ইনজেকশন বা রাসায়নিক উপাদান ছাড়া সম্পূর্ণ দেশী খাবারে গরু মোটাতাজা করছে তারা
হোসেনপুরের মোটাতাজা করার একটি খামার - ছবি : নয়া দিগন্ত
গরুর খাদ্যের জন্য দুই একর জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। নিজ খামারে গরুর খাদ্যের জোগান দিয়েও বাকি ঘাসগুলো বিক্রি করেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তার ভাগ্য বদল প্রসঙ্গে বলেন, এক বছরে তিন ব্যাচ গরু পালন করেন। প্রতি ব্যাচের জন্য সময় লাগে প্রায় তিন মাস। গড়ে প্রতি চালানে লাভ হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। চলতি ব্যাচে তার খামারে ছোট বড় ২০টি দেশী জাতের গরু রয়েছে। স্ত্রী ও বড় ছেলেকে নিয়ে খামারে কাজ করছেন। গরুর খাবার ও পরিচর্যা করার জন্য বাড়তি লোকের প্রয়োজন হচ্ছে না। তিন মাস আগে এই গরুগুলো দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে কিনেছেন। ২০টি গরুর জন্য মোট খরচ হয়েছে ১৫ লাখ টাকার মতো। বিভিন্ন এলাকার অনেকেই এখন তার খামার দেখতে আসছেন। খামার দেখে অনেক বেকার যুবক চাকরির আশা ছেড়ে গরুর খামারে আগ্রহী হচ্ছেন।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন খামারে দেশী ও বিদেশী জাতের পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। এসব খামারে মোটাতাজা করা গরু বিক্রি হয় দেশের বিভিন্ন হাটে। প্রতি বছর গরু মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে অনেক বেকার যুবক হয়ে উঠছেন স্বাবলম্বী। তাদের মধ্যে দেশী জাতের গরু পালন করে অল্পসময়ের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন হোসেনপুর পৌর এলাকার ঢেকিয়া গ্রামের নাসির উদ্দিন চুন্নু।
সরেজমিন গরুর খামারে নাসির উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কোনো প্রকার ইনজেকশন বা রাসায়নিক উপাদান ছাড়া সম্পূর্ণ দেশী খাবারে গরু মোটাতাজা করে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। প্রতি ব্যাচের জন্য সময় নেন তিন থেকে চার মাস। গরু পালন ছাড়াও তিনি নেপিয়ার ঘাস চাষ, মৎস্য চাষ ও কবুতর পালন করে এলাকায় অর্জন করেছেন বেশ সুনাম ও পরিচিতি। তিনি আরো জানান, ২০১৯ সালে নিজস্ব অর্থায়নে গরুর খামারের যাত্রা শুরু করেন তিনি। প্রথমে তিন লাখ টাকা খরচ করে মেঝে পাকা করে ৩০ হাত লম্বা একটি টিনশেড ঘর তৈরি করেন। ১০টি দেশী গরু দিয়ে শুরু করেন যাত্রা। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
গরুর খাদ্যের জন্য দুই একর জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। নিজ খামারে গরুর খাদ্যের জোগান দিয়েও বাকি ঘাসগুলো বিক্রি করেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তার ভাগ্য বদল প্রসঙ্গে বলেন, এক বছরে তিন ব্যাচ গরু পালন করেন। প্রতি ব্যাচের জন্য সময় লাগে প্রায় তিন মাস। গড়ে প্রতি চালানে লাভ হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। চলতি ব্যাচে তার খামারে ছোট বড় ২০টি দেশী জাতের গরু রয়েছে। স্ত্রী ও বড় ছেলেকে নিয়ে খামারে কাজ করছেন। গরুর খাবার ও পরিচর্যা করার জন্য বাড়তি লোকের প্রয়োজন হচ্ছে না। তিন মাস আগে এই গরুগুলো দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে কিনেছেন। ২০টি গরুর জন্য মোট খরচ হয়েছে ১৫ লাখ টাকার মতো। বিভিন্ন এলাকার অনেকেই এখন তার খামার দেখতে আসছেন। খামার দেখে অনেক বেকার যুবক চাকরির আশা ছেড়ে গরুর খামারে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আবদুল মান্নান বলেন, গরু মোটাতাজাকরণে চুন্নু এখন এলাকায় অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত। আমি সব সময় চুন্নুসহ গরু খামারিদের বিজ্ঞান সম্মত পরামর্শ দিচ্ছি। ফলে নাসিরুদ্দিন চুন্নুর মৃধা এগ্রো ফার্মকে অনুসরণ করে অনেকেই আজ দেশী গরু পালনে নিজেদের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।