বেলুচিস্তান নিয়ে যে সমস্যায় পড়েছে পাকিস্তান

মো: বজলুর রশীদ | Jun 03, 2021 04:19 pm
ইমরান খান

ইমরান খান - ছবি সংগৃহীত

 

বেলুচিস্তানের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কোয়েটা শহরে বিলাসবহুল সেরিনা হোটেলে অতি সম্প্রতি আক্রমণ করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। রয়টার্স জানায়, গাড়িভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে পাঁচতারকার এই হোটেলে হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তান মনে করে কোয়েটা সফররত চীনের রাষ্ট্রদূত ছিলেন লক্ষ্য বস্তু। বিস্ফোরণের সময় রাষ্ট্রদূত সেখানে ছিলেন না। হামলার ধরন দেখে মনে হয়েছে বেশ কাঁচা হাতের আক্রমণ।

আক্রমণে পার্কিং এলাকায় চারজন মারা যান এবং অনেকে আহত হন। অনেক বছর ধরে এখানে সুযোগ বুঝে চীনা ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের ওপর আক্রমণ হয়। আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান। গত ৩১ মে ২০২১ গভীর রাতে কোয়েটায় সেনাবাহিনীর ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণ হলে চার সেনা নিহত এবং আটজন মারাত্মক আহত হন। লস্কর-ই-তালিবান কোয়েটায় এই হামলা চালায় বলে কিছু অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়। সেনাবাহিনীতে যেমন বালুচ রেজিমেন্ট রয়েছে তেমনি অনেক বালুচ তালেবানও রয়েছেন। পাকিস্তানি তালেবানদের মধ্যে অনেক উপদল রয়েছে যারা বিছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিদেশী কিছু সংস্থা থেকে সহায়তা পেয়ে থাকে। এদের মাঝে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা রীতিনীতি তেমন পরিলক্ষিত হয় না। পাকিস্তানিরা এদের বলে, ‘না ঘর কা না ঘাট কা।’

বিস্তীর্ণ রুক্ষ পবর্তমালায় পরিপূর্ণ পাকিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত পাকিস্তানের সবচে বড় বেলুচিস্তান প্রদেশ। বালুচ নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীরা গত ৭০ বছর ধরে সেখানে বিদ্রোহ ও জ্বালাও পোড়াও চালিয়ে আসছে। বালুচরা যেন কোনো যুদ্ধের ময়দানে কালাতিপাত করছে। পাকিস্তানবিরোধী বিভিন্ন মিডিয়া এটিকে ‘পাকিস্তানের গলিজ যুদ্ধ’ বলে থাকেন। বেলুচিস্তান পাকিস্তানের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ। সেখানে বেশ কিছু সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী ও চরমপন্থী গোষ্ঠী সক্রিয়। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বেলুচিস্তানকে পাকিস্তান থেকে আলাদা করতে চায় এবং এ অঞ্চলে চীনের অবকাঠামোর তৈরির বিরোধিতা করে। তারা মনে করে, পাকিস্তানের সরকার ও চীন একত্র হয়ে বেলুচিস্তানের গ্যাস ও খনিজসম্পদ স্থানীয় জনগণের কাজে না লাগিয়ে অন্যত্র কাজে লাগাচ্ছে। এ ধারণাটি জনগণের মনে গেঁথে দেয়ার জন্য অনেক বিদেশী এনজিও নিবিড়ভাবে কাজ করছে।

সাম্প্রতিক আক্রমণের আগে বালুচ লিবারেশন আর্মি করাচিতে স্টক এক্সচেঞ্জ বিল্ডিংয়ে আক্রমণ চালায়। তাতে কয়েকজন সিকিউরিটি গার্ড হতাহত হন। বেলুচ আর্মি এই আক্রমণের দায় স্বীকার করে। সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ বেলুচ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করেন।

বেলুচরা মনে করে, পাকিস্তান তাদের সম্পদ বেলুচিস্তানের উন্নয়নে ব্যয় না করে অন্য প্রদেশে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য তারা মূলত পাঞ্জাবিদের বেশি দায়ী করে। এক্ষেত্রে তারা পূর্ব-পাকিস্তানের উদাহরণও দিয়ে থাকে। বেলুচ আর্মির দাবি, অবস্থার পরিবর্তন না হলে বালুচরা স্বাধীন বেলুচিস্তানের জন্য কঠিন সংগ্রাম শুরু করবে। পাকিস্তান সরকার মনে করে বাইরের কিছু শক্তি পাকিস্তানকে দুর্বল করার জন্য বেলুচদের উসকে দিচ্ছে।

রুক্ষ পবর্তমালা, আবহাওয়া ও যোগাযোগের অব্যবস্থার কারণে এবং পানির অভাবে বেলুচিস্তানের জনসংখ্যার চাপ কম। দক্ষিণের এলাকাকে মাকরান বলা হয়। পাবর্ত্য বোলান পাস দিয়ে বেলুচিস্তানের সাথে আফগানিস্তানের কান্দাহারে যাওয়ার প্রাকৃতিক রাস্তা রয়েছে। মুম্বাইতে প্রায় ৩০০ বালুচ পরিবার রয়েছে, সব মিলিয়ে ১৮০০ জন হতে পারে। ভারতে ভাগনারী নামে হিন্দু বালুচ রয়েছে যারা ভারতে বসবাস করে। দেশ ভাগের সময় তারা দক্ষিণ বেলুচিস্তান থেকে ভারতে যায়। বালুচরা হানাফি মজহাবের সুন্নি মুসলিম। এদের মধ্যে ২০ শতাংশের মতো শিয়া মুসলমানও রয়েছে। এদের উৎপত্তি ইরানে। বেলুচরা দুটি দলে বিভক্ত মাকরানি ও শারহাদি। বেলুচিস্তান ও বেলুচ জনগোষ্ঠী পাকিস্তান, ইরান ও আফগানিস্তানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ দেওবন্দ, ৩৩ শতাংশ ব্রেলভী ও ১.২ শতাংশ আহলে হাদিস।

পাকিস্তান মাসকট ও ওমান সুলতানাত থেকে গোয়াধর ছিটমহল ৩ মিলিয়ন ডলারে কিনে নিয়েছিল। ১৯৫৮ সালে এটি বিধিগতভাবে পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত হয়। সম্মানিত আগা খান-৩ এই অর্থ পরিশোধ করেন এবং ভূমিটি পাকিস্তানকে উপহার দিলে সেটি গত ডিসেম্বরে, ৮ ডিসেম্বর ২০২০ বেলুচিস্তান প্রদেশের সাথে সংযুক্ত হয়।

ইমরান খান সরকার যখন পাকিস্তান-ভারত শান্তি আলোচনার পূর্বশর্ত হিসাবে কাশ্মির সমস্যা সুরাহার কথা বলেছেন তখন মোদি সরকার বেলুচিস্তানসহ আরো পাকিস্তানি এলাকা নিয়েও কথা উঠিয়েছেন। বলা হচ্ছে, ‘খান অব কালাত’ পাকিস্তানের অংশ। ‘খান অব কালাত’ পাকিস্তানে সংযুক্ত করার সাথে কাশ্মিরের সম্পর্ক নেই এবং কালাত কাশ্মিরের মতো কোনো আন্তর্জাতিক ইস্যু নয়। এই স্থানের জন্য ভারত কখনো দাবিদার হয়নি এবং ভারতের সুবিধাজনক স্থানেও অবস্থিত নয়। যখন সুযোগ ও সময় ছিল তখন গোয়াধরের ব্যাপারে ভারত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ওমানের কাছ থেকে পাকিস্তান যখন ওই বন্দর এলাকা কেনে সে সময় ভারত যদি সেটি কিনে নিত তাহলে ভারতকে এখন সিইপিসি, বাণিজ্য, চীনের প্রভাব নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হতো না। আলোচনায় এসব কথা তোলা বেলুচিস্তানে সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা বলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী টেলিভিশন বক্তৃতায় মন্তব্য করেন। বিশ্লেষকরা অভিযোগ করছেন যে, জম্মু-কাশ্মির বিষয় নিয়ে একটা ভজঘট পাকানোর জন্য মোদি সরকার বেলুচিস্তানকে সামনে ঠেলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভারত কাশ্মিরের পাশাপাশি গিলগিট-বাল্টিস্তান নিয়েও আলোচনা করাতে চায়। তাছাড়া তার প্রশাসন আইএসআই ও পাকিস্তানি জেনারেলদের বিষয়েও নানা প্রশ্ন তুলেছেন। পাকিস্তানি সেনা দফতর বলেছে, ‘মোদির বাগড়া’ কোনো কাজে আসেনি, ভারতীয় কমান্ডাররা সিচুয়ানে মৃত সৈনিকদের কফিনের কাপড় কালোবাজারে বিক্রির বিষয়টি যেন ভুলে না যায়।

পাকিস্তান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর প্রকল্পের বিভিন্ন কম্পোনেন্টে কাজ শুর করেছে। এই মেগা প্রকল্পে আরো ৫০ বিলিয়ন পাম্প করা হচ্ছে। ইমরান খান বলেছেন, পর্যটন ও সিইপিসিতে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভাগ্য জড়িত। সিপিই করিডোর ভালোই কাজ করছে, তাই আরো ৫০ বিলিয়ন ডলার এখানে খরচ করা হচ্ছে। তবে এর উন্নয়নের শেয়ার বালুচরা যেন সঠিকভাবে পায় তা নিয়ে যেন আবার রাজনীতির মাঠ গরম করা না হয়। বেলুচিস্তানে অর্থনৈতিক ‘লাইফলাইনের’ প্রয়োজন রয়েছে। ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। ১.৮ মিলিয়ন শিশু স্কুলে যায় না। সরকার এক কক্ষবিশিষ্ট ৫০০০ হাজার স্কুল বানিয়েছে শিশুদের আপাতত স্কুলমুখী করার জন্য। পাকিস্তানে মায়ের মৃত্যু প্রতি লাখে ২৭৮ অথচ বেলুচিস্তানে ৭৮৫ জন! বেলুচিস্তানের ১৫ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস বি ও সি রোগে আক্রান্ত। সুপেয় পানির সমস্যা তো রয়েছেই।

সিপিইসি পাকিস্তানের গেম চেঞ্জার হলেও বেলুচিস্তান ঠিকমতো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না, যদিও এখানের সুই ভ্যালিতে ন্যাচারাল গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে তথাপি খোদ বেলুচিস্তানেই গ্যাস পাওয়া যায় না। বালুচ রাজনীতিকরা বলছেন, তাদের ‘ফেয়ার শেয়ার’ চাই। সিপিই করিডোরেও সঠিক ভাগ দরকার, নতুবা বালুচরা আবার অস্ত্র নিয়ে স্বাধিকারের আন্দোলন করবে।

বেলুচিস্তান অনেকবার ধসে পড়ার অবস্থায় চলে যায়, ২০০৩ সালে আত্মঘাতী হামলায় ৮১৭ জন মৃত্যু ও ১৬০০ আহত হয়। ২০০৯ সালে সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘাতে ৭৬০ জন নিহত হয়। বেলুচিস্তানের ‘ভায়োলেন্স’কে শুধু সন্ত্রাসী কর্মকা- বলে প্রচার করা ঠিক হবে না, বিদ্রোহীরা বেলুচিস্তানের মাটির মানুষ; তারা সাংবিধানিক অধিকার চায়, কল্যাণকর রাষ্ট্র চায়। তিনটি দল এখানে কাজ করে, বেলুচ লিবারেশন আর্মি, বেলুচ রিপাবলিকান আর্মি ও বেলুচ লিবারেশন ফ্রন্ট। বালুচ সমস্যায় পাকিস্তান সরকার বালুচ রিপাবলিক আর্মির ব্রাহামদাগ বাগতিকে বেলুচদের প্রতিনিধি মনে করে। বাগতি অনেকটা ভারত ঘেঁষা নেতা। পাকিস্তান দুটি দিকে দৃষ্টিভঙ্গির পরবর্তন করতে পারে, জামাত আল আহরার, লস্কর ই জংভি, জান্দুল্লাহ মতো জঙ্গি দল থেকে সাবধান থাকা; পরবর্তীটি বালুচদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ সম্পূর্ণ পরিহার করা। সব আচরণে স্বচ্ছতা আনা। জনগণ যেন সব কাজের প্রকৃত কারণ জানতে পারে।

পাকিস্তানের লাহোরে ‘অরেঞ্জ লাইন মেট্রোট্রেন’ চালু করেছে, খরচ পড়েছে ১.৬ বিলিয়ন ডলার। এটি পাকিস্তানের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত মেট্রোট্রেন সার্ভিস এবং চীন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের সম্ভাবনাময় প্রকল্প। অরেঞ্জ লাইনে প্রতিদিন আড়াই লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারছে। নরিনকো ও চায়না রেলওয়ে এ প্রকল্প সমাধা করে। বালুচ সমালোচকরা বলছেন, পাকিস্তান গোয়াধর বন্দরের কারণেই চীনের সাথে এই প্রকল্প পেয়েছে। অথচ মূল প্রদেশের উন্নয়ন না করে লাহোর ও পাঞ্জাবের লোকেরা সুবিধা ভোগ করছে। কেন এই বৈরী আচরণ? অনেকেই বলছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, রাজনীতি ও নেতৃত্বে পাঞ্জাবের লোকজন থাকায় সুবিধা থেকে বালুচরা বঞ্চিত হচ্ছে। দু’বছর পেরিয়ে গেলেও আজো কোয়েটা মাস ট্রানজিট প্রকল্প চালু করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে, অথচ সিইপিসিতে কোয়োটা মাস ট্রানজিট প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বেলুচিস্তানের মন্ত্রিসভা তথ্য সরবরাহ ও তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারের আইন পাস করেছে। মাঝে মাঝে অশান্ত হয়ে ওঠা বেলুচিস্তানের জন্য এমন একটি আইনের প্রয়োজনীয়তা সিভিল সোসাইটি অনুভব করছিলেন।

একদিকে আফগানিস্তান অপর দিকে ইরান সীমান্ত থাকায় বেলুচিদের কিছু লোক সীমান্তে মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। আফগানিস্তান পপি উৎপাদনের জন্য খ্যাত। মাদক চোরাচালানের জন্য পার্বত্য দুর্গম ও কম বসতির বেলুচিস্তান এক ধরনের স্বর্গরাজ্যের মতো। তাছাড়া এখানে বিদেশীদের অবাধ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পাকিস্তানের মোট ভূমির ৪৪ শতাংশ বেলুচ ভূমি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ বিশ্বে জনসমর্থন পায়নি। প্রথমত পাকিস্তানের এই অংশে বিদ্রোহকে বিছিন্নতাবাদী ও দেশবিরোধী আন্দোলন হিসেবে দেখা হয়। তালেবান ও আল কায়দা সমস্যা বেলুচ বিদ্রোহ থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ মর্মে বিশ্ববাসী মনে করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, কিছু জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করে উত্তপ্ত অবস্থা দূর করা যায়। যেমন, উত্তরের অংশের চেয়ে বেলুচিস্তানের দক্ষিণের অংশে লেখাপড়া নেই বললেই হয়, তাই সরকার লেখাপড়ায় আগ্রহী করতে পদক্ষেপ নিতে পারে। কেননা প্রশিক্ষিত জনগণকে সর্বরোগের ওষুধ মনে করা হয়।

দ্বিতীয়ত ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পে যেন বালুচ জনগণকে নিয়োগের সুযোগ উন্মোচিত করা হয়। এটি করা গেলে পাইপলাইনের নিরাপত্তা ও বেকারত্ব কমানো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর সমাধান হবে।

তৃতীয়ত, গোয়াধর বন্দর ও অন্যান্য মেগা প্রকল্পে কর্মরত দক্ষ জনশক্তির সাথে বেলুচদের ইন্টারনিশিপ সুযোগ করে পরবর্তীতে নিয়োগের ব্যবস্থা করা।

চতুর্থত, বেলুচিস্তানে চলমান উপজাতি নেতৃত্ব ও সরদারি প্রথা ভেঙে দেয়া। এটি করার জন্য জোর খাটানোর চেয়ে প্রশিক্ষিত জনগণ দরকার, হয়তো এ জন্য অনেক সময়ের দরকার। এতে মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও বেকারত্ব দূরীকরণও সহজ হবে। সরদারি প্রথায় অধীনস্থরা অনেকটা দাসপ্রথার মতো জীবনযাপন করে। পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় নেতৃবর্গকে অতীত থেকে শিক্ষাগ্রহণ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us