উত্তরপ্রদেশে যোগীকে রুখতে মমতার সাহায্য কামনা!
যোগী ও মমতা - ছবি : সংগৃহীত
অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বিজেপিকে পরাস্ত করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূলের ফের ক্ষমতায় আসা এবং মমতা ব্যানার্জির তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ভারতের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ বার্তা পৌঁছে দিয়েছে এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এবার ২০২২-এ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রুখতে মমতা ম্যাজিকেই আস্থা রাখার কথা জানাচ্ছেন সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির প্রেসিডেন্ট ওম প্রকাশ রাজভড়।
রোববার তিনি জানান, বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তিশালী ফ্রন্ট গড়তে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরকে এক মঞ্চে চাইছে তার দল।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গেই জোট বেঁধ লড়াই করেছিল সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি। কিন্তু পরে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে তারা। সভাপতি ওম প্রকাশ রাজভড় বলেন, এখন বিজেপিকে রোখা সবচেয়ে বড় কাজ। সেই কারণে মেহবুবা মুফতি, কেজরিওয়াল, ওয়াইসি, উদ্ধব ঠাকরে এবং মমতা ব্যানার্জিকে একসঙ্গে চাইছি।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে উত্তরপ্রদেশের এই নেতা জানান যে আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন তিনি। তৃণমূলের এক সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গেও তার ফোনালাপ হয়েছে বলে জানান।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষেকে ব্যানার্জির ‘অভিষেক’ হওয়ার পরই ভিন রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সর্বভারতীয় স্তরে দলকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনাও নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। যদিও যে রাজ্যে তৃণমূল লড়াই করবে সেখানে জয়ের লক্ষ্যেই লড়াই করবে সেই বার্তাও দিয়েছেন অভিষেক।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন ভারতের জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ণায়ক ভূমিকাও পালন করে। বিজেপি-যোগী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিজেপিবিরোধী নেতার এই ডাকে সাড়া দিয়ে সে রাজ্যে লড়াই করতে অগ্রসর হবেন কি মমতা, এখন সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
কুম্ভমেলা ছিল করোনা ছড়ানোর সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিনেশ গুন্ডু রাও অভিযোগ করে বলেছেন, কুম্ভমেলা ছিল বিশ্বের করোনাভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় উত্তরাখণ্ড রাজ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছিল।
এ বছরের শুরুর দিকে করোনার তীব্র সংক্রমণের সময় তা নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দোষারোপ করেন।
গোয়া রাজ্যের রাজধানী পানাজিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দিনেশ গুন্ডু রাও আরো বলেন, যদিও ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক দেশ, তবু দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিবেশীর থেকে খারাপ।
ভারতের গোয়া রাজ্যে কংগ্রেসের প্রাদেশিক সদর দফতরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে দিনেশ গুন্ডু রাও বলেন, ‘কুম্ভমেলা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্র।’
ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের প্রতিবেদন মতে তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী মানুষ তাদের জীবন ও জীবিকা হারাচ্ছেন করোনা ভাইরাসের কারণে। কেন তারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন? কারণ কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তারা ভ্যাকসিন কেনারও চিন্তা করছেন না। তারা সাধারণ মানুষদের বলেননি যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলে এসেছে, চলুন সবাই সতর্ক হই।
এসব করার পরিবর্তে নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন। অথচ তিনি জানতেন যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলে এসেছে। ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে তিনিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি এমন দায়িত্বহীনের মতো আচরণ করেছেন। তিনি কোনো বিষয়ের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করছেন না। তিনি দেশের কোনো বিষয় নিয়েই মাথা ঘামান না। প্রধানমন্ত্রী নিজের আত্মপ্রশংসায় ব্যস্ত। কেন বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার করোনা পরিস্থিতি ভারতের মতো মারাত্মক নয়? তারা তো আমাদেরই প্রতিবেশী।’
সূত্র : মুসলিম মিরর