শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন?

ড. আবদুল লতিফ মাসুম | Jun 02, 2021 04:17 pm
শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনি

শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনি - ছবি সংগৃহীত

 

শিক্ষাই নাকি জাতির মেরুদণ্ড; পুরনোকালে কোন পণ্ডিতরা কেন এ কথা বলেছিলেন তা জানতে চাওয়াও বিপজ্জনক হতে পারে। নতুন পণ্ডিতেরা জ্ঞানদান করছেন। তারা জয়গান গাইতে গাইতে এমন অবস্থায় এসেছেনÑ হয়তো এখন ছবক শুনতে পাবো শিক্ষাই যত গণ্ডগলের মূল। লজ্জাশরমের বালাই রেখে তারা হয়তো মুখ ফুটে বেফাস কথাটা বলছেন না বটে; কিন্তু তাদের কার্যক্রম শিক্ষার বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে। শিক্ষাবিদ আসিফ নজরুল ইতোমধ্যে আসল কথাটা ফাঁস করেছেন। তিনি বলেছেন, শিক্ষা নয়- ক্ষমতাই যে জাতির মেরুদণ্ড-ক্ষমতাসীন সরকার তা প্রমাণ করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা এতটাই লঙ্কাকাণ্ড করেছেন যে, শিক্ষাব্যবস্থা সর্বনাশের প্রান্তসীমায় উপনীত হয়েছে। সামগ্রিকভাবে দেশ পরিচালনায় দুর্মতির পাশাপাশি শিক্ষা পরিচালনায় বর্তমান সময় তাদের তুঘলকি কারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চামচিকার বাসা আর অন্ধকার গোডাউনে পরিণত করেছে। আলোর ভুবন আচ্ছাদিত অন্ধকারে।

দেশে ২০২০ সালের প্রথম দিকে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে তখন কোনোরকম দূরবর্তী ও দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা না করে হুট করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়াটা অন্যায় ছিল না। তবে যা অন্যায় ছিল তা হচ্ছেÑ বন্ধ করার সাথে সাথে খুলে দেয়ার চিন্তার অনুপস্থিতি। অস্বাভাবিক অবস্থাকে অস্বাভাবিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। ব্যবস্থাপনা কর্র্তৃপক্ষ তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠান হোক- তাদের দায়িত্ব স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করা। বিশ^ব্যাপী মহামারী মোকাবেলায় যে দূরদৃষ্টি, কার্যক্রম ও পরিকল্পনা আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিলক্ষিত হওয়ার কথা আমাদের রাষ্ট্র নেতৃত্বে তা অনুপস্থিত ছিল। যখন কর্তাব্যক্তিরা অতিক্রান্ত সময়ের সাথে এই বার্তাও পেলেন যে, করোনা ছাড়বে না এত সহজে, তখন তারা শিক্ষাসহ জাতিকে কিভাবে চলমান রাখা যায়; সে চিন্তা করতে পারতেন। তারা চিন্তা করেননি এমন নয়। তবে সে চিন্তা অর্থ ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক। উদাহরণ হিসেবে গার্মেন্ট খাতের কথা বলা যায়। প্রথম ও দ্বিতীয় লকডাউন পর্যায়ের কথা মনে করা যেতে পারে। শেষের লকডাউনে তো তৈরি পোশাককর্মীদের ঈদ করতেও দেয়া হয়নি।

সরকারের কাছে ধনিক-বণিক শ্রেণীর স্বার্থ বড় মনে হয়েছে। অবশ্য লুটপাট এবং চোটপাটে তাদের ‘সুনাম’ অনেক পুরোনো। তারা সেদিকেই নজর দিয়েছেন। লেখাপড়ার বিষয়টি যেহেতু ক্ষমতা এবং অর্থ আহরণ দুটিরই কোনো অনুষঙ্গ নয় সেহেতু তারা লেখাপড়াকে অবজ্ঞাই করে গেছেন। দীর্ঘ এ সময়ে নানা অজুহাত ও তালবাহানা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। করোনা নিয়েই কিভাবে শিক্ষাকে অব্যাহত রাখা যায় তার প্রমাণ রয়েছে সারা পৃথিবীতে। সরকার কেন বুঝবে না এ দীর্ঘ সময়ে অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখা যায় না। বিস্ময়ের ব্যাপার, যে সব বুদ্ধিজীবী শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করছেন; তারা সরকারকে যথাযথ পরামর্শ দিতে ব্যর্থ হলেন। অবশ্য, আজকাল দেশে এই কালচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, আদেশ-নিষেধ সবকিছুর উৎস একক। প্রশংসা ও প্রশস্তি ব্যতীত এদের আর কোনো কাজ নেই। সরকারের সিদ্ধান্ত ভালো বা মন্দ হোক তার সাফাই গাওয়াই প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কাজ। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন করোনাকালেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। আবার বন্ধও হয়েছে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে যে ‘সিসিম’ বন্ধ হয়েছে তা আর ফাঁক হয়নি।

করোনার ১৫ মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বহু নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। দীর্ঘ দিবস- দীর্ঘ রজনী ব্যয় হয়েছে গবেষণায়। ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞরা আবশেষে ‘বিশেষ-অজ্ঞ’ তার পরিচয় দিয়েছেন। প্রাথমিক থেকে বিশ^বিদ্যালয় পর্যন্ত বন্ধ থেকেছে। অথচ কারো কোনো নড়াচরা লক্ষ করা যায়নি। মাঝখানে অনলাইন ক্লাস বা দূরশিক্ষণের মহড়া হয়েছে। এদের আক্কেল জ্ঞানের প্রশংসা করতে হয়। যে দেশে বেশির ভাগ মানুষ এখনো প্রযুক্তি ক্রয় ও ব্যবহারের সক্ষমতা রাখেন না; তাদের অনলাইন ক্লাস করতে বলা অবাস্তব সিদ্ধান্ত নয় কি? আসলে এটি হচ্ছে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেয়ার ব্যবস্থা। এই সেদিন প্রাথমিক শিশুকেও অনলাইন ক্লাসের আওতায় আনার কথা চিন্তা করা হয়েছে। যারা এসব করেন ও বলেন, তারা কি আকাশে অথবা বাতাসে অবস্থান করেন! নিশ্চয়ই মাটি ও মানুষ তাদের স্পর্শ করে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আরেকটি সর্বনাশের ব্যবস্থা করেছে। তার নাম অটোপ্রমোশন। এতে শিক্ষার মান, মর্যাদা, ধারাবাহিকতা, শিক্ষণ ও আত্মস্থকরণ কোনোটিই রক্ষিত হয়নি। শিক্ষা সনদসর্র্বস্বতায় পর্যবসিত হয়েছে। চাটুকাররা বলেন, এটা ছাড়া নাকি উপায় ছিল না। প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো এ ক্ষতি মেনে নেয়া যেত। জ্ঞানের শূন্যতা পূরণ করার নয়। বাংলাদেশ একটি বড় গ্রাম। বেশির ভাগ গ্রামে করোনার তীব্রতা ছিল না। সেখানে ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া ছিল স্বাভাবিক। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা ছিল সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। সুতরাং গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি এবং শহরে অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া যেত।

স্কুল-কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় স্বাভাবিক অবস্থা না থাকায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সরকারের এই অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে অনেক শিক্ষার্থী জীবনের জন্য শিক্ষাজীবন হারিয়েছে। শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ে বেড়েছে। সর্বোপরি কিশোর গ্যাংয়ের মতো সামাজিক উৎপাতের সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহূর্তে এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে এক নম্বর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কথায় বলে, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। কৈশোরের সতত চাঞ্চল্য ‘ক্লাস’ এর পরিবর্তে ‘ক্ল্যাশ’ বা সংঘর্ষে উপনীত হয়েছে। এভাবে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত চার কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। শিক্ষাবিদ মনজুর আহমদ মনে করেন, ‘সামগ্রিকভাবে কর্তৃপক্ষের বিশেষত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের-ইউজিসির পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দুর্বলতা সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থতা ও অনেক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতা সমস্যাগুলো জটিল করেছে।’ (প্রথম আলো, ৩১ মে, ২০২১) তিনি একই সাথে পাঠদান ও শিক্ষার্থী মূল্যায়নে প্রযুক্তি সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি মনে করেন। শিক্ষা ‘পুনরুদ্ধারে’ সরকার ও সরকারি কর্মকর্তাদের মানসিকতা পরিবর্তনের আহ্বান জানান তিনি।

বিগত প্রায় দেড় বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে হোমওয়ার্ক কম হয়নি। একেক সময় একেক ধরনের সিদ্ধান্ত বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে মাত্র। এই সেদিন শিক্ষামন্ত্রী নিজেই স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। একদিকে পরিস্থিতির উন্নতির সাপেক্ষে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। একদিনের ব্যবধানে সেই তিনিই ফের বলেছেন, এখনই খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জনপ্রসাশন প্রতিমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, ১৩ মে স্কুল-কলেজ আপাতত খুলছে না। ১৫ মাসে লকডাউনের ওঠানামার সাথে সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আশা-নিরাশার দোল খেয়েছে। ২৭ মে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এ কথা আপনারা নির্দ্বিধায় লিখতে পারেন, ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। আশা ছিল ১৩ জুন সবার অপেক্ষার অবসান ঘটবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকেও একই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এর একদিন পর ২৮ মে শিক্ষা অধিদফতর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি নিতে জেলা ও উপজেলা অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপর ২৯ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী তার একদিন আগের বক্তব্য থেকে সরে আসেন। তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে না এলে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কেননা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা আগে অগ্রাধিকার দেবো।

নিরাপত্তার নামে আজব যুক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে যে, সব শিক্ষার্থীকে টিকা না দিয়ে ক্লাসে বা হলে তোলা যাবে না। তার মানে হলো- একটি অসার ও অবাস্তব অবস্থার দিকে ঠেলে দেয়া। বাংলা মুলুকে একটি কথা চালু আছে ‘নয় মণ ঘিও জুটবে না, রাধাও নাচবে না’। প্রসঙ্গত, দফায় দফায় ছুটি বাড়ানোর পরপরই জানানো হয়- এবারের ছুটি শেষে খুলে দেয়া হবে সব স্কুল-কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়। প্রতিবারেই শিক্ষর্থীর আশা-নিরাশায় পরিণত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সন্তানদের শিক্ষাজীবন নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগাকুল অবিভাবকরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জোরদার হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ করছে। শিক্ষকরা খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন। দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অসহিঞ্চু হয়ে উঠেছেন সবাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে সরকারের নানা অজুহাতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। তারা মনে করছেন, মূলত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্তিমিত করতে বা দমিয়ে রাখতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তারা যুক্তি দিচ্ছেন- তৈরী পোশাক কারখানা খোলা আছে, ব্যবসায় চলছে, মার্কেট-শপিংমল খোলা আছে, চলছে গণপরিবহন। উৎসব হচ্ছে। হচ্ছে নানা আয়োজন।

বন্ধ নেই কোনো কিছুই। অথচ সবাইকে বিস্মিত করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এদিকে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে, জুনেও হচ্ছে না বিশ^বিদ্যাগুলোর ভর্তিপরীক্ষা। এ বছরই প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তিপরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সমন্বিত ভর্তি কমিটির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আগামী ১৯ জুন মানবিক, ২৬ জুন বাণিজ্য ও ৩ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের তারিখ নির্ধারিত ছিল। এখন আয়োজকরা বলছেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা এবং সরকারি বিধিনিষেধ ৬ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করায় পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বাইরে থাকা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ^বিদ্যালয়গুলোতেও একই কারণে ভর্তিপরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না। ফলে আবারো অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বিশ^বিদ্যালয় ভর্তি। এই যখন বিশ^বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি তখন বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৬ মে সিদ্ধান্ত দেয়, বিশ^বিদ্যালয়গুলো শুধু অনলাইনেই নয় শিক্ষার্থীদের হাজির করে সারাসরিও পরীক্ষা নিতে পারবে। তখন তারা বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি ও ছাত্রছাত্রীদের বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের এ সিদ্ধান্ত অপ্রায়োগিকই রয়ে গেল। বিশ^বিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দেয়ার অজুহাত ভুল প্রমাণ করতে আমরা আশা করব অবিলম্বে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়টি জটিল ও বহুমুখী- সন্দেহ নেই। সেই সাথে বিষয়টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার দ্বার রুদ্ধ হলে থেমে যাবে জাতীয় অগ্রগতি। কোনো সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থবুদ্ধি দিয়ে জ্ঞানের দ্বার রুদ্ধ করা যায় না। কেননা, মনীষী সক্রেটিসের ভাষায়- ‘জ্ঞানই শক্তি, জ্ঞানই পুণ্য’।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

Mal55ju@yahoo.com

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us