শুভেন্দুকে ঠেকাতে লক্ষণকে নামাবেন মমতা!
শুভেন্দুকে ঠেকাতে লক্ষণকে নামাবেন মমতা! - ছবি : সংগৃহীত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ ঘটতে পারে। মমতা ব্যানার্জির দল থেকে বের হয়ে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী কেবল যে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাই নয়, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে অব্যাহতভাবে সমস্যায় ফেলে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে মমতার দল বিপুলভাবে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরে এলেও মমতা নিজে হেরে গেছেন শুভেন্দুর কাছে। ফলে শুভেন্দু এখন বেশ ভালো অবস্থানে আছেন। আর তার এই বাড় বাড়ন্ত ঠেকাতে নতুন কৌশল গ্রহণ করবেন মমতা? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন এখানে তুলে ধরা হলো
একসময়ের সিপিএমের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা। দল ক্ষমতা হারনোর পর বিজেপিতে যোগ। দুবছর বিজেপিতে কাটিয়ে কংগ্রেসে যোগদান। ২০১৯-এ তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী। তাঁর আবেদনে যদি তৃণমূল কংগ্রেস সাড়া দেয় তাহলে ফের পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক ময়দানে দেখা যাবে শুভেন্দু অধিকারী বমান লক্ষণ শেঠের লড়াই। শুধু সময়ের সঙ্গে বদল হবে জার্সির রঙের।
বিজেপি, কংগ্রেস হয়ে এবার তৃণমূলে যোগদান করতে চাইছেন লক্ষণ শেঠ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে লক্ষণ শেঠ বলেন, 'আমি তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। তবে তৃণমূলের কারও সঙ্গে এবিষয়ে কথা হয়নি। তাছাড়া তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে কোনও লিখিত আবেদন করিনি।' তবে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান না হলেও একমঞ্চে তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা গিয়েছে লক্ষণ শেঠকে।
কেন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে চান তার কারণও বলেছেন প্রাক্তন সিপিএম এমপি। তিনি বলেন, 'বর্তমান ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের পঠভূমিতে মমতা ব্যানার্জি যে কাজ করছেন তা সঠিক ও প্রাসঙ্গিক। সেই কারণে আমি তৃণমূলে যোগদান করতে ইচ্ছুক। এবার নেবেন কীনা নেতৃত্বের ব্য়াপার।' তার দাবি, তিনি এখনও কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্য।
একইসঙ্গে তিনি বিজেপির ওপর ক্ষোভ উগরে দেন। বাম ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। লক্ষণ শেঠের বক্তব্য, 'বিজেপি সর্বদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। একদলীয়, একনায়কতন্ত্রে তারা বিশ্বাসী। তারা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে বিশ্বাসী নয়। তারা হিন্দুত্ব বাদী রাষ্ট্রবাদী দল। আমি বিজেপিতে বছর দুই ছিলাম। বিজেপি সম্পর্কে অভিজ্ঞতাও হয়েছে।'
ইতিমধ্যে লক্ষণ শেঠ তিনটি দলে থেকে কাজ করেছেন। একসময় নন্দীগ্রাম বা মেদিনীপুরে লক্ষণ শেঠের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তখন ঘাসফুল শিবিরের নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, বাম শিবিরেরে নেতৃত্বে ছিলন লক্ষণ শেঠ। তিন দশক পর কী ফের সেই দৃশ্য দেখা যাবে? তৃণমূলে যোগ দিলে সেই সম্ভাবনাই বাস্তব রূপ পাবে।
অতীতে রেজ্জাক মোল্লার মতো সিপিএম নেতাকে তৃণমূল সাদরে দলে নিয়েছে, মন্ত্রী করেছে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ রযেছে লক্ষণ শেঠের। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজনীতিতে অচ্ছুত বলে কিছু হয় না। অনেকে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি তৈরি করার একটা বিষয় থাকে। এর বেশি কিছু নয়।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস