করোনার সময় রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে পারে আমলকী
করোনার সময় রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে পারে আমলকী - ছবি : সংগৃহীত
কোভিডের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে ক্লান্ত পৃথিবী। যে লড়াই নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরও জারি থাকে বহু দিন।
করানো চিকিৎসার সময়ে এমন অনেক ওষুধ ব্যবহার করা হয় যা শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই সুস্থ হওয়ার সময় সেটা আগের মতো শক্তিশালী করে তোলা প্রয়োজন। আমলকীকে উপকারী বন্ধু বলা যেতে পারে। আর তা খাওয়াও যায় অনেক ভাবে। কাঁচা চিবিয়ে খান বা রস করে, উপকার পাবেন দুই পদ্ধতিতেই। তবে আমলকী সিদ্ধ করে খেলে এর ভিটামিন সি অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরীর মতে, ‘শরীরে ভিটামিন সি-র ঘাটতি মিটিয়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমলকীর জুড়ি নেই। পেয়ারা, কাগজিলেবু, কমলালেবু, আম, আপেলের চেয়েও বেশি ভিটামিন সি রয়েছে আমলকীতে। কিন্তু কাঁচা খেলেই তার গুণ সবচেয়ে বেশি। সিদ্ধ করলে সব গুণ চলে যাবে। সেটা খাওয়ার চেয়ে না খাওয়াই ভালো। সে ক্ষেত্রে লেবুর রসই খান।’
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে রোজ একটা করে আমলকী খেতে পারেন। আবার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর হওয়ায় শরীরের টক্সিন বার করে দিতেও সাহায্য করে এই ফলটি। আরো অনেক রোগের পথ্য হিসেবেও আমলকী খাওয়ার পরামর্শ দেন ডায়াটিশিয়ানরা।
একদম কাঁচা খেতে অসুবিধা হলে রোজ সকালে আমলকি কেটে সেই টুকরোগুলো গরম পানিতে ফেলে দিন। কয়েক কুচি আদাও দিতে পারেন। ভিটামিন সি’এ ভরপুর ডিটক্স ওয়াটর তৈরি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
শিশুর প্রস্রাবে ইনফেকশন
ডা: আহাদ আদনান
শিশুদের প্রস্রাবের রাস্তায় ঘন ঘন সংক্রমণ পরবর্তীতে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বৃদ্ধি ঠিকমতো না হওয়া, শরীর শুকিয়ে যাওয়া, খাদ্যে অরুচি থেকে শুরু করে প্রস্রাবের থলি বা কিডনিতে অসুখ ছড়িয়ে পড়তে পারে। অভিভাবককে সচেতন হওয়া উচিত, যাতে এসব সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
ষ নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
ষ সফট ড্রিংকস, বোতলজাত জুস (এগুলোতে ক্ষতিকর কৃত্রিম রঙ, প্রিজারভেটিভ থাকে), অতিরিক্ত লবণসমৃদ্ধ পানীয় এবং খাবার পরিহার করতে হবে।
ষ নিয়মিত স্বাভাবিক মলত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য পর্যাপ্ত পানি পান, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে, পরিমিত হাঁটাচলা, শারীরিক ব্যায়াম, খেলাধুলা করতে হবে, মলত্যাগের বেগ আটকে রাখা যাবে না।
ষ প্রস্রাব আটকিয়ে রাখা যাবে না। এ জন্য বিদ্যালয়ে প্রস্রাবের বেগ হলে যেতে হবে। (টয়লেটের পরিবেশ আরো ভালো হওয়ার জন্য শিক্ষকদের সাথে কথা বলুন) একটানা মনিটরের (টিভি, মোবাইল, গেমস) সামনে বসে থাকা যাবে না। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হবে।
ষ আঁটসাঁট অন্তর্বাস বা প্যান্ট পরা অনুচিত।
ষ নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করতে হবে।
ষ ঘনঘন ডায়রিয়া, অপুষ্টি রোগ থাকলে চিকিৎসা এবং পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে।
ষ ছেলে শিশুদের খৎনা করলে সংক্রমণ কম হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ষ মেয়ে শিশুদের শুচি করার সময় সামনে থেকে পিছনে টান দিয়ে মুছে দিতে হবে।
ষ অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক উপকারী জীবাণু মেরে ফেলে সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ষ শরীরের অন্য সমস্যার জন্য সংক্রমণ হচ্ছে কিনা দেখতে হবে। প্রস্রাবের রাস্তায় কোনো প্রতিবন্ধকতা (পর্দা, সরু নালী, মাংস বৃদ্ধি), পাথর, প্রস্রাব কিডনির দিকে পিছনে ফেরত যাওয়ার রোগ কিংবা দুর্বল থলি থাকলে আগে সেগুলোর চিকিৎসা করতে হবে।
লেখক : রেজিস্ট্রার, আইসিএমএইচ, মাতুয়াইল, ঢাকা