কুম্ভমেলা ছিল করোনা ছড়ানোর সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র
কুম্ভমেলা - ছবি সংগৃহীত
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিনেশ গুন্ডু রাও অভিযোগ করে বলেছেন, কুম্ভমেলা ছিল বিশ্বের করোনাভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় উত্তরাখণ্ড রাজ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছিল।
এ বছরের শুরুর দিকে করোনার তীব্র সংক্রমণের সময় তা নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দোষারোপ করেন।
গোয়া রাজ্যের রাজধানী পানাজিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দিনেশ গুন্ডু রাও আরো বলেন, যদিও ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক দেশ, তবু দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিবেশীর থেকে খারাপ।
ভারতের গোয়া রাজ্যে কংগ্রেসের প্রাদেশিক সদর দফতরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে দিনেশ গুন্ডু রাও বলেন, ‘কুম্ভমেলা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্র।’
ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের প্রতিবেদন মতে তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী মানুষ তাদের জীবন ও জীবিকা হারাচ্ছেন করোনা ভাইরাসের কারণে। কেন তারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন? কারণ কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তারা ভ্যাকসিন কেনারও চিন্তা করছেন না। তারা সাধারণ মানুষদের বলেননি যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলে এসেছে, চলুন সবাই সতর্ক হই।
এসব করার পরিবর্তে নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন। অথচ তিনি জানতেন যে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলে এসেছে। ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে তিনিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি এমন দায়িত্বহীনের মতো আচরণ করেছেন। তিনি কোনো বিষয়ের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করছেন না। তিনি দেশের কোনো বিষয় নিয়েই মাথা ঘামান না। প্রধানমন্ত্রী নিজের আত্মপ্রশংসায় ব্যস্ত। কেন বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার করোনা পরিস্থিতি ভারতের মতো মারাত্মক নয়? তারা তো আমাদেরই প্রতিবেশী।’
সূত্র : মুসলিম মিরর
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ২.৫৮ বিলিয়ন ভ্যাকসিন প্রদান
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের ২.৫৮ বিলিয়নের বেশি ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে বলে আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা তথ্য প্রকাশ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা এ ওয়েব সাইটটি শনিবার এ তথ্য দিয়েছে।
ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে চীন সমগ্র বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে আছে। চীন ৯৯০.২৬ মিলিয়নের বেশি ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। তারপরেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। দেশটি ৩১৬.৫০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন প্রদান করেছে।
ভারত তার জনগণের মধ্যে ২৭২.৩৮ মিলিয়ন ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে। ব্রাজিল প্রয়োগ করেছে ৮৫.৩৯ মিলিয়ন করোনা ভ্যাকসিন। যুক্তরাজ্য ৭৩.৩৬ মিলিয়ন ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। জার্মানি ৬৫.৭৪ মিলিয়ন ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে। ফ্রান্স ৪৬.৯৫ মিলিয়ন ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। ইতালি তার জনগণের মধ্যে ৪৫.২০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে।
তুরস্ক ভ্যাকসিন প্রদান করার ক্ষেত্রে নবম স্থান অর্জন করেছে। তারা ৪০.৬৮ মিলিয়ন ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে। তার পরেই আছে মেক্সিকো, স্পেন, ইন্দোনেশিয়া ও রাশিয়ার অবস্থান।
জনসংখ্যার অনুপাতে সবচেয়ে বেশি করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রতি এক শ’ জনের জন্য তারা ১৪৪.৫৭টি ভ্যাকসিন বরাদ্দ করেছে।
অধিকাংশ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দু’ডোজের হয়ে থাকে। তাই প্রত্যেক দেশের জন্য আলাদাভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের যে সংখ্যা দেয়া হয়েছে তা দিয়ে কোনো দেশের সকল মানুষের ওপর প্রয়োগ করা সম্ভব নয়।
২০১৯ সালে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে ১৯২টি দেশ ও অঞ্চলে ৩.৮৫ মিলিয়ন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আর বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমিত হয়েছে ১৭৭.৮৯ মিলিয়ন মানুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ব্রাজিল করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সূত্র : ইয়েনি সাফাক