২০ বছর লড়াই চালিয়ে জয়ী হলেন বসনীয় মুসলিম নারী

অন্য এক দিগন্ত | Jun 10, 2021 07:35 am
২০ বছর লড়াই চালিয়ে জয়ী হলেন বসনীয় মুসলিম নারী

২০ বছর লড়াই চালিয়ে জয়ী হলেন বসনীয় মুসলিম নারী - ছবি : সংগৃহীত

 

বেআইনিভাবে সার্ব নেতাদের নির্দেশে এক বসনীয় মুসলিম মহিলার বাগানে নির্মাণ করা হয়েছিল একটি খ্রিস্টান অর্থডক্স চার্চ। ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরই নিজের জায়গার দখল হারিয়েছিলেন ৭৯ বছর বয়সী ফাতা অর্লোভিচ। এবার দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা আইনি লড়াই জিতে নিজের হারানো বাগানের জমি ফিরে পাচ্ছেন ফাতা। আদালতের নির্দেশে শনিবার বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সরকার সার্বদের হাতে তৈরি সেই চার্চটি ভেঙে দিয়েছে।

ফাতার আইনজীবী রুসমির কারকিন সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, শনিবার সকাল থেকেই চার্চটি ভেঙে ফেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে ইউরোপের মানবাধিকার আদালত এক ঘোষণার মাধ্যমে অবৈধ ও বেআইনি চার্চটিকে ভেঙে ফেলার আদেশ জারি করে। আদালত জানায়, আগামী তিন মাসের মধ্যেই এই আদেশের পালন করতে হবে বসনিয়ার সরকারকে।

যদিও বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা কর্তৃপক্ষ এই কাজ করতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময় নিয়ে ফেলে।

সেব্রেনিকার পার্শ্ববর্তী কোঞ্জেভিচ পোলজে এলাকায় স্বামী ও সাত সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন ফাতা অর্লোভিচ। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত চলা বসনিয়ার যুদ্ধে তিনি তাঁর স্বামী সাচিরসহ ২২ আত্মীয়কে হারান। এরপর উদ্বাস্তু হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করেছেন ফাতা, তবে নিজের বসতভূমিকে কখনই পরিত্যাগ করেননি।

আমেরিকায় বসবাসরত সন্তানরা বারবার তাকে ডেকে পাঠালেও দেশত্যাগ করেননি ফাতা অর্লোভিচ। বসনিয়ায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার কয়েক বছর পর ১৯৯৯ সালে ফাতা নিজের গ্রামে ফিরে দেখেন তার বাগানে একটি চার্চ নির্মিত হয়েছে। এরপরই তিনি আইনি পথে হেঁটে মামলা করেন। অনেকে তাকে অর্থের বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহারে রাজি করাতে চেয়েও পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২০১০ সালে ১১ বছর ব্যাপী চলা আইনি যুদ্ধে জিতে যান এই বসনীয় মুসলিম মহিলা। তবে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়িত হতে সময় লেগে গেল আরো ১১ বছর।

ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের রায়ের আগে বসনিয়ার বিজেলজিনা আদালত চার্চটিকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেও সেদেশেরই অপর অংশ রিপাবলিকা সার্পস্কার সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়কে নস্যাৎ করেছিল। তাই এতদিন ঝুলে ছিল মামলাটি। অবশেষে ইউরোপীয় আদালতের নির্দেশে বেআইনি চার্চটি ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বসনিয়া সরকার।

সূত্র : পুবের কলম

১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইল

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলের সেনাবাহিনী ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে বলে একটি স্থানীয় এনজিও জানিয়েছে। শনিবার এ বেসরকারি সংস্থাটি (এনজিও) এ তথ্য জানায়।

গ্রেফতারকৃত ১০ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ১৭ হাজার নারী ও কম বয়সী মেয়েও রয়েছেন। এছাড়াও আরো ৫০ হাজার শিশু ওই গ্রেফতারকৃত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ছিলেন। বিনা বিচারে বন্দী ও সাবেক বন্দীদের বিষয়ে গঠিত একটি কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই বেসরকারি সংস্থাটি (এনজিও) জানিয়েছে, ১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি বন্দী প্রশাসনিক আদেশে বন্দী হয়েছেন বলে রেকর্ড আছে।


ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক আদেশে বন্দী করার আইনে বিনা বিচারে দীর্ঘ দিন আটক রাখার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে একজন বন্দীকে কোনো ধরনের অভিযোগ বা বিচার ছাড়া দীর্ঘ দিন বন্দী রাখা যাবে।

এ বেসরকারি সংস্থাটির মতে, ১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ২২৬ ফিলিস্তিনি বন্দী ইসরাইলি কারাগারের অভ্যন্তরে মারা গেছেন।

এ বেসরকারি সংস্থাটি (এনজিও) আরো জানিয়েছে, ‘ইসরাইলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিরা দৈহিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হন। তাদের সাথে অনৈতিক আচরণ করা হয় এবং খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়।

কারাবন্দীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর সংগ্রহ করা তথ্য অনুসারে জানা যায়, ইসরাইলের কারাগারে ৪৫ হাজার বন্দী আছে বলে ধারণা করা হয়। বন্দীদের মধ্যে ৪১ নারীও আছেন। এছাড়া ১৪০ বন্দীকে সামান্য কারণে আর ৪৪০ জনকে প্রশাসনিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।

১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে ইসরাইল পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুসালেম, সিরিয়ার গোলান মালভূমি ও মিসরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করে। পরে ইসরাইলের সাথে ১৯৭৯ সালের শান্তিচুক্তির আওতায় মিসর সিনাই উপদ্বীপ ফিরে পায়।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us