জাস্টিন ট্রুডো ও জেসিন্ডা আর্ডেন : অন্য আলোয়
ট্রুডো জাস্টিন ও জেসিন্ডা আর্ডেন - ছবি : সংগৃহীত
বেশির ভাগ মুসলিমরা খুব ভালোবাসেন এমন দু'জন বিশ্বনেতা হচ্ছেন- কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন। আমার মনে আছে, একবার আমার সিটিতে একজন খতিব খুৎবা দেয়ার সময় বলেছিলেন- জেসিন্ডা সকল মুসলিম নেতার চেয়ে ভালো!
এই হচ্ছে ওনাদের জন্য মুসলিমদের ভালোবাসা, প্রশংসা ও আনুগত্যের লেভেল। অথচ তারা বাস্তবে ক্রিমিনালের চেয়ে বেশি কিছু নয়। গণহত্যা ও আল-আকসাকে ধ্বংস করার চেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে এই দুই আশ্চর্যজনক নেতা কি ইসরাইলের এসব অপরাধমূলক কাজের জন্য দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা করেছেন?
এই প্রশ্নের জবাব হচ্ছে : না।
তাদের কাছ থেকে শুধুমাত্র ওইসব বস্তা পচা কথাই শুনেছি, যেগুলো জায়োনবাদীরাও বলে থাকেন। আসুন শোনা যাক, গাজায় ইসরাইলি হামলা সম্পর্কে এই দুই নেতা কী বলেছেন।
ট্রুডো : 'ইসরাইলের বিরুদ্ধে রকেট নিক্ষেপ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং ইসরাইলের নিজস্ব সুরক্ষা নিশ্চিত করার অধিকারকে কানাডা সমর্থন করে।'
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে আর্ডেনকে যখন সরাসরি ইসরাইলের বিষয়ে নিন্দা জানানোর ব্যাপারে বলা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন- 'আমরা হামাস থেকে নির্বিচারে রকেট নিক্ষেপ করা দেখেছি, আমরা উভয় পক্ষ থেকে নির্বিচারে রকেট নিক্ষেপের নিন্দা জানাই। এটি এমন একটি প্রতিক্রিয়া বলে মনে হচ্ছে, যা উভয় পক্ষই আত্মরক্ষার বাইরে গিয়ে করছে।'
তিনি 'নিন্দা' হিসেবে বলা বাক্যটিতেও 'ইসরাইল' শব্দটি বলতে পারেননি। আর্ডেনের মুখের প্রতিটি শব্দই 'উভয় পক্ষ'। তিনি বলেন, 'well beyond self defense'-এর ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিরা ও ইসরাইলিরা উভয়ই সমান।
ইসরাইলের দখলদারিত্ব ও গণহত্যা নীতিমালাটিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য ট্রুডো ও আর্ডেনের বলার মতো কিছুই নেই। আসলে এরা উভয়ই ইসলামের শত্রুদের ক্রয়কৃত মাল।
এখন কমেন্টবক্সে এদের ফ্যানবয়েজ ও গার্লসদের জন্য অপেক্ষা করুন :
'কিন্তু জাস্টিন তো ইফতার করতে এসেছিলেন!'
'কিন্তু জাস্টিন তো ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন!'
'কিন্তু জেসিন্ডা তো হিজাব পরেছিলেন!'
'কিন্তু জাস্টিন তো ডি-এস্কেল্যাট (reduce the intensity of a conflict) করার চেষ্টা করছেন!'
'কিন্তু জেসিন্ডা তো শান্তির আহ্বান জানাচ্ছেন!'
এই জাতীয় লোকেরা হচ্ছে নিষ্পাপ পরগাছার (sycophants) মতো, যারা আসলে জায়েনিস্ট প্রোপাগান্ডায় ব্রেইনওয়াশড।
যেসব মুসলমান এদের আদর্শকে মডেল মনে করেন এবং সম্মানের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করে, সেসব মুসলমান নিজেদের ঈমানকে বিপন্ন করছেন।
যদি কেউ এতে সন্দেহ করে, তাহলে তিন যেন কুরআনের সূরা আল-মায়িদাহ’র ৫১ নম্বর আয়াতটি (হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিষ্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।) পড়ে নিজের স্মৃতিকে সতেজ করে তোলেন।
মূল : Daniel Haqiqatjou
অনুবাদ : মোঃ সাগর