৩ বছরে তৃতীয় জাহাজ হারিয়ে বিপাকে ইরান
৩ বছরে তৃতীয় জাহাজ হারিয়ে বিপাকে ইরান - ছবি : সংগৃহীত
মাত্র তিন বছরের মধ্যে ইরান তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ হারাল। বুধবার ইরানি নৌবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জাহাজ 'খার্গ' হারায়। জাহাজটি হরমুজ প্রণালীর কাছে রহস্যজনকভাবে ডুবে গেছে। এটাকে ইরানি নৌবাহিনীর সর্বসাম্প্রতিক নৌ বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২০ সালে জাস্ক বন্দরে কাছে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইরানি নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ জাহাজ ডুবে যায়। এই ঘটনায় ১৯ নাবিক নিহত ও ১৫ জন আহত হয়।
এর আগে ২০১৮ সালে কাস্পিয়ান সাগরে ইরানি নৌবাহিনী একটি রণতরী হারায়।
ডুবে গেল ইরানি নৌবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রণতরী
ইরানের নৌবাহিনীর একটি জাহাজে আগুন লেগে তা সাগরে ডুবে গেছে। 'জাস্ক' নামের জাহাজটি নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক জাহাজ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। এটি ছিল ইরানি নৌবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জাহাজ। তবে কিভাবে তাতে আগুন লেগেছে, তা স্পষ্ট নয়। ডুবে যাওয়ার সময় এটি হরমুজ প্রণালীর কাছে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন ছিল।
মঙ্গলবার হরমুজ প্রণালীর কাছে ওমান উপসাগরে জাহাজটিতে আগুন লাগে। এরপর প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়েও জাহাজটিকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে জাহাজের ৪০০ জন ক্রু ও প্রশিক্ষণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪০ জন সামান্য আহত হয়েছেন।
ইরানের নৌবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, জাহাজের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে তা ক্রমেই পুরো জাহাজে ছড়িয়ে পড়ে। এটি এই অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাহাজ হিসেবে পরিচিত ছিল। ইরানের সর্ববৃহৎ জাহাজ মাকরানের পরেই ছিল এর অবস্থান।
পারস্য উপসাগরে ইরানের দ্বীপ জাস্কের নামে এটির নামকরণ করা হয়েছিল।
ইরানের এই জাহাজটি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক জাহাজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। জাহাজটি নির্মিত হয়েছিল ব্রিটেনে। এটি ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের সামান্য আগে চালু হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে এটি ইরানি নৌবাহিনীতে যোগ দেয়।
ঘটনার তদন্ত চলছে এবং খুব শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে ইরানের নৌবাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
প্রতিরক্ষা শিল্পের তরুণ বিজ্ঞানীরা চোখ ধাঁধানো সাফল্য অর্জন করেছে
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি বলেছেন, প্রতিরক্ষা শিল্পের তরুণ বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা চোখ ধাঁধানো সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি আজ (বুধবার) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্বালানী খাতের দু'টি প্রকল্প উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন।
জেনারেল বাকেরি আরও বলেছেন, ইরানি বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে জটিল ও কঠিন প্রযুক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম ও জিহাদ প্রসঙ্গে বলেন, সত্য ও মিথ্যার লড়াই ইতিহাসের সব পর্যায়েই ছিল এবং এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই লড়াইয়ের ধরণে কেবল পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এটা সব সময়ই ছিল।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা আগে পাথর ছুড়ে প্রতিবাদ জানাত এখন তারা গুলি ও রকেটের মাধ্যমে দখলদারদের জবাব দিচ্ছে। তারা এখন সামরিক পন্থায় প্রযুক্তির সাহায্যে লড়াই করছে।
এ সময় তিনি সবাইকে সুযোগ কাজে লাগানোর এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
সূত্র : আল জাজিরা, পার্স টুডে ও অন্যান্য