার প্রাকটিস শুরু করেন খুব সকালে। এ সময় তিনি গাজার কেন্দ্র স্থলে অবস্থিত মাগহাজি শরণার্থী ক্যাম্পের রাস্তাগুলোতে দৌড়াতে শুরু করেন। প্রাকটিসের অধিকাংশ সময় তিনি সাথী হিসেবে পান সামি আল নাটিলকে। সামি একজন সাবেক অ্যাথলেট, এখন তিনি তার সময় ব্যয় করছেন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ খেলোয়াড়দের শেখাতে এবং তাদের যোগ্যতা ফুটিয়ে তুলতে।
সামি আল নাটিল খুব দক্ষ দৌড়বিদ। তিনি বলেন, ‘আমি চাই গাজার প্রত্যেক মানুষ এ বিষয়টি উপলদ্ধি করুক যে দৌড়ানো স্বাস্থ্য ও মনের ভার হালকা করার জন্য খুবই কার্যকর। তিনি মূলত এ ব্যাপারটা বুঝাতে চাচ্ছেন যে দৌড়ানো শুধু একটি খেলা নয়, এটা জীবন যাপনের জন্য একটি আলাদা পথও বটে।
সামি আল নাটিলও গাজার তরুণী ইনাস নোফেলের প্রচেষ্টা ও সাহসিকতায় মুগ্ধ। দৌড়বিদের কোচ সামি আল নাটিল জোর দিয়ে বলেন, সম্ভবত গাজার প্রত্যেকটি মানুষ ইনাস নোফেলের উদাহরণ থেকে উপকৃত হবেন।
সূত্র : গাজা পোস্ট