ফিলিস্তিন নিয়ে যা বলেছেন বেনেট
বেনেট - ছবি : সংগৃহীত
ইসরাইলে নাফতালি বেনেট ও ইয়াইর লাপিড আটটি দলের সমন্বয়ে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই জোট সংসদে আস্থা ভোটে টিকে গেলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সামনে সরে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না। আর প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন নাফতালি বেনেট।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বিদায় করার জন্য নাফতালি বেনেট ও ইয়াইর লাপিডের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চার বছর মেয়াদি ক্ষমতার মেয়াদের অর্ধেক সময় (দুই বছর) এ পদে থাকবেন প্রথমে নাফতালি বেনেট। বাকি অর্ধেক সময় (দুই বছর) প্রধানমন্ত্রী হবেন ইয়াইর লাপিড।
বিভিন্ন কারণে ওদের রাজনীতি সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে একটি কারণ হলো ফিলিস্তিন ইস্যু। তাই ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের মনোভাবটাও আমাদের জানা উচিত।
আজকে দ্যা গার্ডিয়ানের মতো পত্রিকায় তাকে নিয়ে লেখা একটি আর্টিকেলের প্রথম লাইনগুলো ছিল- 'নাফতালি বেনেট ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সঙ্কট সমাধানে বিশ্বাস করে না। বরং তার উদ্দেশ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের উপর চিরস্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা।'
ফিলিস্তিন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে এই লোক কিছু মন্তব্য করেন। যেমন :
২০১৩ সালে বলেছিলেন- 'পশ্চিম তীরে দখলদারিত্বের কিছুই নেই, কারণ এটা আমাদেরই ভূমি, এখানে ফিলিস্তিন নামে কখনোই কিছু ছিল না। তাই আমরা আমাদের ভূমির নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনিদের) দমন করছি।'
ঠিক একই সময়ে আরো বলেন, 'সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনিদের) হত্যা করা উচিত, মুক্তি দেয়া উচিত নয়।'
২০১৮ সালে ফিলিস্তিনিরা যখন গাজা সীমান্তে সমাবেশ করছিল, তখন বলেছিলেন, "ইসরাইলি সৈন্যদের উচিত 'গুলি করে হত্যা' করা পলিসি মেনে চলা এবং এই পলিসি থেকে যেন কম বয়সী মেয়েরাও রক্ষা না পায়।"
ঠিক ও্ সময় তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো, ইসরাইলি সৈন্যরাতো শিশুদেরকে টার্গেট করেও গুলি করছে, এই ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? তার জবাব ছিল, 'তারা শিশু নয়, তারা হচ্ছে সন্ত্রাসী।'
২০১২ সালে এই নাফতালি বেনেটের সাতটি পয়েন্ট নিয়ে একটি প্ল্যান ছিল (কেউ পড়তে চাইলে লিঙ্ক সংগ্রহ করতে পারেন)। টু সাম আপ সামারাইজ করলে যেটা বোঝা যায়, সেটা হচ্ছে- এই নাফতালি বেনেট বিশ্বাস করেন যে সিনাই থেকে গোলান মালভূমি পর্যন্ত সমগ্র ভূমিটি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা শুধুমাত্র ইহুদিদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই ভূমিতে ইহুদি ছাড়া অন্য কোনো জাতি থাকার কোনো অধিকার নেই।
মনে রাখতে হবে, কট্টর ডানপন্থী নাফতালি বেনেট একসময় বেনিয়ামিনের মিত্র ছিলেন। তার মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন।